ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভোগান্তির অন্যতম কারণ হতে পারে কুমিল্লার চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশনের নিয়মিত যানজট। 

প্রকাশিত: ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২০, ২০২৩
কুমিল্লা প্রতিনিধি : রমজান শেষে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর হতে পারে শনিবার। বুধবার (১৯ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি। ইতিমধ্যে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে কুমিল্লাসহ দেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের ঘর মুখো মানুষের ভোগান্তির অন্যতম কারণ হতে পারে চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশনের নিয়মিত যানজট।
গত এক সপ্তাহ যাবৎ প্রকৃতিতে চলছে রেকর্ড পরিমান তাপমাত্রা। এমন পরিস্থিতিতেই পরিবার-পরিজন নিয়ে নাড়ির টানে বাড়ি উদ্দেশ্যে রওয়ানা করছেন রাজধানী ঢাকাসহ দূর-দূরান্তে থাকা শ্রমজীবী মানুষ। এমন দুর্বিসহ দাবদাহ ও গরমে রোজা রেখে চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশনে যানজট আটক থেকে যাত্রীদের চরম ভোগান্তির সম্ভবনা রয়েছে।
সরেজমিনে চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে চার লেনের মহাসড়কের চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশনে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে যত্র-তত্র গাড়ি পার্কি, মহাসড়কের উপরেই অনুমতিহীন অবৈধ মারুতি-মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড, মহাসড়কের পার্কিং এলাকা দখল করে রিক্সা স্ট্যান্ড, সড়ক বিভাজনের উপর প্রায় ১শ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত তাঁরের বেরা ও ফুটওভার ব্রীজ উপেক্ষা করে মহাসড়ক পারাপারসহ নানা সমস্যায় ওই স্টেশন এলাকার যানজটের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িছে।
দীর্ঘ বছরের পর বছর মহাসড়কের এমন অবস্থা চলতে থাকলেও কার্যত কোন ভূমিকা নেই পুলিশের। ওই স্টেশন এলাকায় নিয়মিত পুলিশের উপস্থিত না থাকায় প্রতিনিয়ত দূর্ভোগ যাত্রী ও চালকদের। ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে যান চলাচল বৃদ্ধির পাওয়ার সাথে সাথে যানজটও তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে গাড়ি চালক ও যাত্রী সাধারণ।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. হাবিবুর রহমান জানান, স্টেশনেই আমার গাড়ির ওয়ার্কসপ। এ স্টেশন কোন নিয়ন কানুন নেই। স্থানীয় পরিবহনগুলো যেমন সততা, একতা, পায়রা, পাপিয়া এসব যানবাহন গুলো নির্দিষ্ট স্থানে না দাঁড়িয়ে মহাসড়কের উপরে দাঁড়িয়েই যাত্রী-উঠানামা করায়। এতেই যানজট সৃষ্টি হয়। এছাড়া মারুতি ও লেগুনাই দখল করে রাশে মহাসড়কের অর্ধেক অংশ। নির্দিষ্ট স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারলে যানজট কমানো সম্ভব হবে না।
চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের বাস চালক মিজান জানান, মহাসড়কের কোথাও এমন অবস্থা নাই। শুধু চান্দিনা স্টেশনেই দেখি যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠানো-নামানো চললে। অনেক সময় স্টেশনের এক দেড় কিলোমিটার দূরে থেকেই যানজট আটকে থাকি। যানজট ঢেলে সামনে এসে দেখি মারুতি রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে আছে!
হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ইন-চার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. ওবায়দুল হক জানান, এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করেছি। যানজট মুক্ত মহাসড়ক গড়তে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। তবে পুলিশের উপস্থিত ব্যতিত আবারও পুরানো চেহারায় ফিরে আসছে।