রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিওদের কাজের ধারা খতিয়ে দেখা হবেঃ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

প্রকাশিত: ৮:০৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যেসব এনজিও কাজ করছে, তাদের কাজের ধারা খতিয়ে দেখা হবে বলে উল্লেখ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, “তাদের স্টাফদের বেতন দেওয়ার বাইরে অর্থ দিয়ে কি করছে, তা দেখা হবে। অভিযোগ রয়েছে, উগ্রপন্থী ও টেররিস্টদের অর্থায়ণ করা হচ্ছে। উগ্রবাদীদের অর্থায়ন করার বিষয়টি সঠিক কি না তা দেখা হবে।”

রবিবার (১৯ ফেব্রয়ারি) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটির সভা শেষে তিনি একথা জানান। আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, “রোহিঙ্গারা এ দেশ থেকে যেতে চায় না। এজন্য তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি, ক্যাম্পে যে মারামারি-হানাহানি সৃষ্টি হয়, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে।”

তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন এনজিও কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারা কত টাকা পেলো তার স্টেটমেন্ট দিতে হবে। একই সঙ্গে কত টাকা রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যয় করে এবং কত টাকা কর্মকর্তাদের জন্য ব্যয় হয় সে হিসাব দিতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, “রোহিঙ্গাদের জন্য কত টাকা আসলো, সেটা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দেখি। সেখানে একজন রোহিঙ্গা ১২ ডলার করে পায়। এরপর কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাদে কিছু খরচ করে কিনা তা দেখার বিষয়। কারণ, অভিযোগ আছে তারা উগ্রবাদীদের অর্থায়ন করে। সেটা পরিস্কার হওয়ার জন্য এটা লাগবে। আইনানুগভাবে যেটা সম্ভব, তাদের হিসাবপত্র জানতে চাওয়া হবে।”

এক প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, “যারা ফান্ডিং করে তাদের কাছে হিসাব চাওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। আমাদের সচেতনার জন্য আমরা তাদেরকে জানিয়েছি, যে পরিমাণ টাকা দেওয়া হয়, তার সঠিক ব্যবহার হলে সবাই উপকৃত হবে। যে ফান্ড আসে সেটা ১২ লাখ দিয়ে ভাগ দিলে বেরিয়ে যায়। এরমধ্য থেকে ২৫ শতাংশ তাদের (এনজিওগুলোর) বিভিন্ন ব্যয় রয়েছে সেটা বাদ দিলে, মূল কতো টাকা দেওয়া হচ্ছে তা বেরিয়ে যাবে। বাকি ৭৫ শতাংশ টাকা রোহিঙ্গাদের কাজে ব্যয় হয় কিনা সেটা তদন্তের জন্য হিসাব চাওয়া হয়েছে।”

তিনি বলেন, সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে আমরা ব্যর্থ। আইনশৃঙ্খলা কমিটি বার বার চেষ্টা করেছে। যারা এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে, ফেসবুক ও ইউটিউব সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নানা চ্যানেলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে তারা তেমন কোন সাড়া দেয় না। তার প্রধান কারণ হিসেবে আমরা ধরেছি, তাদের কোন অফিস না থাকায় আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।তাই আমরা চাই এই সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অফিস বাংলাদেশে স্থাপিত হোক। যাতে আমরা প্রচলিত আইনের মধ্যে থেকে মিথ্যাচার নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।”

মোজাম্মেল হক আরো বলেন, “আমাদের পাশের দেশ ভারতে এসব প্রতিষ্ঠানের অফিস আছে, সেখানে কোন অন্যায় হলে জবাবদিহি করতে হয়। অথচ আমাদের দেশে ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে মিথ্যাচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।”

অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করতে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, “গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে প্রচুর অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ আসছে। অবৈধ অস্ত্র অভিযান চালিয়ে ধরা হবে। যে এরিয়াতে চোরাকারবারী থাকবে, শুধু সেখানেই অভিযান চালানো হবে। শুধু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হবে।”

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, “অনেকে বন্দুকের জাল লাইসেন্স বানিয়ে নিয়েছে। এসব ফেক লাইসেন্স যাচাই বাছাই করা হবে।