সিলেট সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

প্রকাশিত: ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ, জুন ২২, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি : সিলেট সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। বিপুল ভোটের ব্যবধানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলকে পরাজিত করেছেন তিনি।

নৌকা প্রতীকের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৬১৪ ভোট। আর তাঁর নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩২১ ভোট। ৬৮ হাজার ২৯৩ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন আনোয়ারুজ্জামান।

বুধবার (২১ জুন) রাতে সিলেটের জালালাবাদ গ্যাস অডিটোরিয়ামে ১৯০টি কেন্দ্রের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল কাদির।

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবারই প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। আর পেশায় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বাবুল জাতীয় পার্টির মহানগর শাখার আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি এর আগে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করলেও মেয়র পদে এবারই প্রথম নির্বাচন তাঁর।

এবার মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭২ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ (বুথ) ছিল ১ হাজার ৩৬৪টি।

এদিকে এই নির্বাচন বর্জন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং তাদের সমমনা ও বামদলগুলো। ফলে নির্বাচনে অংশ নেননি বিএনপি নেতা ও বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আর করোনায় প্রয়াত হয়েছেন সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান।

এর আগে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ৪২টি ওয়ার্ডে এই সিটিতে এবার পঞ্চমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এবার মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬০ জন ও নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন এবং ৬ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিলেন।

নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা ছিলেন-জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র মো. আব্দুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, মো. শাহ জাহান মিয়া এবং মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।

শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে মোট ২ হাজার ৬০০ পুলিশ সদস্য মাঠে দায়িত্ব পালন করেন।