ঢাকায় শমির্লা ঠাকুর এখন নারীপ্রধান ছবি হচ্ছে এবং মানুষ সেগুলো দেখতে যাচ্ছে ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১২:০২ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২৪ ঢাকায় শমির্লা ঠাকুর বিনোদন প্রতিবেদক একটা উৎসব তাকে ঘিরে। পুরো আয়োজনটি যেন তাকে ঘিরে প্রাণচাঞ্চল্য পেয়েছে। তিনি শর্মিলা ঠাকুর। বলিউড সিনেমার জীবন্ত এক তিনি। বেশ কয়েকদিন হলো ঢাকার আলোবাতাস মাখছেন। থাকছেন এখানেই। কারণ, ঢাকা আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪ এ অতিথি হয়ে এসেছেন তিনি। বয়স আশির ঘরে। এখনও প্রাণবন্ত ও উজ্জল। হাসিতে, কথায় এখনও দারুণ চটপটে। আজ তিনি মুখোমুখি হয়েছিলেন সংবাদ মাধ্যমের। রাজধানীর একটি ক্লাবে তিনি কথা বলেছেন অনেক কিছু নিয়েই। সে আলাপে কখনো নিজের অভিনয়, কখনো ব্যক্তিগত বিষয়, কখনোবা ক্যান্সার থেকে ফিরে আসার গল্প। বাংলাদেশে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন ভারতের বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী। সেখানে তার সঙ্গে মূহুর্তটা কেমন ছিল জানতে চাইলে শর্মিলা ঠাকুর বলেন, ‘নতুন মিনিস্ট্রি, প্লানিং কমিটির মিটিংয়ের মাঝেও তিনি আমাদের ডেকেছেন। তিনি সিনেমা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বললেন। অনেক আগে বাংলাদেশের আবৃতি করতে এসেছিলাম। তখন ওনার সঙ্গে দেখা হয়েছিলো। সেটাও তিনি মনে করিয়ে দিলেন। তার সঙ্গে কথা বলে আমি মুগ্ধ। এটুকু বুঝলাম যে ওনি ভীষণ সাপোর্টিভ।’ সত্যজিৎ রায়ের অপুর সংসার দিয়ে সিনেমায় শর্মিলা ঠাকুর পথচলা শুরু। বলা চলে তখন তিনি ছিলেন কিশোরী। এরপর দাপিয়ে কাজ করেছেন বাংলা ও বলিউড সিনেমায়। লম্বা এই জার্নির বিষয়ে শর্মিলা ঠাকুর বলেন, ‘মানিক ভাইয়ের ছবি পর যখন হিন্দি ছবিতে সাইন করলাম, তখন সব বাঙালি ক্ষেপে গেলো। তারা বলেছিল, সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে কাজের পর তুমি বাণিজ্যিক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করবে? একাট রিজনাল সিনেমা থেকে বাণিজ্যিক সিনেমায় যাওয়া একটা ন্যাচারাল প্রসেস। সেটাই আমি করেছিলাম। আমার কথা ছিলো- যেকোনো কাজই কাজ। যেকোনো শিল্পই শিল্প। সেটা বাংলা বা হিন্দি হোক। কাজটা আমি মন দিয়ে করেছি। নাচতে হয়েছে সেটা আমি মন দিয়ে নেচেছি। এক প্রশ্নের জবাবে সিনেমায় নারী চরিত্রের বিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে নারী চরিত্র এগিয়ে যাচ্ছে। যেগুলো খুব সহজ করে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। এখন নারীপ্রধান ছবি হচ্ছে এবং মানুষ সেগুলো দেখতে যাচ্ছে। তারপরও নারীরা সেভাবে সুবিধা পাচ্ছে না।’ ১৪ বছর পর বাংলা সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি। সেসব নিয়ে বললেন, ‘আমি ফেরা কথাটা একেবারেই বিশ্বাস করিনা। আমি তো কোথাও যাইনি যে আমি ফিরে আসবো। আমার যখন কোন চরিত্র ভালো লাগে আমি তখন সেই চরিত্রটা করতে চাই। ছবির পরিচালক আমার কাছে এসে স্ক্রিপ্ট শোনানোর পর গল্পটি আমার আমার ভালো লেগেছে। এটার সঙ্গে আমার বয়সেরও একটা মিল আছে। তাই আভিনয়ে যুক্ত হয়েছি। এখানে ফেরার কিছু নেই।’ ১৯৪৬ সালের ৮ ডিসেম্বর কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের বংশধর গীতিন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ইরা ঠাকুরের সংসারে জন্ম নেওয়া এই তারকা ১৪ বছর পর বাংলা সিনেমায় ফিরেছেন। তবে এটা ফেরা বলতে নারাজ তিনি। ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ স্লোগানে শুরু হয়েছে ২২তম ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসব। এ উৎসবে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন শর্মিলা । উৎসবের এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারক হিসেবে আছেন তিনি। ৯ দিনব্যাপী উৎসবের শেষদিন পর্যন্ত থাকবেন এ দেশেই থাকবেন । SHARES বিনোদন বিষয়: শর্মিলা ঠাকুর
একটা উৎসব তাকে ঘিরে। পুরো আয়োজনটি যেন তাকে ঘিরে প্রাণচাঞ্চল্য পেয়েছে। তিনি শর্মিলা ঠাকুর। বলিউড সিনেমার জীবন্ত এক তিনি।
বেশ কয়েকদিন হলো ঢাকার আলোবাতাস মাখছেন। থাকছেন এখানেই। কারণ, ঢাকা আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪ এ অতিথি হয়ে এসেছেন তিনি। বয়স আশির ঘরে।
এখনও প্রাণবন্ত ও উজ্জল। হাসিতে, কথায় এখনও দারুণ চটপটে। আজ তিনি মুখোমুখি হয়েছিলেন সংবাদ মাধ্যমের। রাজধানীর একটি ক্লাবে তিনি কথা বলেছেন অনেক কিছু নিয়েই।
সে আলাপে কখনো নিজের অভিনয়, কখনো ব্যক্তিগত বিষয়, কখনোবা ক্যান্সার থেকে ফিরে আসার গল্প। বাংলাদেশে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন ভারতের বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী। সেখানে তার সঙ্গে মূহুর্তটা কেমন ছিল জানতে চাইলে শর্মিলা ঠাকুর বলেন, ‘নতুন মিনিস্ট্রি, প্লানিং কমিটির মিটিংয়ের মাঝেও তিনি আমাদের ডেকেছেন। তিনি সিনেমা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বললেন। অনেক আগে বাংলাদেশের আবৃতি করতে এসেছিলাম।
তখন ওনার সঙ্গে দেখা হয়েছিলো। সেটাও তিনি মনে করিয়ে দিলেন। তার সঙ্গে কথা বলে আমি মুগ্ধ। এটুকু বুঝলাম যে ওনি ভীষণ সাপোর্টিভ।’ সত্যজিৎ রায়ের অপুর সংসার দিয়ে সিনেমায় শর্মিলা ঠাকুর পথচলা শুরু। বলা চলে তখন তিনি ছিলেন কিশোরী। এরপর দাপিয়ে কাজ করেছেন বাংলা ও বলিউড সিনেমায়। লম্বা এই জার্নির বিষয়ে শর্মিলা ঠাকুর বলেন, ‘মানিক ভাইয়ের ছবি পর যখন হিন্দি ছবিতে সাইন করলাম, তখন সব বাঙালি ক্ষেপে গেলো। তারা বলেছিল, সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে কাজের পর তুমি বাণিজ্যিক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করবে? একাট রিজনাল সিনেমা থেকে বাণিজ্যিক সিনেমায় যাওয়া একটা ন্যাচারাল প্রসেস। সেটাই আমি করেছিলাম। আমার কথা ছিলো- যেকোনো কাজই কাজ। যেকোনো শিল্পই শিল্প। সেটা বাংলা বা হিন্দি হোক। কাজটা আমি মন দিয়ে করেছি। নাচতে হয়েছে সেটা আমি মন দিয়ে নেচেছি। এক প্রশ্নের জবাবে সিনেমায় নারী চরিত্রের বিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে নারী চরিত্র এগিয়ে যাচ্ছে। যেগুলো খুব সহজ করে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। এখন নারীপ্রধান ছবি হচ্ছে এবং মানুষ সেগুলো দেখতে যাচ্ছে। তারপরও নারীরা সেভাবে সুবিধা পাচ্ছে না।’ ১৪ বছর পর বাংলা সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি। সেসব নিয়ে বললেন, ‘আমি ফেরা কথাটা একেবারেই বিশ্বাস করিনা। আমি তো কোথাও যাইনি যে আমি ফিরে আসবো। আমার যখন কোন চরিত্র ভালো লাগে আমি তখন সেই চরিত্রটা করতে চাই। ছবির পরিচালক আমার কাছে এসে স্ক্রিপ্ট শোনানোর পর গল্পটি আমার আমার ভালো লেগেছে। এটার সঙ্গে আমার বয়সেরও একটা মিল আছে। তাই আভিনয়ে যুক্ত হয়েছি। এখানে ফেরার কিছু নেই।’ ১৯৪৬ সালের ৮ ডিসেম্বর কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের বংশধর গীতিন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ইরা ঠাকুরের সংসারে জন্ম নেওয়া এই তারকা ১৪ বছর পর বাংলা সিনেমায় ফিরেছেন। তবে এটা ফেরা বলতে নারাজ তিনি। ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ স্লোগানে শুরু হয়েছে ২২তম ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসব। এ উৎসবে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন শর্মিলা । উৎসবের এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারক হিসেবে আছেন তিনি। ৯ দিনব্যাপী উৎসবের শেষদিন পর্যন্ত থাকবেন এ দেশেই থাকবেন ।