জীবন রক্ষার ঔষধে জীবন বিনাশ।

প্রকাশিত: ১১:৩৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১, ২০২৩

জীবন রক্ষার ঔষধে জীবন বিনাশ
শিবব্রত
বিশেষ প্রতিনিধি

জীবন রক্ষার ঔষধ দ্বারা এখন জীবন বিনাশ হচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। অথচ এর জন্য সাধারণ মানুষ দায়ী হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দায়ী হচ্ছে অসাধু ঔষধ বিক্রেতারা। ঔষধ বিক্রেতাদের অসচেতনতার কারনে একদিকে যেমন ভূল চিকিৎসায় অপমৃত্যু ঘঠেছে সাধারণ মানুষের, অন্য দিকে তেমনি ভাবে ধংস হচ্ছে যুবসমাজ। কেননা বর্তমান যুবকরা ঔষধকে ব্যবহার করে অভিনব কৌশলে তৈরী করেছে নতুন এক মাদক. যা দিনে দিনে পরিনত করেছে মিকচার মাদক নামে। বর্তমানে দেশের এমন কোন স্থান নেই যেখানে মাদকের ভয়াল থাবা পৌঁছেনি মাদকে ছেয়ে গেছে পুরো দেশ। সব শ্রেণীর মানুষ বিশেষ করে তরুন যুব সমাজ মাদকের প্রতি বেশী আসক্ত। তরুনেরা মাদকের টাকা সংগ্রহ করতে অনেক অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে, ফলে এক দিকে বেড়ে চলছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই আর অন্য দিকে অবিশ্যম্ভাবী কিশোর সন্ত্রাসী বৃদ্ধির আশংকা।
প্রশাসনের তৎপরতার ভেতরে ও মাদক সেবীরা পেয়ে যাচ্ছে তাদের মাদক সেবনের উপকরন। মাদক ব্যবসায়ী বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। খুব সহজ উপায়ে মাদক সরবরাহ করছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের দায়িত্ব অবহেলা এবং নীরব ভূমিকা পালনই একমাত্র দায়ী করছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু মাদকসেবীরা যদি ওষুধকে মাদক তৈরির উপাদান হিসেবে ব্যবহার করে তবে এর ভয়াবহতা খুব মারাত্মক আকার ধারণ করবে। জানা গেছে, বিভিন্ন ঘুমের ট্যাবলেট চূর্ণ করে কপের সিরাপ বোতলে মিশ্রিত করে মাদকসেবীরা তৈরি করছে এক নতুন মাদক, যা মিকচার নামে দিনে দিনে পরিচিত হয়ে উঠছে মাদকসেবীদের কাছে। এ ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন করে, এরই ধারাবাহিকতায় যারা চিকন স্বাস্থ্যের অধিকারী, তারা মোটা হওয়ার আশায় এমন মাদকদ্রব্য সেবন করতে করছে না কোন কুণ্ঠাবোধ। অন্যদিকে দেখা গেছে, এ ধরনের মাদক সেবন করার পর কিছু সময়ের জন্য মোটা হলেও পরে শুকিয়ে যাচ্ছে আগের মতো। তাই স্থায়ীভাবে মোটা হওয়ার আশায় নিয়মিত এ মাদক সেবন করে যাচ্ছে তারা। যেহেতু অন্য মাদকের রেস কাটানোই কঠিন, তাতেই আবার উদ্ভাবিত মিকচার মাদক তরুণ সমাজকে নিশ্চিত নিয়ে যাচ্ছে ধ্বংসের দিকে বলে মেনে করছে অভিজ্ঞ মহল। যার ফলে সচেতন অভিভাবক এ ধরনের মাদকের ছড়াছড়িতে খুবই উদ্বিগ্ন। এর জন্য দায়ী কিছু অসাধু ঔষধ বিক্রেতা বলে অভিযোগ তুলেছেন তারা। বেশি মুনাফার আশায় প্রেসক্রিপশন ছাড়াই মিকচার মাদক তৈরির সিরাপ এবং ট্যাবলেট বিক্রি করে থাকে। মানসিক যন্ত্রণা এবং পারিবারিক অশান্তির দরুন মিকচার মাদকের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। তাই অনতিবিলম্বে সচেতনতার মাধ্যমে এ মাদকের ছোবল থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষা করা প্রয়োজন বলে মনে করছে সচেতন মহল। পাশাপাশি সরকার ও কর্তৃপক্ষের উচিত অসাধু ঔষধ বিক্রেতার প্রতি পদক্ষেপ নেয়া। যাতে তারা প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনধরনের ঔষধ সরবরাহ না করে। এতে রক্ষা পাবে তরুণ সমাজ, পক্ষান্তরে দেশ এবং জাতি মুক্তি পাবে নতুন উদ্ভবিত মাদক মিকচারের হাত থেকে।