চিটাগাংরোডের ইনট্র্যাকো সিএনজি পাম্পে অবৈধভাবে সিলিন্ডারবাহী কাভার্ড ভ্যানে গ্যাস বিক্রি

প্রকাশিত: ৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২৪

মোঃ আহসানউল্লাহ হাসানঃ
বিক্রয় নিষিদ্ধ সময়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে সিলিন্ডারবাহী কাভার্ডভ্যান বা এই জাতীয় যানবাহনের কাছে অবৈধ উপায়ে সিএনজি গ্যাস বিক্রি করে আসছে চিটাগাংরোডের ইনট্র্যাকো রি-ফুয়েলিং অথচ গ্যাস বিক্রি করার নির্ধারিত সময়ে গ্যাস সংকটের কারন দেখিয়ে বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ রাখা হয় এই সিএনজি পাম্পটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অধিকাংশ সিএনজি ফিলিং স্টেশনই গ্যাস সংকটের অজুহাতে দিনের বেলা পাম্পটি রেখে রাতের বেলা অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে সিলিন্ডার বোঝাই কাভার্ডভ্যানে সংযোগ দিয়ে অবৈধ উপায়ে গ্যাস বিক্রি করে থাকে। এতে সাধারন পরিবহন মালিকরা যেমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে, অপরদিকে তীব্র গ্যাস সংকটে নাকাল পার্শ্ববতী শিল্প-কারখানা সহ আবাসিক গ্রাহকরা। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, সিএনজি স্টেশনগুলো বর্তমানে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বন্ধ থাকার কথা। এসময় গ্যাসের চাপ কম থাকে আর এই সুযোগটি কাজে লাগায় ইনট্র্যাকো রি-ফুয়েলিং ষ্টেশনটি। সিলিন্ডার বোঝাই কাভার্ডভ্যানে বিক্রি করা হচ্ছে গ্যাস।
বিস্ফোরক আইন অনুযায়ী, কাভার্ডভ্যানে সিলিন্ডারবোঝাই করে এভাবে গ্যাস বিক্রয়ের কোন নিয়ম নেই। স্টেশনগুলোর গ্যাস দেয়ারও নিয়ম নেই। এরপরও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত অন্তত ১০/১২ সিএনজি স্টেশনে এভাবে গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে।
তবে গাড়ী চালকরা অভিযোগ করে বলছে, মিটার কারসাজি করে অধিকাংশ সিএনজি পাম্প মালিকই পরিবহন মালিকদের ঠকাচ্ছেন। অনেক পাম্পের মিটারে টাকা বেশি উঠে কিন্তু গ্যাস কম পাওয়া যায়। সেখানে গ্যাসের সঙ্গে মেশানো থাকে বাতাস। ৪চাকার গাড়ির জন্য সাধারণত ৫০০ টাকার গ্যাস নিলে ৬০ কিলোমিটারের বেশি যাওয়া কথা। কিন্তু একই টাকার গ্যাসে ৩ চাকার সিএনজি/অটোরিকশা দ্বিগুণেরও বেশি দূর যেতে পারবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র সম্পূর্ন আলাদা। এক পাম্প থেকে গ্যাস নিয়ে যে দূরত্বে যেতে পারেন, আরেক পাম্প থেকেই একই পরিমাণ গ্যাস নিয়ে সে দূরত্বে যাওয়া যায় না। আর ইনট্র্যাকো রি-ফুয়েলিং ষ্টেশনটিতে এই চিত্র থাকে হরহামেশা।
জানতে চাইলে সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্শন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ফারহান নূর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এভাবে গ্যাস বিক্রি আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। আমরা স্টেশন মালিকদের এভাবে গ্যাস দিতে নিষেধ করেছি। এরপরও কিছু প্রতিষ্ঠান গ্যাস বিক্রি করে আসছে। অনেক সময় কর্তৃপক্ষের নজরে পড়লে জরিমানাও দেয়।’ তবে এবিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি স্থানীয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর একাধিক কর্মকর্তা।