গাজীপুর সদর থানার এস আই আবু সাইদের দুর্নীতি ও সকল প্রকার অপকর্মের কালো অধ্যায়।

প্রকাশিত: ৬:১৩ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২৩

 

বিশেষ প্রতিনিধি:-
সকল প্রকার অপকর্মের নেপথ্যে সাব ইন্সেক্টর আবু সাইদ।
মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারী, এবং গাজীপুর মহানগর মেট্রোপলিটন সদর থানার মাল খানার দ্বায়িত্ব পেয়ে বনে গেছেন রাজা, ইচ্ছামত যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছেন, সে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ।

গাড়ি ও মাদকসহ জব্দকৃত মালামাল ডান হাত বাম হাত করার অভিযোগ তার নামে কারি কারি।
এমন সব অভিযোগ আসে ক্রাইম পেট্রোল টিমের কাছে।

প্রাথমিকভাবে তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে সাব ইন্সপেক্টর আবু সাইদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলা হয়।

তাকে প্রশ্ন করা হয় , ৬ গ্রাম হিরোইন সহ ২৪ নং ওয়ার্ডের চাপুলিয়া গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী প্রায় ডজন খানেক মামলার আসামী শরিফ (পিতা: আজিজুল হক সাং চাপুলিয়া, সদর, মহানগর, গাজীপুর) কে আটক করা হয়।

গত বছর ১৮/০৫/২০২২ ইং তারিখ রাত ১১.৩৫ মিনিটে লাল রংয়ের একটি এপাচি অন টেস্ট আর টি আর, মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। রেজিস্ট্রেশন বিহীন জব্দকৃত মোটরসাইকেলটি আপনি কোর্ট অর্ডার ছাড়া ছেড়ে দিয়েছেন?

তিনি বলেন, কোর্টের অর্ডার প্রাপ্ত হয়েই মোটরসাইকেলটি ছাড়া হয়েছে। তার কাছে জামিনের কাগজ চাওয়া হলে তিনি বলেন ওসি সাহেবের সাথে কথা বলার জন্য।

জামিনের কাগজ দেখাতে ওসির পারমিশন লাগবে। বারবার তার সাথে কথা বলা হলে কাগজ চাইলে তিনি না দেওয়ার আচরণ করে যায়।
রেজিস্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেলটি কোন আইনে ছেড়ে দিলেন সে প্রশ্নের? উত্তর আজো অজানা।

এমনিতেই জন সাধারণ মানুষের মনে একটা প্রশ্ন সব সময় থাকে পুলিশ গাড়ি ধরলে গাড়ির কাগজপত্র না থাকলে সেই গাড়ির চাক্কাটাও খুঁজে পাওয়া যায় না।
এত বড় গাড়িটার মালামাল যায় কোথায়? এমন কোন খেঁকো যারা গাড়ি খায়,-গাড়ির মালামাল খায়, তারাই হলেন এমন আবু সাঈদদের মত মালখানার রাক্ষস।

বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে এ সমস্ত মালখানার রাক্ষসরা।

সামান্য একটি অটো গাড়ির ব্যাটারির লোভ পর্যন্ত তারা সামলাতে পারেন না। গরিব মানুষের ব্যাটারি চালিত যে সমস্ত রিক্সাগুলো, এদেরকে মাঝে মাঝে ধরা হয় বেআইনি ভাবে রাস্তায় চলাচলের জন্য, এরাও তো দিনমজুর খেটে খাওয়া শ্রেনির মানুষ, এদের কাছে এই অটোটাই যেন জীবন নির্বাহের একমাত্র হাতিয়ার।
পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে, মামলা করবে, এটা প্রতিনিয়ত একটি ব্যাপার।

তাই বলে ব্যাটারি চুরি করে খেয়ে ফেলবে এটা কি করে সম্ভব? এমন হাজারো গরিবের সব অভিযোগের দায় কি এড়াতে পারবে? আবু সাঈদদের মত মালখানার রক্ষক নামের রাক্ষসরা।

এ দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে থামানো যাচ্ছে না,মাদকের কালো থাবা থেকে। দিন দিন মাদকের সয়লাব বেড়েই চলছে।
দেশের শত শত হাজার হাজার কোটি টাকা কালো হয়ে যায় এই মাদক কারবারীদের মদদ দাতা এমন আবু সাঈদ দের মত রক্ষক নামের রাক্ষসদের সহযোগীতার কারণে।

পাবলিকের মাল থানায় গেলে পুলিশের হয়ে যায় এটা কি করে সম্ভব?

সাব ইন্সপেক্টর আবু সাঈদের সহকারি রাইটার তুহিনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের কাহিনীর প্রমাণ এমনটাই মিলেছে।

গত ১৬ দিন আগে গাজীপুর সদর মেট্রোপলিটন সদর থানায় স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশের হাতে, ফকির বাড়ি এলাকা থেকে, সাগর নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ১১০ পিস ইয়াবা সহ গ্রেফতার করে।
আসামীর ব্যবহৃত মটরসাইকেলটি জব্দ তালিকায় দেখায়নি।
থানার জিম্মায় রেখে, আসামীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। আসামীর গাড়িটি মামলায় জব্দ না দেখিয়ে রেখে দেয় সাব ইন্সপেক্টর আবু সাইদের কাছে।

আসামী সাগরের অভিভাবক রতনের কাছে এক লক্ষ টাকা দাবী করেন আবু সাইদরা। ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে গাড়ি ফেরত দেওয়া হবে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।
আরও প্রমাণ মিলে, সাব ইন্সপেক্টর আবু সাইদের অন্যায়ের অপরাধের সহকারী কাঙ্খিত রাইটার তুহিন গাড়িটি ব্যবহার করছেন নিজের মত করে।

আসামীর সম্পদ নীল রংয়ের জিক্সার মোটরসাইকেলটি ব্যবহার করার পারমিশন রাইটার তুহিনকে কে দিল?

বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনারা হয়তো জানেন না আপনাদের মালখানার রাক্ষসদের গল্পকাহিনী।
তদন্ত করলে এমন হাজারো ঘটনার জন্ম নিবে।
এদের ব্যাপারে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হোক।

বাংলাদেশ পুলিশের কলঙ্ক এ সমস্ত করাপটেড পুলিশের পোশাক পড়া, জাতির কলঙ্ক, আইন বিক্রিকারী, লেবাসধারীদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হউক।