পরশুরামে স্বর্ণকারদের ব্যবহৃত এসিডে পরিবেশের ক্ষতি। নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি।

প্রকাশিত: ৩:১৫ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২৩

শিবব্রত(বিশেষ প্রতিনিধি)
যে কোন বাঙালি নারীর কাছে সোনার অলংকার অত্যন্ত প্রিয়। সোনা নিয়ে অনাসৃষ্টি ও কম হয়না। সোনা নিয়ে দরকষাকষিতে যে কত বিয়ে ভেঙে গেছে তার কোন হিসেব নেই। আবার সোনার জন্য ছিনতাই, চুরি ডাকাতি এমনকি হত্যার মতো অপরাধ ও ঘটে চলছে অহরহ। সকলের আদরনীয় সেই সোনার গহনা তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয় এসিড আর তাতেই যত বিপত্তি।
সোনা থেকে খাঁদ বের করার জন্য এটিকে পোড়ানো হয় নাইট্রিক এসিড দিয়ে।আর সোনার সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় সালফিউরিক এসিড।
নাইট্রিক এসিড সোনা খাঁটি করার সময় যে ধোঁয়া বের হয় তা বাতাসের সাথে মিশে বিষাক্ত রাসায়নিক বাষ্পে রুপ নেয়। নাইট্রোজেনে ডাই অক্সাইড যুক্ত বাতাস শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এতে শ্বাস কষ্ট, হাঁপানি ও হৃদরোগ সহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। ‌‌‌এসিডের বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় চালের টিন এমনকি লোহা ও বিনষ্ট হয়।এমনটিই ঘটে চলেছে পরশুরাম বাজারে।এই বাজারে প্রায় ১৫/২০টি সোনার দোকান আছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে,এক সোনা ব্যবসায়ী জানান, সোনার কাজে যে এসিড ব্যবহার করা হয় তার ধোঁয়ায় শরীরের কিছু সমস্যা হয় এবং অনেকের এসিড ব্যবহারের কোন লাইসেন্স নেই।যারা সোনার কারখানা স্থাপন করেছেন অনেকের ই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি নেই বলে ও জানান তিনি। তিনি আরো জানান, অধিকাংশ ব্যবসায়ী আয়কর ও দেননা যে কয়েকজনে দেন তার পরিমাণ ও অনেক কম। পরশুরাম সরকারী কলেজের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক সাইফ উদ্দিন জানান,নাইট্রিক এসিডে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড আছে যা মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সালফিউরিক এসিডে ও প্রায় একই রকম ক্ষতি হয়।এর প্রভাবে মানুষের চর্মরোগ সহ হার্টের সমস্যা হতে পারে।
পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক দের প্রায় সকলেই একই মত প্রকাশ করেন।
এব্যাপারে ফেনী জেলা জুয়েলারি সমিতির সভাপতির সেল ফোনে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি