ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লা এলাকায় রেললাইনের সিগন্যাল পয়েন্ট মেশিনের মোটর চুরি। ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২৩ বিশেষ প্রতিনিধি : ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লা এলাকায় রেললাইনের সিগন্যাল পয়েন্ট মেশিনের মোটর চুরির অভিযোগ উঠেছে। কুমিল্লার ৬৭টি পয়েন্ট মেশিন রয়েছে। এর মধ্যে ২৫টি পয়েন্টের মোটর চুরি হয়েছে। এ কারণে, স্টেশনগুলোর লুপ লাইন অকার্যকর হয়ে পড়েছে। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ট্রেনের এক লাইনের সঙ্গে অন্য লাইনের সংযোগ স্থাপন ও বিচ্ছিন্নকরণের জন্য যে মেশিন ব্যবহৃত হয়, এর মূল অংশ হলো মোটর। কুমিল্লা অঞ্চলের বিভিন্ন স্টেশন এলাকা থেকে সেই মোটর চুরি হয়ে গেছে। ফলে, বিভিন্ন স্টেশনে লোকাল লাইনগুলো বন্ধ হয়ে পড়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “গত মে মাসে দুর্বৃত্তরা কুমিল্লা অঞ্চলের কয়েকটি স্টেশনের মোটর চুরি করে নিয়ে গেছে। স্টেশনগুলোর মধ্যে রয়েছে; আলীশহর, লালমাই, ময়নামতি, কুমিল্লা ও রাজাপুর স্টেশন। এসব স্টেশন থেকে চুরি হয়েছে ২৫টি সিগন্যাল পয়েন্ট মেশিনের মোটর। এ কারণে স্টেশনগুলোর লুপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এবং অতিগুরুত্বপূর্ণ ও দ্রুতগতির ট্রেন পাস দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।” রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, “পয়েন্ট মোটর চুরির ঘটনা বেশি ঘটে লালমাই ও ময়নামতি স্টেশনে। লালমাইতে ১২টির মধ্যে আটটি এবং ময়নামতিতে ১০টির মধ্যে ১০টিই চুরি হয়ে গেছে।” রেলওয়ে বিভাগের কুমিল্লায় দায়িত্বরত ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী সংকেত আহমদ আলী জানান যে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লা অঞ্চলে রেলের সম্পদ রক্ষার ঝুঁকি বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, “দুই সপ্তাহে আখাউড়া ও লাকসাম ডাবল লাইনের ২৫টি পয়েন্টে চুরি হয়েছে। এগুলোর মূল্য প্রায় চার কোটি টাকা।” সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর কুমিল্লা অঞ্চলের সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, “চুরির পেছনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দায় রয়েছে রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তারও। আমরা জানি সারাদেশে মাত্র দুইটি প্রতিষ্ঠান রেল পথের নির্মাণ ও সংস্কারে কাজ করে যাচ্ছে। তাই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের যোগসূত্র থাকতে পারে।” আখাউড়া-লাকসাম ডাবল রেললাইন প্রকল্প-এর কুমিল্লার মিড লেভেল অপারেশনস অফ সেফটি অফিসার গোলাম মোস্তফা বলেন, “সিগন্যালকে আধুনিকায়ন করতে প্রতিটি পয়েন্টের জন্য মেশিন কেনা হয়েছিলো। চুরি হওয়া ২৫টি মোটরের দাম তিন কোটি ৭৫ লাখ টাকা।” তিনি আরো বলেন, “মোটর উদ্ধার করতে রেল বিভাগের জিআরপি থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।” লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ আলম জানান, “মোটর চুরির ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।” SHARES অপরাধ/দূর্নীতি বিষয়: