গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন

প্রকাশিত: ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২৩

০৪ জানুয়ারি ২০২৩

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচন আজ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) একটানা ভোটগ্রহণ হবে।

কেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন সব ব্যবস্থা নিয়েছে।

জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেন, এ উপনির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অনিয়মের কারণে এ নির্বাচন একবার স্থগিত করা হয়েছিল।

নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আহসান হাবিব বলেন, কোনো অনিয়মকে প্রশ্রয় একেবারে দেওয়া হবে না। ভবিষ্যতেও অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। এর প্রমাণ হলো গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত। অনিয়মের পুনরাবৃত্তি হলে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, এ উপনির্বাচন নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তেমন কোনো উৎসাহ নেই। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মোত্তালিব জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। কারচুপি ঠেকাতে এবার প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু (লাঙ্গল), বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবার রহমান (ট্রাক)। সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলেও অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদের প্রতীক আপেল ব্যালটে থাকছে।

গত বছর ২৩ জুলাই নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ওই বছরের ১২ অক্টোবর আসনটিতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোটে অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

আগের উপনির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ লক্ষ করা যায়নি। ফলে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের নিয়ে আসা একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন ছাড়া প্রার্থীদের তেমনভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাতে দেখা যায়নি। জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম শহীদ রঞ্জু নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার পর দীর্ঘদিন নীরব ছিলেন। পরবর্তী সময়ে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে তিনি মাঠে নামেন। তিনি বলেন, দুই উপজেলায় আমার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। ভোট সুষ্ঠু হলে আমার বিজয় নিশ্চিত। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রচারণায় মাইকিং করলেও নিজেদের তেমন তৎপর দেখা যায়নি।

উল্লেখ্য, সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন। দুই উপজেলায় ভোটকেন্দ্র ১৪৫টি এবং বুথের সংখ্যা ৯৫২টি।