বঙ্গবন্ধু যা কিছু মহৎ তারই প্রতীক : ড. কলিমউল্লাহ

প্রকাশিত: ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৬, ২০২৪

 

স্টাফ রিপোর্টার :৫ ই জুলাই, ২০২৪, শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯৬৪ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।

সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক বি সি এস এডুকেশন ক্যাডার এর সদস্য বাবু রণজিৎ মল্লিক।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডিন মালেশিয়ায় পি এইচ ডি গবেষণারত প্রফেসর ড. তানভীর আবীর।

সেমিনারে গেস্ট অব অনার হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মিসেস আমাতুন নূর।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক অধ্যক্ষ মাসুদ আহমেদ।

সেমিনারে আলোচক হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা পারভীন আক্তার ও নাঈমা ফেরদৌস, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো: মেহেরাজ হোসেন।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু, শাকিব হোসেন ও সাদিয়া হালিমা।

এছাড়াও যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মিসেস সংগীতা বিশ্বাস।

সভাপতির বক্তব্যে ড. কলিমউল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু যা কিছু মহৎ তারই প্রতীক।

সেমিনারের মুখ্য আলোচক পি এইচ ডি গবেষক অধ্যক্ষ বাবু রণজিৎ মল্লিক বলেন, বিশ্বের বিখ্যাত লেখক শেক্সপিয়রের কিং লেয়ার লেখাটির একটি বিখ্যাত উক্তি I am king and every eanch of king যার সাথে তুলনা করে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলা যায়। বঙ্গবন্ধুর প্রতি ইঞ্চি বাঙালি , নেতৃত্বের ক্ষেত্রে তিনি প্রতি ইঞ্জি নেতা ,বঙ্গবন্ধু প্রতি ইঞ্চি মানবিক মানুষ ছিলেন ।
গণমানুষের নেতা হিসেবে প্রান্তিক মানুষের নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫৩ সালে সাধারণ সম্পাদক হলেও ঢাকায় ভাড়া বাসায় তিনি থাকতেন । পূর্ববাংলায় মন্ত্রিত্ব পেলেও তিনি তা পরবর্তীতে ত্যাগ করেন রাজনীতি করার স্বার্থে। কারণ স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন শেখ মজিবুর রহমান সেসময় আর্থিকভাবে সৎ ছিলেন তিনি রাজনীতির পাশাপাশি ইন্সুরেন্সে কোম্পানিতে কাজ করেছেন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী থাকতে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. তানভীর আবীর বলেন, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক জুম ওয়েবিনারের সান্ধ্যকালীন ঐক্যতান আমাদের সবাইকে সমৃদ্ধ করবে এবং নাগরিক হিসেবে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে তুলবে।

সেমিনারে উপস্থিত বিশেষ অতিথি পি এইচ ডি গবেষক অধ্যক্ষ মাসুদ আহমেদ বলেন, ১৯৭২ এর শেষে ১৯৭৩ এর শুরুর দিক থেকে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি হয় যার জন্য জনজীবনের অসহনীয় অবস্থান নেমে আসে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সে সময়ে কসকো প্রতিষ্ঠা করেন যেখানে ১০০ টির মত প্রয়োজনীয় দ্রব্য বাজার থেকে কম মূল্যে উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে বন্টন করা হয়। তৎকালীন সময়েও মজুদদার ও কালোবাজারিদের সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল মধ্যবিত্ত জনসাধারণের নাগালের বাইরে থাকতো ।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা কঠিন হস্তে দমন করেছেন । বর্তমানে সেই নীতি অনুসরণ করে ন্যায্য মূল্যে দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের কাছে সরবরাহ সম্ভব।

সেমিনারের গেস্ট অব অনার মিসেস আমাতুন নূর বলেন, জনতা ও ক্ষমতার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনতাকে বরাবরই বেছে নিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি এবং তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হয়েছি।

বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা
পারভিন আক্তার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাহসী ব্যক্তি ও নেতা ছিলেন। তার কন্যা নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিয়েছেন। শেখ হাসিনার পরিকল্পিত পদক্ষেপের সাথে আমরা নিজেদের কাজের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব অর্থনৈতিকভাবে।

আলোচক মেহেরাজ হোসেন বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

সাদিয়া হালিমা বলেন, সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতার মহান মন্ত্রের উচ্চারণে বিশ্ব মানচিত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল, যে অধ্যায়ের নাম বাংলাদেশ। আর সেই  অধ্যায়ের রচয়িতা একজন অদ্বিতীয় জনমানুষের কবি, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

জানিপপের ন্যাশনাল ভলেন্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন নিষ্ঠাবান।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।