মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে মানব পাচারকারী কামাল নিঃস্ব করেছে হাজারো পরিবারকে।

প্রকাশিত: ১:০১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি:-

পরিবারের মুখে দু মুঠো ভাত তুলে দিতে জিবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন রেমিটেন্স যোদ্ধা প্রবাসীরা।
পরিবারকে নিয়ে স্বাভাবিক জিবন-যাপন নিশ্চিত করতে, যুগের তালে তালে গরীব বাবা সন্তানদের মুখে হাসি ফুটাতে জিবনের মুল্যবান সময় ব্যয় করছেন ভিনদেশের মাটিতে।
গরীব মানুষের স্বপ্ন পুরণের দুর্বলতাকে কাজে লাগায় প্রতারক কিছু দালাল, মানব পাচারকারী মানুষ বেশধারী অসাধু ব্যক্তিগুলো।
সাধারণ মানুষকে ছয় নয় বুঝিয়ে সহায় সম্বলহীন করে দেয় এসমস্ত মানব পাচারকারী কামালগংরা।
কোম্পানির চাকুরীর কথা বলে নিয়ে খাদ্দামা হিসাবে বিক্রি করে দেয় কামাল।
নারীদেরকেও ছাড়ে না এ সমস্ত দালাল সিন্ডিকেট।
এ সংক্রান্ত অভিযোগের শেষ নাই কামালদের বিরুদ্ধে।
এমনই প্রতারণার শিকার হয়েছেন আরেক প্রবাসী মো: শহিদুল ও মো: আবু কালাম দুই ভাই পিতা: মো: দুলাল হোসেন, মাতা: ঝর্না বেগম। মুনসীখিল নরনিয়া, পরশুরাম, ফেনী।

ওমানে দীর্ঘদীন কাজ করে যাচ্ছেন এই দুই ভাই, অন্যান্যদের মত একই কোম্পানীতে চাকুরীর সুবাদে পরিচয় হয় ব্রাক্ষনবাড়ীয়ার নাজির হোসেন নামের এক ভদ্র লোকের সাথে।

সুযোগ বুঝে প্রতারণার ফাদ ফেলেন নাজির হোসেন।

তার প্রতারণার ফাদে পা ফেলেন ফেনী জেলার সহজ সরল ওমান প্রবাসী দুই ভাই আবু কালাম ও শহিদুল ইসলাম।

নাজির হোসেন ও তার আপন ভাইয়েরা মিলে গড়েছেন দালালী প্রতারণার রমরমা ভিসা বানিজ্য।

ভিসা বানিজ্যে রয়েছে অবৈধ ভুয়া ভিসা তৈরীর সরঞ্জামাদি।
ভুয়া জাল ( ইউরোপে যাওয়ার) সার্টিফিকেট তৈরী।
তার ভুয়াবাজির ব্যবসা পরিচালনায় আপন লোক দিয়ে কাজ করান তাই আইনের চোখ কৌশলে ফাকি দিতে পারেন এমনটাই অভিযোগ অনেক ভুক্তভোগী প্রবাসীদের।
যার কারণে মানুষ অতটা সন্দেহের চোখে দেখে না।
স্বার্থ সিদ্ধি হলে
র‍্যাব,ডিবি,প্রশাসনের ভয় আতংক দেন নানান ভাবে।
অসৎ উপায়ে কামিয়েছে কোটি কোটি টাকা ও গড়েছেন সম্পদ।

আইনের চোখ ফাকি দিয়ে মানুষকে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে টাকা হাতানোটাই কামালগংদের কাজ।
নাটকের শুরু ও মিথ্যা প্রলোভনের প্রাথমিক কাজটা করেন নাজির হোসেন ও অন্যান্য ভাইয়েরা। যাহার পাসপোর্ট নং- EL0332465

বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করেন কামালরা।

কামালের বিষয়ে নাজির হোসেন বলেন যে, আমার ভাই ওমানে হাজার হাজার লোক পাঠিয়েছে, তার কাছে কোম্পানীর অর্জিনাল ভিসা আছে যাহা খোদ কোম্পানী তাকে দিয়ে থাকে। কিছু ভিসা অল্প মুল্যে বিক্রয় করা হবে বলিয়া প্রলোভন দেখায়।
প্রতারক কামালের ভাই নাজির হোসেন দীর্ঘদীন একই কোম্পানীতে কাজ করার সুবাদে তার কথায় বিশ্বাষ করেন ভুক্তভোগীরা।
অনেক রকম মিথ্যা বানোয়াট বয়ান দিয়ে বশে আনেন কৌশলে।
নাজির হোসেন আরোও বলেন, আপনার পরিচিত লোকজন থাকলে দেন।
ভবিষ্যৎ উজ্জল হবে, ভালো বেতন বোনাস পেয়ে অল্প দিনে সাবলম্বী হয়ে যাবে। অতপর, শহিদুল ও আবু কালাম তার পরিবারের এবং নিকট আত্বীয়, এলাকার প্রতিবেশী এমন ৬ ছয় জনকে ছয়টি ভিসা দেন।
যাহার মুল্য বাবদ প্রতি ভিসা ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা করে মোট ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেয়, কামাল হোসেনকে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকাগুলো দিয়েছেন যাহার সাক্ষী প্রমান ও ট্রানজেক্শন কপি রয়েছে।
ধুরন্দর প্রতারক পরিবারের লোকদের নাম্বার ও একাউন্টে ও নিজে সম্পুর্ন টাকা নিয়েছে। দফায় দফায় ছয়টি ভিসার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর, কামালের আসল চেহারার চিত্র বৈশিষ্ট ফুটে উঠেছে, ততক্ষনে ফাদে পড়ে যান এই আটজন,ও আটটি পরিবার।
টাকা পয়সা পেয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে চম্পট দেয় কামাল।
ভুক্তভোগীরা হলেন!
১/ আবু কালাম
২/ শহিদুল ইসলাম। উভয় পিতা : দুলাল হোসেন
৩/মো: দেলোয়ার পিতা: আমির হোসেন,
৪/ দিনানসো বড়ুয়া পিতাঃ আনানসো বড়ুয়া,
৫/ মিনহাজুল ইসলাম, পিতা: আবু ইউসুফ মিয়া।
৬/মো: মমিনুল ইসলাম, পিতা: নুনা মিয়া।
৭/মোহাম্মদ ইয়াসিন
৮/মোহাম্মদ জাকির হোসাইন মামুন।

তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগেও প্রযুক্তির সাথে ধোকাবাজীর নতুন সব কৌশল তৈরী করেছেন তারা। যাহা অনলাইনে শো করবে লেকিন মেয়াদোত্তীর্ণ কাগজ। যা অনেক সময় ইমিগ্রেশনের চোখ ফাকি দিয়ে বাম্পার হয়ে যায়।
কামালগংরা ভুয়া কাগজের ব্যবসা করতে ইমিগ্রেশন এর লোকদের সাথে কন্ট্রাকও করে থাকে।
বুক ফুলিয়ে এসব অপকর্ম করছেন দিনের পর দিন,মাসের পর মাস, বছরের পর বছর।
সকলের তথ্য প্রমান কাগজ, ফাইল ফুটেজ করা রয়েছে।

উল্লেখিত উপরোক্ত চারজন ব্যাক্তি বর্তমানে ওমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এমন প্রমান মিলছে।
১/মো: দেলোয়ার পিতা: আমির হোসেন,
২/ দিনানসো বড়ুয়া পিতাঃ আনানসো বড়ুয়া,
৩/ মিনহাজুল ইসলাম, পিতা: আবু ইউসুফ মিয়া।
৪/মো: মমিনুল ইসলাম, পিতা: নুনা মিয়া।
তাদেরকে ওমানে নেওয়ার পর ছেড়ে দেয়
কোন কাজ ত দুরের কথা, রিসিভ পর্যন্ত করেনি কেউ।
টাকা নিয়ে ওমানে পৌঁছে দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় প্রতারক আসামি কামাল।
ভুক্তভোগী শহিদুল ও আবু কালামকে ফেঁসে যায়।
৬জনকে ভিসা দিয়েছেন তারা পরিচিতজন হওয়ায় তাদেরকে দুই ভাইয়ের হেফাজতে নিয়ে রাখা হয়েছে।
বর্তমানে চার মাস চলমান তাদের পেছনে সকল প্রকার খরচ খরচা থাকা-খাওয়া সবকিছুই করে যাচ্ছেন ভুক্তভোগী কালাম ও শহিদুল।
*মোহাম্মদ ইয়াসিন
*মোহাম্মদ জাকির হোসাইন মামুন,
এদের ২ জনকেও ঐরকম ভিসার কাগজ দেন শহিদুল এর কাছ থেকে রোমানিয়ার ভিসার কথা বলে আরো ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নেয় কামাল প্রতারক।

উল্লেখিত চারজনের অবস্থা মানবেতর দেখে বাকি দুইজন বিদেশে না যাওয়ার জন্য পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নেন। কামাল হোসেন আশ্বাষ দেন পাঠানো লোকদেরকে কাগজপত্র ঠিক করে বিদেশের মাটিতে বৈধ করে দেবেন।

‌‍‍”অথচ,বিগত চার মাসের বেশি সময় ধরে লুকিয়ে পালিয়ে দিন কাটাচ্ছেন এই ৪ জন।

এহেন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগীর ( শহিদুলের) পরিবারের লোকজনদের উপর উল্লেখিত ৬ জনের পরিবারের লোকজন নানা জাতিয় চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছেন। মান সম্মান ক্ষুন্ন করছেন।
আসামি কামাল ও নাজির হোসেনের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে আটটি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে।

* প্রতারকরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন এবং টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে যাচ্ছেন তিন তিনবার কথা দিয়ে কথা রাখেন নি বিধায় ভুক্তভোগীরা আরো চাপের মুখে পড়ছে।

* কামাল হোসেন ও নাজির হোসেনদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার আড়াইসিধা গ্রামে।

তাদের ব্যাপারে গ্রামের লোকদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এমন বহু মানুষের জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঢেলে দিয়েছেন এই প্রতারক রা।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার জনাব, সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি অবগত করা হলে দ্রুত আইনি পদক্ষেপের জন্য তাগিদ দেন।