আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (ড্রাফটিং) এর বিরুদ্ধে তাঁর নিজ এলাকা পুঠিয়ার জনপ্রতিনিধিদের প্রতারণার অভিযোগ।

প্রকাশিত: ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ, জুন ৫, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি : আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (ড্রাফটিং) আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে তাঁর নিজ এলাকা পুঠিয়ার জনপ্রতিনিধিরা প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

রোববার পুঠিয়ায় একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মুকুল। এ ছাড়া পুঠিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ খান ঝন্টুসহ স্থানীয় কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মুকুল অভিযোগ করেন, সিনিয়র সহকারী সচিব আরিফুল ইসলাম চাকরি দেওয়ার নাম করে এলাকার অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে রেখেছেন। তবে তাদের চাকরি দিতে পারেননি। সেই টাকা চাইতে গেলে আরিফুল ইসলাম নানা রকম হয়রানি ও পুলিশের ভয় দেখান। এমনকি তিনি নিজের ফুফাতো বোনের ছেলেকে চাকরি দেওয়ার নামে আড়াই লাখ টাকা নেন। কিন্তু চাকরি বা টাকা কোনোটাই দেননি।

এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে এলাকায় জোর করে পুকুর খনন, বাজার মূল্যর চেয়ে বেশি দামে জমি কেনা, অন্যের জমি দখল, নিজের ও স্ত্রীর নামে বিভিন্ন দলিলে কোটি টাকার জমি ক্রয় করে রাজস্ব ফাঁকি দিতে দাম কম দেখিয়ে দানপত্র রেজিস্ট্রির অভিযোগ আছে।

পুঠিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ খান ঝন্টু বলেন, আরিফুল ইসলাম টাকা ছাড়া কিছুই বোঝেন না। আমার সঙ্গে তাঁর কোনো বিরোধ নেই। এলাকাবাসীর সমস্যা নিয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে ছিলাম।

এসব বিষয়ে আরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পুঠিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মুকুল দলিল লেখক সমিতির সভাপতি হিসেবে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। দলিল বাবদ সরকারি রেটের বাইরে তিনি জনগণের কাছ অনেক টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করেছেন। এর প্রতিবাদ করায় তিনি আমার বিরুদ্ধে লেগেছেন। আর আশরাফ খান ঝন্টু আমার চাচা। আমার বেশ কিছু জমি তিনি দখল করে রেখেছেন। প্রতিবাদ করায় তিনিও আমার ক্ষতি করার জন্য অভিযোগ করে যাচ্ছেন। আমি আমার আয় ও ঋণ করে ছয় বিঘা জমি কিনেছি। সরকারি নিয়ম মেনেই রেজিস্ট্রি নিয়েছি।