ফেনীর পরশুরামে ভোটের রণাঙ্গনে পরাস্ত কামাল

প্রকাশিত: ১:৪১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২৪


শিবব্রত(বিশেষ প্রতিনিধি)
————————————————————–
পরশুরামে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার ১৯৯২ সাল থেকে হাওয়ায় ভর করে আকাশে চড়েছিলেন। কিন্তু এবারের আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ময়দানে এসে মহাগোটবন্ধন বা তার দলীয় মহাজোটের কাছে ভুত হয়ে গেলেন। জনগণের কাছে এটাই তার প্রথম পরাজয়। এবারের আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনতার কাছে বিপর্যয় কামাল উদ্দিন মজুমদারের গ্রহনযোগ্যতা কে একেবারে বসিয়ে দিয়েছে। মাত্র এক মাস আগে অব্দি কামাল উদ্দিন মজুমদারকে একজন অপরাজেয় হিসেবে তুলে ধরা হতো।আর এখন? কামাল উদ্দিন মজুমদারকে সমসাময়িকদের মাপের বলে ও গন্য করা হচ্ছে না।
এই অবস্হার সৃষ্টির দায অন্য কারোর উপর চাপানো হচ্ছে না, শুধু কামাল উদ্দিন মজুমদার এবং তার জামাতা ইয়াসিন শরীফের উপর দোষারোপ করা হচ্ছে। কামাল উদ্দিন মজুমদার এবং তার জামাতা ইয়াসিন শরীফ মজুমদার যদি বিশ্বাস করেন যে, অসহিষ্ণু ব্যবহার ,বোকার মতো ভাষন আর তাদের বিরোধী দের উপর হামলে পড়লেই তাদের পক্ষে জনতার ভোট ঝুর ঝুর করে অর্থাৎ ভোটাররা নির্দ্বিধায় ভোট দিয়ে দিবে ,তাহলে তারা এতদিন ভুল অনুভবে ছিলেন। বলতে হয় তারা উভয়েই শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছেন জনগণের মনোভাব তথা ভাবগতিক বুঝতে। পরিস্থিতি বিছরি মোড় নিয়েছে শ্বশুর জামাতার কর্মকান্ডে। গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সরকারী অ-সরকারী সভা সেমিনার সহ অনুষ্ঠানে তারা বদলে ফেলেছিলেন তাদের ভাষণের গতি প্রকৃতি। যাইহোক কামাল উদ্দিন মজুমদারকে এবারের এই শোচনীয় পরাজয় যে অপ্রত্যাশিত ছিলো সেটা নয় ,তাই তার এই শোচনীয় পরাজয়ে অবাক হবার মত কিছু নেই। তারপরেও যেটা অবাক হবার মতো সেটা হচ্ছে দীর্ঘ তিন যুগের অপরাজেয় ব্যক্তির জনতার কাছে এভাবেই বিপর্যয় ঘটা। রাজনৈতিক ভাবে যারা রঙ্গ দেখছেন তারা কখনোই ভাবেননি পরশুরামের জনগণের ভোল এভাবে পাল্টে যাবে। তবে জনগণ দীর্ঘদিন তত্ত্বতালাশ করেই এই রায় দিয়েছে।
কামাল উদ্দিন মজুমদার যিনি নিজেকে দীর্ঘ তিন যুগ ধরে জনগণের কাছে নিজেকে সফল ও জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে ভেবে আসছেন এবং আবারো পরশুরামের সর্বস্তরের জনগণের কাছে পৌঁছে যাবার যাবতীয় উপায়ের সদ্ব্যবহার করেছেন যাতে তার জন্য জনগণের মতামত দিতে রাজি করানো যায়। কিন্তু সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও একসময়ের আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মজুমদার কে নাড়াতে পারেননি,আটকাতে পারেননি তার বিজয় রথ। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরশুরাম উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন পরশুরাম আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মজুমদার। ফিরোজ মজুমদারের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে তার জনপ্রিয়তা ।সেটা সমগ্র পরশুরামের জনগণের মধ্যে। দীর্ঘ দিনের অবলোকনে দেখা যায় কামাল উদ্দিন মজুমদার পরশুরামে যেভাবে বিভাজনের রাজনীতি খেলেছেন , সম্প্রদাযিক অসহিষ্ণু ভাব দেখিয়েছেন এটা ও একটা সমীকরণ হিসেবে দেখছে পরশুরামের জনগণসহ রাজনীতিতে জড়িত ব্যক্তিরা। এই যে জনগণের রায় বেড়িয়েছে তা নিছক নয়। এই রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং জনগণের এক সময়ে কামাল উদ্দিন মজুমদারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ছিল। কিন্তু তার কতৃকর্মের কারনেই আজ তিনি অনেকটা দলছুট।
এবার একটা বিশেষ বিষয়ে নজর দেয়া যাক,
কামাল উদ্দিন মজুমদার যখন পরশুরাম উপজেলা পরিষদে স্বগর্বে চেয়ারম্যান পদে আসীন ছিলেন তখন পরশুরামের প্রতিবেশী উপজেলা ফুলগাজী উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে সমসাময়িক ভাবে একরামুল হক একরাম ছিলেন। দুজনের কর্মের ধারাবাহিকতায় ও পিছিয়ে ছিলেন পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার।
গভীর অনুতাপের বিষয় ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম নেই। ফুলগাজীর মানুষের আবেগের প্রকাশ হয়যে, একরামুল হক একরাম কে ফুলগাজী তথা বাংলার রাজনীতিতে আর কোন দিন দেখা যাবেনা। মৃদুভাষী,উদ্যমী ও সমাজসেবক উচ্চ নীচ সকল মানুষের অকৃত্রিম দরদী এখন চিরনিদ্রায় শায়িত। তার সহানুভূতি, ভালোবাসা আর তার স্মৃতি এখনো ছুঁয়ে আছে ফুলগাজীবাসিকে। ২০১৪ সালের ২০ শে মে ফেনী থেকে ফুল গাজীর উদেশ্যে সকালে যাত্রানাস্তি যোগে বাসা থেকে বের হয়ে শহরের তৎকালীন বিলাসী সিনেমা হলের সামনে আসা মাত্র মহাকালের অশুভ করাল গ্রাসে বিলিন হয়ে যান তিনি।কারা এই মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিলেন খবরটি চাপা থাকেনি। মিডিয়ার কল্যাণে ছিটকে বেরিয়ে যায় বাইরে। বাংলার সরকার ও বাংলার সংবাদ মাধ্যম যথাসময়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন এই হত্যাকাণ্ডের জড়িতদের মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে।।আর এই দীর্ঘ সময়ে ফেনী ও মুহুরী নদী দিয়ে গড়িয়ে গেছে অনেক জল।ফুলগাজী বাসীর দূর্ভাগ্য যে, তাদের সুখ দুঃখের কথা মাথায় রেখে মরহুম একরামুল হক একরাম ফুলগাজীতে দৃশ্যমান উন্নয়নের গোড়াপত্তন করেছিলেন। যার ধারাবাহিকতায় ফুলগাজী বাসী ওসব উন্নয়নের সুযোগ সুবিধা যে ভোগ করছেন এটা তার শত্রুরা ও স্বীকার করতে হবে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেই উন্নয়ন ঝিমিয়ে যায়।তাই ফুলগাজী বাসি ও অনেকটা বঞ্চিত হয়েছে উন্নয়নের সুযোগ সুবিধা ভোগ করার সৌভাগ্য থেকে।
ফুলগাজি উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম একরামুল হক একরামের সমসাময়িকতায় পরশুরাম উপজেলা পরিষদে ছিলেন কামাল উদ্দিন মজুমদার।সেই হিসেবে এই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ফুলগাজির উপজেলা নির্বাচনে মরহুম একরামুল হক একরামের কর্মকান্ড নিয়ে ও পরশুরামের জনগণের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে।সেই হিসেবে এই দীর্ঘ সময়ের ধারাবাহিকতায় পরশুরাম উপজেলাকে ফুলগাজী উপজেলার উন্নয়নের সাথে তুলনার সমীকরণে সুক্ষ্ম হিসাব করে , পরশুরামের প্রান্তিক পর্যায়ের লোকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ,ফুলগাজীর উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম থেকে পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার তো আরো সুদীর্ঘ সময় উপজেলা পরিষদে আসীন ছিলেন।তাহলে এই কামাল উদ্দিন মজুমদারের পরশুরাম বাসীর প্রতি সহানুভূতি, নির্বাচন কালীন এলাকাবাসীর দোরগোড়ায় যে প্রতিশ্রুতি তথা এলাকায় সর্বস্তরের উন্নয়নের দিক গুলোর অভিজ্ঞতা কি? এলাকাবাসীরা মুচকি হেসে মাথা চুলকিয়ে সমস্বরে সলজ্জ ভাবে জানিয়েছেন”ওয়ান্ডার ফুল” এটা কি ভাবে কি নিরিখে বলা হলো তাদের প্রতি শত প্রশ্ন করে ও জানা গেলো না। তাদের বিস্ময় এবং বিরাগ রহস্যময় হয়ে রইলো।
কামাল উদ্দিন মজুমদার একজন পন্ডিত ব্যক্তি। তিনি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সভা সেমিনার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তবে খানিকটা সময় পেলে হয়তো তিনি এলাকা তৃণমুল থেকে উন্নয়নের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তেন।চাইকি গত সুদীর্ঘ সময়ের কিছু কিছু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়ন করতেন।এসব দেখে পরশুরাম উপজেলা বাসী তথা আপনদল বিরোধী দল গর্বে বুক ফুলিয়ে বলতো আমাদের”উপজেলা চেয়ারম্যান”! কিন্ত আগে তিনি এসবের ধারেকাছেও ঘেঁষেননি ।যদি ঘেঁষতেন তাহলে সমৃদ্ধ হতো পরশুরাম উপজেলা বাসী। জানা যেত জনগণের “ওয়ান্ভার ফুল” অভিজ্ঞতার সার কথা।দেশে টানা চার বার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলো। এটা স্হানীয় আওয়ামী লীগের সর্বজন বিদিত যে, আওয়ামী লীগের এই টানা সেশনের প্রথমবার ২০০৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে তখন আগের সময়ে পরশুরামে আওয়ামী লীগে নিযুক্ত যারা নীতিও নৈতিকতা বা দলের বিধিনিষেধ কঠোর ভাবে মেনে চলেছেন যাদের আওয়ামী লীগের জন্য সর্বাপেক্ষা ত্যাগ ছিল নিজের স্বার্থের জন্য একসময়ের ঘনিষ্ঠ নেতাদের বিতাড়িত করার জন্য ছক কষা শুরু করেছিল এবং ছলে বলে কৌশলে বিতাড়িত ও করা হয়েছিল বা বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে কোনঠাসা করে রেখেছিল। এবং এই কর্ম অনেকটা সফল ও হয়েছিল। ওই তৎকালীন সময়ে প্রমিন্যান্ট নেতৃত্বে ছিলেন এই উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার। তিনি ভেবেছেন এটা যদি করা যায় তাহলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে।এক.বিভিন্ন অর্থনৈতিক আয়ের পথে কেউ বাধা সৃষ্টি বা অংশীদারিত্ব দাবী করতে পারবেনা। দুই.নিজের খেয়াল খুশিমতো পরিবারের লোকদের সুযোগ সুবিধা সহ বিভিন্ন কমিটি বা কাজে কর্তা ব্যক্তি তৈরি করা যাবে।
ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয় যে, এভাবে একক সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছিলেন মোগল আমলের বাদশাহ আকবর। বাদশাহ আকবর তার পুত্র সেলিম কে ,জাহাঙ্গীর তার পুত্র সুজাকে এবং ঔরঙ্গজেব মীর জুমলাকে বাংলার সুবেদার করে পাঠিয়েছিলেন। সেই ট্র্যাডিশন এখনো চলছে।
গত ৩২ বছর যাবত কামাল উদ্দিন মজুমদার ইউনিয়ন পরিষদ পৌর প্রশাসক সহ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন। তার মধ্যে গত ১৫ বছর যাবত উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আছেন। এই উপজেলা চেয়ারম্যান কোন ভাবেই সাধারণ কোন ব্যক্তি নন।এখানে অনেক গুনী,কবি,আইন বিশারদ ও ইতিহাস বিদ অনেকেই বন্ধুর মতো অভিভাবকের মতো সরকারকে পরামর্শ জুগিয়ে উজ্জ্বল ইতিহাস তৈরি করে গেছেন। বাংলার সমাজিক ইতিহাস এভাবেই তাদের স্মরন করবে।
কিন্তু একটি কথা পরশুরামের তৃনমুল সাধারণ মানুষের মনে,গত সুদীর্ঘ সময়ে পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে পরশুরামের উন্নয়ন ও নাগরিকতা মূল্যায়নের হিসাব কি কি ছিল? এই মুল্যায়ন শুধু ছিল পরিবার কেন্দ্রিক। তিনি তার পরিবারের সংঘের বাইরে কিছুই করেননি। যার ভুরি ভুরি প্রমান ও আছে। এত কিছুর পর ও পরশুরামের শান্ত শিষ্ট এলাকাবাসীর যত নজর সময়ে অসময়ে যত আবদার ছিল উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদারের নিকট।তিনি অনেক ক্ষেত্রে এলাকাবাসীর এই সরলতাকে দূর্বলতা ভেবেছেন।
তিনি পরশুরাম সলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।বংশ মর্যাদায় মজুমদার। গায়ের রং শ্যামলা। পরশুরাম উপজেলায় একজন দক্ষ প্রশাসক । কিন্তু একটা খবর নির্ভুল যে তার সময়কালে পর্যাপ্ত নাগরিক সুবিধার অভাব , উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের অভাব সাধারণ জনগণ থেকে দূরত্বে অবস্থান সর্বোপরি পরিবার কেন্দ্রিক রাজনৈতিক পরিচালনা এগুলো এলাকা বাসী প্রত্যক্ষ ভাবে দেখেছে। এলাকাবাসীর বিস্ময় প্রশ্ন, তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও অভিভাবক।তাকে আমাদের “হিজ ম্যাজেস্টি” , মাননীয় ,পরম শ্রদ্ধা ভাজন বলে উল্লেখ করতেই হয়। কিন্তু তাঁর এই সুদীর্ঘ সময় কালে পরশুরামে যে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা,দাবী যে উপেক্ষিত হয়েছে তা এলাকাবাসীর কি ভুলে যাওয়া সম্ভব?কেননা বার বার তার হাসিমাখা নিস্পাপ চেহারাটি চোখের সামনে ভাসবে।বার বার মনে পড়বে সহজ সরল মনে ভোট দিয়ে বার বার জয়যুক্ত করার মানুষ টি ক্ষমতা লাভের পরবর্তী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে ভাষাহীন আর্তনাদ ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এপর্যন্ত দায়িত্ব বোধের পরিচয় দিয়েছেন।নবীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। আমাদের কে ও দেখাচ্ছেন এবং অনেকাংশে সফল ও হয়েছেন। এই উন্নয়ন দেখে যে শুধু বাংলাদেশ নয় গোটা বিশ্ব বার বার অবাক হচ্ছে এটা একবাক্যে স্বীকার করতেই হবে।প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে উন্নয়নের খোয়াব দেখছে নব প্রজন্ম। কিন্তু এই উন্নয়ন যদি তৃণমূল থেকে না হয় বা তৃণমূলেই অংকুরে বিনষ্ট হয় তাহলে এই উন্নয়নের খোয়াব দেখা আর দিবাস্বপ্নে বিভোর থাকা একই কথা।
দেশের মানুষের শুধু একটি আশা যে দেশের যে কোন জনপ্রতিনিধিত্ব মূলক কাজে যারা আসবে তারা যদি দেশে ও দশের স্বার্থ বিবেচনায় না রাখে আর ওসব লোকদের যদি দায়িত্ব দেয়া হয় সেটা এক হিমালয়ান ব্রান্ডার বলে গন্য হবে। জনসমক্ষে হেয় হবে দেশের ভাবমূর্তি। তাছাড়া বাংলার বহুদলীয় রাজনীতি কি মেনে নিবে অকল্যানের আবির্ভাব? কঠিন হলে ও বলতে হবে ,ভাবতে হবে,গড়তে হবে এবং নৈতিকতার হাল ধরে বিবেকের দায় মানতে হবে। আর এটাই তো গনতন্ত্রের অপরিহার্য প্রাথমিক শর্ত
——————