পবিত্র ঈদুল ফিতরে কুমিল্লায় মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সড়কে চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি ঃ পুলিশ সুপার।

প্রকাশিত: ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২৩
কুমিল্লা প্রতিনিধি ঃ পবিত্র ঈদ উল ফিতর ঘিরে কুমিল্লায় মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সড়কে চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ। এই অংশ হিসেবে নগরী ও উপজেলাগুলোতে টহল পুলিশ বাড়ানো হয়েছে। ছিনতাই-ডাকাতিসহ যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরজুড়ে মোটরসাইকেলে টহল দিচ্ছে পুলিশের পেট্রোল টিম। পাশাপাশি সার্বিক নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছেন ডিবি পুলিশের সদস্যরাও। এছাড়াও প্রয়োজনে চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংক লেনদেন এবং টাকা পরিবহনেও পুলিশ সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান।
মঙ্গলবার কুমিল্লার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলনে কক্ষে ঈদ ঘিরে নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, ঈদ ঘিরে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। কিন্তু তারপরও সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। ঈদে যারা বাড়ি যাবেন, তারা যেনো মূল্যবান সামগ্রী নিরাপদে রেখে যান। পারলে সাথে নিয়ে যাবেন। আর যদি সাথে নেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে বাসায় যেনো কেউ না কেউ থাকেন কিংবা দারোয়ানকে সতর্ক থাকতে বলে যান, সে যেনো সঠিক দায়িত্ব পালন করে, সতর্ক থাকে। অনেকসময় দেখা যায়, বাড়ির গেইটে দারোয়ান থাকে না। তখন অনেক কিছুই ঘটতে পারে। এ দায়িত্বটা বাড়ির কিংবা ফ্ল্যাটের মালিককে নিতে হবে। তিনি যেনো এনশিউর করেন- তার বাড়ির দারোয়ান ২৪ ঘন্টা গেইটে থাকে। বাসার মালিকরা যেনো তাদের বাসায় এন্ট্রি-এক্সিটটা যেনো সিসিটিভি কাভারেজের আওতায় নিয়ে আসে। মার্কেটের ব্যবসায়ীরাও যেনো এ বিষয়টা ফলো করেন। কারণ তারাও ঈদে দোকান-মার্কেট বন্ধ রেখে চলে যাবে না। তাই যদি এন্ট্রি-এক্সিট না সিসিটিভি কাভারেজের আওতায় আসে তাহলে কিছু ঘটলে তা শনাক্ত করা যাবে। এছাড়াও ইলেক্ট্রিক এবং ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসগুলো সেইফ পজিশনে রেখে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ব্যাংক এলাকাগুলোতে সবাইকে ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে বড় ধরনের লেনদেন যদি কেউ করে, সে যদি অনিরাপদ বোধ করে সে যেনো পুলিশকে জানায়। আমরা প্রোটেকশান দেবো। পুলিশের টহল পার্টি বাড়ানো হয়েছে। শুধু মহানগরী নয়, অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও আমরা পুলিশের টহল বাড়িয়েছি। দিনের শুরু থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ইউনিফর্মে মোটরসাইকেল পেট্রোল বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও ডিবি পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম মাঠে আছে; মানুষ যেনো কোনো অবস্থাতেই ছিনতাই কিংবা ডাকাতির শিকার না হয়। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে কাজ করছি, মানুষ যেনো একটু সচেতন হয়।
মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, শহরের কিছু জায়গায় আমরা থ্রি-হুইলার বন্ধ করে দিয়েছি, কিছু জায়গায় ডাইভার্সন দিয়ে দিয়েছি, কিছু জায়গায় সেভেন সিটার পরিবহন বন্ধ করেছি। অনেক জায়গায় ফুটপাথ উচ্ছেদ করে দিয়েছি। কান্দিরপাড় লিবার্টি মোড় থেকে রাজগঞ্জ পর্যন্ত ফুটপাত পুরোটাই উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া পদুয়ার বাজারে রাস্তার উপরে যতো ফুটপাথ ছিলো, বাসের কাউন্টার ছিলো সবকিছু আমরা উচ্ছেদ করেছি। উচ্ছেদের রাত ১০টার দিকে গিয়েও আমার ক্লিয়ার দেখেছি। আমরা চাই নগরবাসীকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য। এতে সাময়িক কারো কারো অসুবিধা হবে। তবে অনেকেরই সুবিধা হবে। আমরা কাজ করার চেষ্টা করছি যেনো একটা পারমানেন্ট শেইপে নিয়ে আসা যায়। আর এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।