“পরশুরাম থানা” দেশের প্রতি ভালোবাসা আর সততার সঙ্গে পেশাদারিত্ব পালনে সর্ব মহলে প্রশংসিত ‘ওসি’ সাইফুল ইসলাম।

প্রকাশিত: ৫:০২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩

শিবব্রত(বিশেষ প্রতিনিধি)
****************************************

পুলিশ সম্পর্কে ভয়ভীতির সকল চিত্র পাল্টে দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন পরশুরাম মডেল থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ জনগনের শাসক নয়”পুলিশ জনগনের বন্ধু ও সেবক। অনেকেই তা জানতো না কিন্তু মানবিক কিছু পুলিশের কার্যক্রমে তার বাস্তবতা ও সত্যতা খুঁজে পেয়েছে সাধারন মানুষ। ঠিক তেমনি পরশুরাম থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের গৃহীত জনবান্ধব পুলিশি সেবা কার্যক্রমে জনগণের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
পরশুরাম মডেল থানায় তাহার যোগাদানের বয়স মাত্র এক বছরের, এরই মধ্য তিনি তার নিরলস সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন।
এমনকি তার যোগাদানের পর থেকেই নেই কোন রাজনৈতিক অহেতুক মামলার ভয়, নেই কোন মিথ্যে মামলার হয়রানী।
পুলিশ সম্পর্কে ভয়ভীতির সকল চিত্র পাল্টে দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন পরশুরাম থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম।
বর্তমান বাংলাদেশ পুলিশের যে অঙ্গীকার তা তিনি মাত্র এক বছরেই পরশুরাম উপজেলায় বসবাসরত প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দিনরাত কাজ করে জেলাতে ব্যাপক প্রসংশা অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেঞ্জের ডিআইজি ও ফেনী জেলা পুলিশ সুপারের-সেবা’র নির্দেশনায় পরশুরামের সাধারণ মানুষের দৌরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন পরশুরাম থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম।
এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানা যায়, বর্তমানে পরশুরামে থানায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন,জিডি কিংবা মামলা করতে কোন টাকা লাগেনা,কোন অপরাধীর তথ্য যদি কোন পুলিশ সদস্যকে দিয়ে থাকেন তাহলে তথ্য দাতার নাম গোপন রাখা হয়।
পরশুরাম থানার একটি সূত্রে আরও জানা যায়, ওসি সাইফুল ইসলাম পরশুরাম থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করার পর থেকে ঘুষ দুর্নীতি ও দালাল মুক্ত থানা গড়ে তুলে পুলিশি সেবা কার্যক্রম পাল্টে দিয়েছেন। তিনি যোগাদানের পর থেকে কোন অভিযোগ, জিডি ও বিশেষ করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে পুলিশকে কোন প্রকার টাকা দিতে হয়না।
বাংলাদেশ পুলিশের সকল প্রকার পুলিশি সেবা সাধারণ মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে তিনি নিরলসভাবে দিনরাত কাজ করছেন নিজেই।তার এমন সৃজনশীল কর্মপরিকল্পনা ও দক্ষ নেতৃত্বের কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত সীমান্তবর্তী হওয়ার কারণে সন্ত্রাস,মাদক ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতেও তিনি ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন।
পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের মামলা দ্রুত উদঘাটন করে আসামীদের জেলহাজতে প্রেরণ করতেও সক্ষম হয়েছেন। বিশেষ করে পরশুরাম উপজেলার পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে সীমান্ত বর্তী বিভিন্ন সড়কের যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার,মোটরসাইকেল ও মিনিট্রাক গুলো তার নেতৃত্বে থানা পুলিশের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে মাত্র এক বছরে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট,ফেন্সিডিল,গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতেও সক্ষম হয়েছেন তিনি।
এছাড়াও পরশুরাম উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত অস্ত্র ব্যবসায়ী, মাদক সেবী- মাদক ব্যবসায়ী, ধর্ষক,পতিতালয়, ইভটিজার,চোর, কুখ্যাত ডাকাতসহ ডাকাতি ও ছিনতাইকৃত অসংখ্য মোটরসাইকেল,ইজিবাইক,গবাদি পশু,স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন সহ ডাকাতি বা চুরি হওয়া বাড়ির মালামাল দ্রুত উদ্ধারসহ ডাকাত ও চোর চক্রের সদস্য ও সমাজে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধরণের অপকর্মের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনেছেন তিনি।
বাংলাদেশ পুলিশের সকল কার্যক্রম মানুষের হাতের নাগালে পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে পরশুরাম উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বিট পুলিশিং সেবা চালু করেছেন তিনি।
এমন মানবিক কার্যক্রমের ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে পুলিশ সম্পর্কে যে ভুল ধারণাটি ছিলো তা তিনি শাসক হিসেবে নয় সেবক হিসেবে কাজ করে ওই ভুল ধারনাটি পাল্টাতে সক্ষম হয়েছেন।
গত রমজান ও কোরবানির ঈদে তিনি অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ ও ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে আরও প্রশংসিত হয়েছেন।এবং বর্তমানে স্বামীহারা বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত নির্যাতিত ও অসহায় সন্তানের জননীদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। এমনকি অহেতুক মিথ্যা বা হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা না নিয়ে তিনি নিজেই উভয়পক্ষকে থানাতে ডেকে আপোষ মিমাংশার মাধ্যমে বিভিন্ন পারিবারিক, জমি,বিবাহ বিচ্ছেদের মতো ঘটনা গুলোও সমস্যা সমাধান করে আসছেন।
পরশুরাম থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নতশীল দেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ও ফেনী জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় মানুষের দৌরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
পরশুরাম উপজেলায় আইন শৃঙ্খলার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। ইভটিজিং,নারী নির্যাতন, যৌতুক প্রথা, বাল্য বিবাহসহ বিভিন্ন ধরণের অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে যারা জড়িত, তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করেছি ।আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আমি ও আমার স্টাফ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অফিসার ইনচার্জ আরও বলেন, এখন পুলিশি সেবার কার্যক্রম পাল্টে গেছে যা একমাত্র আপনাদের লেখনীর মধ্যদিয়ে জনগণ জানতে পারছে। যেমন থানায় এখন জিডি এবং অভিযোগ করতে কোন টাকার প্রয়োজন হয়না। আমি জনগণের টাকায় বেতন পাই তাই আমার দরজা সকল জনগণের জন্য দিনরাত ২৪ ঘন্টা খোলা। আমার অফিসে আসতে কোন অনুমতি বা দালালের প্রয়োজন হয়না। দালাল ছাড়া যেকোনো ব্যক্তি নির্ভয়ে থানায় এসে পুলিশি সেবা পেয়ে থাকেন। এবং কোন ধরণের অন্যায় তদবির আমার থানায় করে কোন লাভ হয়না।
চোর,ডাকাত,সন্ত্রাস ও মাদক সেবী-মাদক বিক্রেতারা যতোবড়ই প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হয়না।এসব বিষয়ে আমরা পুলিশ সবসময় জিরো টলারেন্সে রয়েছি। আমার থানা এলাকার আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি এলাকার জন-প্রতিনিধি,সুশীল সমাজ ও আপনারা সাংবাদিক ভাইদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। এজন্য আপনাদের সকলের সহযোগীতা সর্বদাই আমাদের দরকার। আশাকরি আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।