আমার একজন কাঁধে হাত রাখার মানুষ আছে: পরীমণি ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২৩ পরীমণি ও তার ছেলে রাজ্য। ছবি: পরীমণির ফেসবুক থেকে বিনোদন প্রতিবেদক গত ২৪ নভেম্বর মারা গেছেন অভিনেত্রী পরীমণির নানা শামসুল হক গাজী। এই অভিনেত্রীর কল্যাণে তার নানা সবার কাছে পরিচিত মুখ ছিলেন। নানাকে হারিয়ে দিশাহারা অভিনেত্রী। প্রিয়জনকে হারানোর এই শোক তিনি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানার বিভিন্ন স্মৃতি ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করছেন পরীমণি। আজ সন্ধ্যায় পরীমণি এমনই এক শোকাচ্ছন্ন পোস্ট দিয়েছেন। যেখানে পরীমণি লিখেছেন, ‘এর আগে যতবার নানুবাড়ি গেছি, নির্দিষ্ট তারিখেই ঢাকায় ব্যাক করেছি। বাড়ির সবাই দুই-এক দিন বেশি থেকে যেতে বলত কত করে! থাকা হয়নি।’ পরীমণি আরো লিখেছেন, ‘এখন মনে হচ্ছে নানুর কবর ধরে সারাদিন সারারাত যদি বসে থাকতে পারতাম! কিন্তু পারি না।’ পরীর ছেলে পদ্মর সঙ্গে তার নানাভাইয়ের সম্পর্কের স্মৃতি টেনে পরী লেখেন, “আমার পদ্মফুল কেবল নানুকে চিনতে শুরু করছিল। বড় আব্বু বলে ডাকতে শিখেছিল। এখন যদি কেউ ওকে বলে, ‘তোমার বড় আব্বু কই?’ অমনি ‘এই যে’ বলে সাথে সাথে আঙুল তুলে নানুর কবরটা দেখিয়ে দেয়! কবরের ওপরে চুমু খায়, হাত বুলায়, ফুঁ দেয়। আসার সময় হাত নেড়ে নেড়ে কতবার যে বলল ‘আব্বুটা বাই আব্বুটা বাই’!” পরীমণির একটি ছবিতে দেখা যায়, কবরের পাশে বসে আছেন তিনি। এ সময় তার কাঁধে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে ছেলে পদ্ম। সেই ছবি প্রসঙ্গে পরীমণি বলেন, ‘আমার একজন কাঁধে হাত রাখার মানুষ আছে। আল্লাহ কিছু নেওয়ার আগে কিছু দিয়েও দেয়!’ সব শেষে পরী লিখেছেন, ‘দোয়া করবেন। নানু জান্নাতের ফুলের সাথে থাকুক।’ পরীমণির নানাবাড়ি পিরোজপুরে। তার নানা শামসুল হক গাজী ছিলেন ভগীরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক। ছোটবেলায় মা-বাবা মারা যাওয়ার পর নানাবাড়িতেই বেড়ে ওঠেন তিনি। নানাবাড়িতে থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। SHARES গণমাধ্যম বিষয়: পরীমণি
গত ২৪ নভেম্বর মারা গেছেন অভিনেত্রী পরীমণির নানা শামসুল হক গাজী। এই অভিনেত্রীর কল্যাণে তার নানা সবার কাছে পরিচিত মুখ ছিলেন। নানাকে হারিয়ে দিশাহারা অভিনেত্রী। প্রিয়জনকে হারানোর এই শোক তিনি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানার বিভিন্ন স্মৃতি ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করছেন পরীমণি। আজ সন্ধ্যায় পরীমণি এমনই এক শোকাচ্ছন্ন পোস্ট দিয়েছেন। যেখানে পরীমণি লিখেছেন, ‘এর আগে যতবার নানুবাড়ি গেছি, নির্দিষ্ট তারিখেই ঢাকায় ব্যাক করেছি। বাড়ির সবাই দুই-এক দিন বেশি থেকে যেতে বলত কত করে! থাকা হয়নি।’
পরীমণি আরো লিখেছেন, ‘এখন মনে হচ্ছে নানুর কবর ধরে সারাদিন সারারাত যদি বসে থাকতে পারতাম! কিন্তু পারি না।’ পরীর ছেলে পদ্মর সঙ্গে তার নানাভাইয়ের সম্পর্কের স্মৃতি টেনে পরী লেখেন, “আমার পদ্মফুল কেবল নানুকে চিনতে শুরু করছিল। বড় আব্বু বলে ডাকতে শিখেছিল। এখন যদি কেউ ওকে বলে, ‘তোমার বড় আব্বু কই?’ অমনি ‘এই যে’ বলে সাথে সাথে আঙুল তুলে নানুর কবরটা দেখিয়ে দেয়! কবরের ওপরে চুমু খায়, হাত বুলায়, ফুঁ দেয়।
আসার সময় হাত নেড়ে নেড়ে কতবার যে বলল ‘আব্বুটা বাই আব্বুটা বাই’!” পরীমণির একটি ছবিতে দেখা যায়, কবরের পাশে বসে আছেন তিনি। এ সময় তার কাঁধে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে ছেলে পদ্ম। সেই ছবি প্রসঙ্গে পরীমণি বলেন, ‘আমার একজন কাঁধে হাত রাখার মানুষ আছে। আল্লাহ কিছু নেওয়ার আগে কিছু দিয়েও দেয়!’ সব শেষে পরী লিখেছেন, ‘দোয়া করবেন। নানু জান্নাতের ফুলের সাথে থাকুক।’
পরীমণির নানাবাড়ি পিরোজপুরে। তার নানা শামসুল হক গাজী ছিলেন ভগীরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক। ছোটবেলায় মা-বাবা মারা যাওয়ার পর নানাবাড়িতেই বেড়ে ওঠেন তিনি। নানাবাড়িতে থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন।