এমপি আনার হত্যা রাজনৈতিক নেতাদের আড়ালের চেষ্টা? ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৪:৫৫ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২৪ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ-সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক সুবিধাভোগীরা আওয়ামী লীগ নেতা গ্যাস বাবুকে ব্যবহার করেছেন। গ্যাস বাবুর ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোনে যার সব প্রমাণ রয়েছে। তদন্তসংশ্লিষ্টদের ধারণা, ওই ফোন তিনটি উদ্ধার করতে পারলেই এমপি আনার হত্যার পেছনে আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তা বেরিয়ে আসবে। তবে ফোন তিনটি এখনো উদ্ধার করতে পারেনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্যাস বাবুর তথ্য অনুযায়ী বুধবার ঝিনাইদহ শহরের দুটি পুকুরে অভিযান চালিয়েও কোনো হদিস মেলেনি ফোনের। পুকুরের গভীরতাসহ ময়লার ভাগাড় থেকে ফোন উদ্ধারের সম্ভাবনাও ছেড়ে দিয়েছে ডিবি। ‘অনুকূল পরিবেশ না থাকায় ফোন উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষীণ’-এমনটাই দাবি তদন্ত কর্মকর্তাদের। এর ফলে আনার হত্যায় রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টদের নাম-পরিচয় ঢাকা পড়ে যাচ্ছে কি না, এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সূত্র বলছে, গ্যাস বাবুর তিনটি মোবাইল ফোনে আনার হত্যার গুরুত্বপূর্ণ আলামত রয়েছে। ওই ফোনের একটির হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ১৭ মে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর ফোনে আনারের লাশের ছবি পাঠায় গ্যাস বাবু। মিন্টু ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। এ হত্যায় আরও কারা জড়িত আছে, এর গুরুত্বপূর্ণ আলামত রয়েছে ওই ফোনে-এমনটাই মনে করছে ডিবি। কেননা, হত্যা মিশন বাস্তবায়নের মূল দায়িত্বে থাকা চরমপন্থিনেতা শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা গ্যাস বাবু। তার পেছনে এখন পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর সংশ্লিষ্টা পেয়েছে ডিবি। হত্যা মিশন শেষ করে খুনিরা বাংলাদেশে আসার পর তাদের টাকা দেওয়ার বিষয়ে দেনদরবারও করে এই গ্যাস বাবু। আর এসবের প্রমাণ রয়েছে গ্যাস বাবুর তিনটি মোবাইল ফোনে। SHARES অপরাধ/দূর্নীতি বিষয়: এমপি আনারখুনের রহস্য