ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনা : মরে গেল কতো স্বপ্ন ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি পরিবারে স্বচ্ছলতা আনতে সৌদি আরব যাবেন রাসেল মিয়া। তাকে বিমানে তুলে দিতে সঙ্গে যাচ্ছেন মাসহ পরিবারের চারজন। সবাই অক্ষত। ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন রাসেলে। ভেঙে গেছে পরিবারের স্বপ্ন। রাসেলের লাশের পাশে স্বজনদের কান্না যেন থামছিলই না।কৃষি কাজের পাশাপাশি দিনমজুরের কাজও করতেন মো. আসির উদ্দিন। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে হারিয়ে স্বজনদের বিলাপ যেন কোনোভাবেই থামছে না। পরিবার কিভাবে চলবে এ নিয়ে চিন্তিত স্বজনরা। কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সোমবার হওয়া ট্রেন দুর্ঘটনায় অনেক পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এসে লাশ শনাক্ত করছেন। তাদের আর্তচিৎকারে হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। লাশ শনাক্ত করতে আসা নিহতদের স্বজন ও আহতদের স্বজনদের ভিড় সামলাতে কষ্ট হচ্ছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও। এদিকে, দুর্ঘটনায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া এলাকার হাবিব মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া। ২৫ অক্টোবরের বিমানে তার সৌদি আবর যাওয়ার কথা ছিলো। মা রোকেয়া বেগম, ছোট ভাই শামীম মিয়া, বোন জামাই শাহ আলম, ভাগ্নি ইভাসহ সোমবার ঢাকায় যাচ্ছিলেন। কিশোরগঞ্জ থেকে তারা এগারসিন্দুর ট্রেনে উঠেন। ট্রেনটি ভৈরর স্টেশন পার হওয়ার পরপরই কন্টেইনার ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে রাসেল ঘটনাস্থলেই মারা যান। হাসপাতালে রাসেলের লাশ নিয়ে আসার পর অক্ষত থাকা তার মা বারবার বিলাপ করছিলেন। অন্যান্যরা স্বজনদেরও আক্ষেপের শেষ নেই। পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে গিয়ে তার এই মৃত্যু পরিবারের লোকজন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দইগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আসির উদ্দিনের পরিবারে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে। তবে একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিলেন আসির উদ্দিন। নরসিংদীর ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। পারিবারিক কাজে গ্রামের বাড়িতে এসে নরসিংদী যাচ্ছিলেন তিনি। নিহতের বোন সাবিনা বেগম জানান, মানিকখালি স্টেশন থেকে তার ভাই ট্রেনে উঠেন। কয়েকঘণ্টা পর ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পান। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তারা একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছেন বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। ঢাকার গার্মেন্টকর্মী হীরা আক্তার তিনদিন আগে বাড়ি এসেছিলেন। দুর্ঘটনায় তিনিও মারা গেছেন। হাসপাতালে তার লাশ শনাক্ত করে চাচা বাতেন মিয়া বলেন, ‘পরিবারের আয় বাড়াতে ঢাকাতে কাজ করতো হীরা। এখন সেই আশা শেষ হয়ে গেলো।’ SHARES সারা বাংলা বিষয়: ভৈরব
নিজস্ব প্রতিনিধি পরিবারে স্বচ্ছলতা আনতে সৌদি আরব যাবেন রাসেল মিয়া। তাকে বিমানে তুলে দিতে সঙ্গে যাচ্ছেন মাসহ পরিবারের চারজন। সবাই অক্ষত। ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন রাসেলে।
ভেঙে গেছে পরিবারের স্বপ্ন। রাসেলের লাশের পাশে স্বজনদের কান্না যেন থামছিলই না।কৃষি কাজের পাশাপাশি দিনমজুরের কাজও করতেন মো. আসির উদ্দিন। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে হারিয়ে স্বজনদের বিলাপ যেন কোনোভাবেই থামছে না।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সোমবার হওয়া ট্রেন দুর্ঘটনায় অনেক পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এসে লাশ শনাক্ত করছেন। তাদের আর্তচিৎকারে হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
লাশ শনাক্ত করতে আসা নিহতদের স্বজন ও আহতদের স্বজনদের ভিড় সামলাতে কষ্ট হচ্ছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও। এদিকে, দুর্ঘটনায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া এলাকার হাবিব মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া। ২৫ অক্টোবরের বিমানে তার সৌদি আবর যাওয়ার কথা ছিলো। মা রোকেয়া বেগম, ছোট ভাই শামীম মিয়া, বোন জামাই শাহ আলম, ভাগ্নি ইভাসহ সোমবার ঢাকায় যাচ্ছিলেন।
কিশোরগঞ্জ থেকে তারা এগারসিন্দুর ট্রেনে উঠেন। ট্রেনটি ভৈরর স্টেশন পার হওয়ার পরপরই কন্টেইনার ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে রাসেল ঘটনাস্থলেই মারা যান। হাসপাতালে রাসেলের লাশ নিয়ে আসার পর অক্ষত থাকা তার মা বারবার বিলাপ করছিলেন। অন্যান্যরা স্বজনদেরও আক্ষেপের শেষ নেই। পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে গিয়ে তার এই মৃত্যু পরিবারের লোকজন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দইগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আসির উদ্দিনের পরিবারে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে। তবে একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিলেন আসির উদ্দিন। নরসিংদীর ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। পারিবারিক কাজে গ্রামের বাড়িতে এসে নরসিংদী যাচ্ছিলেন তিনি। নিহতের বোন সাবিনা বেগম জানান, মানিকখালি স্টেশন থেকে তার ভাই ট্রেনে উঠেন। কয়েকঘণ্টা পর ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পান। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তারা একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছেন বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। ঢাকার গার্মেন্টকর্মী হীরা আক্তার তিনদিন আগে বাড়ি এসেছিলেন। দুর্ঘটনায় তিনিও মারা গেছেন। হাসপাতালে তার লাশ শনাক্ত করে চাচা বাতেন মিয়া বলেন, ‘পরিবারের আয় বাড়াতে ঢাকাতে কাজ করতো হীরা। এখন সেই আশা শেষ হয়ে গেলো।’