কলেজের পাঠাগার ভেঙে দোকান নির্মাণের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ৮:২৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৮, ২০২৪

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ মাহফুজুর রহমানসহ তিন শিক্ষককে কলেজ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় একদল ‘উৎসুক জনতা’ কলেজে প্রবেশ করে শিক্ষকদের গালমন্দের পর বের করে দেন।

এর আগে ৬ আগস্ট (মঙ্গলবার) স্থানীয় এক যুবদল নেতার নেতৃত্বে একদল মানুষ কলেজে প্রবেশ করে অফিস সহকারী মো. আদিলকে পিটিয়ে আহত করেন। এ ছাড়া কলেজে নির্মিত পাঠাগারটি ভেঙে ফেলেন। পাঠাগারে থাকা কয়েক হাজার বই লুট করে নিয়ে যান। পরে পাঠাগারটি ভেঙে দিয়ে সেখানে ওই যুবদল নেতা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করছেন বলে কলেজ সূত্রে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় একদল জনতা স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রবেশ করে গালমন্দ করে উপাধ্যক্ষ মাহফুজুর রহমান, যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সমাজকর্ম বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মাহববুল আলমকে বের করে দেন। এই শিক্ষকদের ভবিষ্যতে কলেজে না আসার জন্য প্রকাশ্যে হুমকিও দেন। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষকেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

কলেজের অধ্যক্ষ মোহা. জসিম উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, স্কুল অ্যান্ড কলেজের কোনো শিক্ষক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নেই। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন জোর করে কলেজের জায়গা দখলের পর তিনটি দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালে দখল হওয়া জায়গাটি দাউদকান্দি মডেল থানার মাধ্যমে উদ্ধার করেন। পরে ২০২৩ সালের ৫ অক্টোবর ওই জায়গায় একটি পাঠাগার নির্মাণ করা হয়।

অধ্যক্ষ বলেন, জায়গা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ৬ আগস্ট রুহুল আমিন তাঁর দলীয় লোকজন নিয়ে কলেজে প্রবেশ করে অধ্যক্ষকে খুঁজতে থাকেন। অধ্যক্ষকে না পেয়ে অফিস সহকারী আদিলের মাথা ফাটিয়ে দেয়। পায়ে আঘাত করেন। কলেজের জায়গা উদ্ধারের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের কলেজ থেকে বের করে দেন। নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। কলেজের জায়গায় আবার দোকান নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমীন বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন; বরং কলেজ কর্তৃপক্ষ জোর খাটিয়ে তাঁর নিজের জায়গা দখল করে নিয়ে গেছে।