এফডিসি এখন পিকনিক স্পট? ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১১:২৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০২৩ এফডিসিতে রিয়েলিটি শোয়ের অনুমতি নিয়ে হয়েছে পিকনিক ও মিলনমেলা নিজস্ব প্রতিবেদক বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাণ, অভিনয়-শুটিং, সম্পাদনা থেকে শুরু করে যাবতীয় কর্মকাণ্ডের প্রধান কেন্দ্র হিসাবে প্রথমে যে নামটি আসে সেটি হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএফডিসি)। কিন্তু যেখানে নিত্যদিন শিল্পী, নির্মাতা ও কুশলীদের সরগরম থাকার কথা, সেখানেই বসেছিল প্রায় ৪ হাজার সাধারণ মানুষের পিকনিক ও মিলনমেলা! তাও আবার এফডিসি প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে। এফডিসিতে এমন ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার। জানা যায়, গতকাল সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে এই পিকনিক শেষ হয় রাত ৮-৯টায়। সারাদিন পিকনিকে আসা লোকজন বিএফডিসির অফিসের পাশে যে যার মতো ঘুরে বেড়িয়েছেন। বাদ যায়নি জহির রায়হান কালার ল্যাব, শুটিং ফ্লোরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোও। এফডিসির মূল ফটক থেকে শুরু করে প্রতিটি মোড়েই সাজানো ছিল নানা ধরনের ব্যানার ও ফেস্টুন। এসএসসি ৯৩ সালের ব্যাচ (স্বপ্নের ৯৩) এর পিকনিক অনুষ্ঠিত হয়েছে এফডিসিতে। তবে এ আয়োজনের কিছুই জানতেন না এফডিসি কর্তৃপক্ষ! এফডিসির দুটি ফ্লোর ও মিলনায়তন ভাড়া নেওয়া হয় একটি রিয়েলিটি শোয়ের জন্য। আর সেখানেই হয় এই পিকনিক। এফডিসি কর্পোরেশনের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এবং ফ্লোর ও সেট ইনচার্জ হিমাদ্রি বড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তো সেখানের পিআর। গতকাল আমার ডে অফ ছিল। এ কারণে গতকাল কী ঘটেছে তা আমি জানি না। চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনসহ ,ফ্লোর ভাড়া দেওয়ার দায়িত্বে আছেন মো. রফিকুল ইসলাম। উনিই বিস্তারিত জানেন। ’ ফ্লোর ভাড়া দেওয়ার দায়িত্বে থাকা এফডিসির অতিরিক্ত পরিচালক (বিক্রয়) ও ল্যাবরেটরি প্রধান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে একটি রিয়েলিটি শোয়ের আয়োজন হবে বলে ফ্লোর ভাড়া নিয়েছিলো। আমরা তো রিয়েলিটি শোয়ের জন্য ফ্লোর ভাড়া দিয়ে থাকি। সেভাবেই সব মেইনটেইন করে ভাড়া দিয়েছি। গতকাল বন্ধের দিন থাকায় আমরা আর এফডিসি যাইনি। আমাদের নজরে আসিনি। আজকে সন্ধ্যার পর বিভিন্ন মাধ্যমে শুনতে পাচ্ছি। এটা নিয়ে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামীকাল অফিসে যাবো। যে ভাড়া নিয়েছে যে সংস্থার নামে নিয়েছে সেটা সত্যতা যাচাই বাছাই করবো। পিকনিক হয়েছে না রিয়েলিটি শো সেটা যাচাই করবো। নিয়মের বাইরে কিছু করা হলে সেটার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ জানা যায়, এই আয়োজনের জন্য এফডিসির দুটি ফ্লোর ও মিলনায়তন ভাড়া নেওয়া হয়। এ ছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু খোলা প্রাঙ্গণ। সরকারি স্থানে করা এ আয়োজনটির নেতৃত্ব দেন পরিচালক সমিতির সদস্য বিপ্লব শরীফ। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর চলচ্চিত্রের মানুষেরা বিস্ময় প্রকাশ করছেন। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে এফডিসি কর্তৃপক্ষের সমালোচনাও করছেন। তারা এ বিষয়ে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এফডিসি কর্তৃপক্ষ ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। SHARES বিনোদন বিষয়: পিকনিকবাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএফডিসি)
নিজস্ব প্রতিবেদক বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাণ, অভিনয়-শুটিং, সম্পাদনা থেকে শুরু করে যাবতীয় কর্মকাণ্ডের প্রধান কেন্দ্র হিসাবে প্রথমে যে নামটি আসে সেটি হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএফডিসি)। কিন্তু যেখানে নিত্যদিন শিল্পী, নির্মাতা ও কুশলীদের সরগরম থাকার কথা, সেখানেই বসেছিল প্রায় ৪ হাজার সাধারণ মানুষের পিকনিক ও মিলনমেলা! তাও আবার এফডিসি প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে। এফডিসিতে এমন ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার। জানা যায়, গতকাল সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে এই পিকনিক শেষ হয় রাত ৮-৯টায়।
সারাদিন পিকনিকে আসা লোকজন বিএফডিসির অফিসের পাশে যে যার মতো ঘুরে বেড়িয়েছেন। বাদ যায়নি জহির রায়হান কালার ল্যাব, শুটিং ফ্লোরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোও। এফডিসির মূল ফটক থেকে শুরু করে প্রতিটি মোড়েই সাজানো ছিল নানা ধরনের ব্যানার ও ফেস্টুন। এসএসসি ৯৩ সালের ব্যাচ (স্বপ্নের ৯৩) এর পিকনিক অনুষ্ঠিত হয়েছে এফডিসিতে।
তবে এ আয়োজনের কিছুই জানতেন না এফডিসি কর্তৃপক্ষ! এফডিসির দুটি ফ্লোর ও মিলনায়তন ভাড়া নেওয়া হয় একটি রিয়েলিটি শোয়ের জন্য। আর সেখানেই হয় এই পিকনিক। এফডিসি কর্পোরেশনের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এবং ফ্লোর ও সেট ইনচার্জ হিমাদ্রি বড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তো সেখানের পিআর। গতকাল আমার ডে অফ ছিল।
এ কারণে গতকাল কী ঘটেছে তা আমি জানি না। চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনসহ ,ফ্লোর ভাড়া দেওয়ার দায়িত্বে আছেন মো. রফিকুল ইসলাম। উনিই বিস্তারিত জানেন। ’ ফ্লোর ভাড়া দেওয়ার দায়িত্বে থাকা এফডিসির অতিরিক্ত পরিচালক (বিক্রয়) ও ল্যাবরেটরি প্রধান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে একটি রিয়েলিটি শোয়ের আয়োজন হবে বলে ফ্লোর ভাড়া নিয়েছিলো। আমরা তো রিয়েলিটি শোয়ের জন্য ফ্লোর ভাড়া দিয়ে থাকি।
সেভাবেই সব মেইনটেইন করে ভাড়া দিয়েছি। গতকাল বন্ধের দিন থাকায় আমরা আর এফডিসি যাইনি। আমাদের নজরে আসিনি। আজকে সন্ধ্যার পর বিভিন্ন মাধ্যমে শুনতে পাচ্ছি। এটা নিয়ে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামীকাল অফিসে যাবো। যে ভাড়া নিয়েছে যে সংস্থার নামে নিয়েছে সেটা সত্যতা যাচাই বাছাই করবো। পিকনিক হয়েছে না রিয়েলিটি শো সেটা যাচাই করবো। নিয়মের বাইরে কিছু করা হলে সেটার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ জানা যায়, এই আয়োজনের জন্য এফডিসির দুটি ফ্লোর ও মিলনায়তন ভাড়া নেওয়া হয়। এ ছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু খোলা প্রাঙ্গণ। সরকারি স্থানে করা এ আয়োজনটির নেতৃত্ব দেন পরিচালক সমিতির সদস্য বিপ্লব শরীফ। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর চলচ্চিত্রের মানুষেরা বিস্ময় প্রকাশ করছেন। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে এফডিসি কর্তৃপক্ষের সমালোচনাও করছেন। তারা এ বিষয়ে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এফডিসি কর্তৃপক্ষ ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।