তীব্র দাবদাহ ও প্রচণ্ড গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজলো চাঁদপুর।

প্রকাশিত: ৬:৫৬ অপরাহ্ণ, জুন ৮, ২০২৩
স্টাফ রিপোর্টার :তীব্র দাবদাহ ও প্রচণ্ড গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজলো চাঁদপুর। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল ১০টা থেকে এ জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
জানা যায়, বিগত কয়েকদিন যাবত তীব্র তাপদাহের কারণে প্রচণ্ড গরম ছিল চাঁদপুরে। আজ জেলায় শুরু হওয়া বৃষ্টিতে তাপদাহ অনেকটাই কমে এসেছে। যার ফলে জনমনে শান্তি বিরাজ করছে।
এদিকে বুধবার (৭ জুন) সকাল ১০টায় চাঁদপুরে মতলব উত্তর উপজেলার ইত্তেহাদুল ওলামা গোষ্ঠীর আয়োজনে ছেংগারচর মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইত্তেহাতুল ওলামা কমিটির নেতাকর্মীসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কয়েকশ মুসল্লি অংশ নেন।
নামাজ আদায়ের ২৪ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার চাঁদপুর সদরসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলায় স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়।
চাঁদপুর শহরের ব্যাংক কলোনীর বাসিন্দা ও কাঠ শ্রমিক আয়ুব আলী জানান, কয়েকদিন যাবৎ গরম ও বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ের কারণে জীবন অতিষ্ঠ হওয়ার অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিল। সকাল ১০টার দিকে থেকে বৃষ্টি হওয়ায় পরিবেশটা কিছুটা ঠান্ডা হয়েছে। আর কিছু না হলেও গরম তো কমেছে। আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি। বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হয়েছে। আল্লাহ সবাইকে হেফাজতে রাখুক। এভাবে যদি কয়েকদিন বৃষ্টি হয় তাহলে লোডশেডিং হলেও তেমন প্রভাব পড়েবে না।
চায়ের দোকানদার দুলাল জানান, অনেকদিন পর বৃষ্টি হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো লাগছে। আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি। আল্লাহর কাছে শুকিরিয়া আদায় করছি। গতকয়েক দিন ধরে গরম আর লোড শেডিংয়ের কারণে দোকানদারি করতে খুবই কষ্ট হয়েছে। এখন অনেকটা স্বস্তি লাগছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা রোজিনা আক্তার বলেন, আলহামদুলিল্লাহ দীর্ঘ অপেক্ষার আমাদের মাটিতে বৃষ্টি এসেছে। বৃষ্টি দেখে স্বস্তি লাগছে।
মতলব উত্তর উপজেলার সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন যাবৎ গরমে জীবন অতিষ্ঠ হওয়ার অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিল। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় গরম থেকে বাঁচতে বৃষ্টির আশায় বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন চাঁদপুরের মতলব উপজেলার মুসল্লিরা। আল্লাহ তাদের মনের আশা কবুল করেছেন।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুপসা গ্রামের বাসিন্দা কৃষক টেলু মিয়া বলেন, গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড গরমে মাঠে কৃষি কাজ করতে পারছিলাম না। আজ বৃষ্টি হচ্ছে। কাজ করতে ভলো লাগছে।
ইত্তেহাদুল ওলামা গোষ্ঠীর সদস্য গাজী ইমদাদুল হক মানিক জানান, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ পানির জন্য হাহাকার করছে। আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে বৃষ্টি বা পানির জন্য দোয়া চাইতে বলেছেন। তাই আমরা সবাই একত্র হয়ে গতকাল এ নামাজ আদায় করেছি। আল্লাহ কুবুল করেছেন। আজ বৃষ্টি হচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো লাগছে।