পদ্মা সেতুর ছবি বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাসের হাতে তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রকাশিত: ৪:০৭ অপরাহ্ণ, মে ২, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ ২০১২ সালে ‘ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের যে প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংক সরে দাঁড়িয়েছিল, বিশেষ প্রতিনিধি ঃ প্রায় এক যুগ পর সেই পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করে তারই একটি ছবি ঐ সংস্থার প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাসের হাতে তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের সদরদপ্তরে ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের সম্পর্কের ৫০ বছর’ উদযাপন অনুষ্ঠানের শেষে তিনি ফ্রেমে বাঁধাই করা ছবিটি তুলে দেন।

এসময় তিনি বলেন, “আমি ছবিটি উপহার দিলাম কারন আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছিল তা মিথ্যা ছিল। আমি এটাকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। এবং কানাডার আদালতেও এটা প্রমান হয়েছে যে কোনো ধরণের দুর্নীতি হয়নি।“

২০১২ সালে পদ্মা সেতুর ১২০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি বাতিল করে বিশ্ব ব্যাংক। অভিযোগ ছিল সেতুর কাজ পেতে বাংলাদেশি ও কানাডিয়ান ফার্মের কর্মকর্তা ও কিছু ব্যক্তি ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্র করেছে এমন প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে।

কানাডীয় কোম্পানি এসএনসি-লাভালিনের শীর্ষস্থানীয় তিন জন কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রের কথা সামনে আসে, ফলে বিষয়টি কানাডীয়ান আদালতে গড়ায়। কিন্তু আদালত কোনো ধরনের দুর্নীতির প্রমাণ পায় নি।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী তার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করেন, যা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। গত বছর জুনে রাজধানী ঢাকার সাথে দক্ষিণ অঞ্চলের যোগাযোগ স্থাপনকারী এই সেতু উদ্বোধন করেন তিনি।

বিশ্বব্যাংককে সোমবার তিনি বলেন, “আমরা এখান থেকে ভিক্ষা নেই না। আমরা ঋণ নেই। এবং তা সুদ সমেত ফেরত দেই । বিশ্বব্যাংকের অংশীদার হিসেবে এটা আমাদের অধিকার।”

তিনি বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সামনের দিনের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বলেন, “বাংলাদেশ নির্বিঘ্নে এগিয়ে যাবে। এখানে আমার উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে আমরা বিশ্বব্যাংকের প্রতি আমাদের আস্থা বজায় রাখছি।”

“আগামী দুই দশকে আমাদের সাফল্য নির্ভর করবে আমাদের সম্মিলিত সক্ষমতা এবং উদীয়মান চ্যালেঞ্জগুলোকে ন্যায্য ও টেকসই উপায়ে অতিক্রম করার প্রচেষ্টার উপর।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সোনার বাংলায় পিছিয়ে থাকা আমাদের কোটি কোটি মানুষকে সুখী জীবনযাপন করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।,” বলেন তিনি।