জুমার দিনে জান্নাতিরা যেভাবে আনন্দ উদযাপন করবে ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১০:৩৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২৪ প্রতীকী ছবি জুমার দিন জান্নাতবাসীদের জন্য মহা আনন্দ ও বিশেষ প্রাপ্তির দিন। জান্নাতে প্রতি জুমার দিন বিপুল আনন্দ ও প্রাপ্তির সমাহার ঘটবে। আল্লাহ তাআলার বিশেষ ব্যবস্থাপনায় জান্নাতবাসীদের মিলন উৎসব হবে। ফেরেশতারা জুমার দিনকে স্মরণ করেন ‘ইয়াউমুল মাযীদ’ তথা অনন্য প্রাপ্তি দিবস নামে। আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জিবরিল আলাইহিস সালাম আমার কাছে এসেছেন শুভ্র আয়নার মতো একটা জিনিস নিয়ে। আয়নাটিতে একটি কালো দাগ। আমি বললাম, এটা কী? জিবরিল আলাইহিস সালাম বলেছেন, এটি হলো জুমার দিন। এ দিনকে আল্লাহ তাআলা আপনার এবং আপনার উম্মতের জন্য ঈদের দিন বানিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং আপনারা ইহুদি ও নাসারা থেকে অগ্রগামী (তাদের বিশেষ ইবাদতের দিন যথাক্রমে শনিবার ও রবিবার, যা জুমার দিনের পরে আসে)। এই দিন একটা সময় আছে, যে সময় বান্দা আল্লাহর কাছে যে কল্যাণই কামনা করে (দোয়া করে) আল্লাহ তাকে তা-ই দান করেন। মহানবী (সা.) বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, জুমার দিনকে কালো দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা হলো কেন? জিবরিল (আ.) জবাব দিয়েছেন, কিয়ামত দিবস এ দিনেই সংঘটিত হবে। আখিরাতে জুমার দিনকে আমরা ‘ইয়াউমুল মাযীদ’ নামে স্মরণ করব। মহানবী (সা.) বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘ইয়াউমুল মাযীদ’ কী? জিবরিল (আ.) জবাব দিয়েছেন, জান্নাতে আল্লাহ তাআলা প্রশস্ত ও সুগন্ধময় একটি উপত্যকা বানিয়েছেন এবং এতে তিনি শুভ্র মিশকের একাধিক টিলা স্থাপন করেছেন। জুমার দিন এলে আল্লাহ তাআলা এই উপত্যকায় অবতরণ করবেন। তখন সেখানে নবীদের জন্য স্বর্ণের মিম্বার রাখা হবে, শহীদদের জন্য মুক্তার অনেক চেয়ার পাতা হবে এবং জান্নাতি হুরেরা নিজ নিজ কক্ষ থেকে অবতরণ করবে। এরপর সবাই মিলে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও মাহাত্ম্যের স্তুতি গাইতে থাকবে। জিবরিল (আ.) আরো বলেন, এরপর আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করবেন, (হে ফেরেশতারা!) আমার বান্দাদের (বিশেষ পোশাক) পরিধান করাও। সে অনুযায়ী তাদের সজ্জিত করা হবে। তখন আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দেবেন, আমার বান্দাদের জন্য (বিশেষ) খাদ্য পরিবেশন করো। আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক তাদের জন্য বিশেষ ভোজনের ব্যবস্থা করা হবে। এরপর আল্লাহ তাআলা বলবেন, আমার বান্দাদের সামনে (বিশেষ) পানীয় উপস্থিত করো। সে হিসেবে তাদের সামনে পানীয় পরিবেশন করা হবে। এরপর আল্লাহ তাআলার আদেশ, আমার বান্দাদের সুগন্ধি লাগিয়ে দাও। তখন তাদের সুরভিত করা হবে। এবার আল্লাহ তাআলা জিজ্ঞেস করবেন, (হে আমার বান্দারা!) তোমরা আমার কাছে কী চাও? তারা বলবে, হে আমাদের রব! আমরা শুধু আপনার সন্তুষ্টি কামনা করি। আল্লাহ তাআলা জবাব দেবেন, আমি তোমাদের প্রতি রাজি হয়ে গেছি। তারপর সবাইকে নিজ নিজ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলা নির্দেশ করবেন। সবাই নিজ নিজ জান্নাতে চলে যাবে এবং হুরেরা ওই সব কক্ষে আরোহণ করবে, যার প্রতিটিই সবুজ (মূল্যবান রত্ন) পান্না বা লাল ইয়াকুতের তৈরি। (মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদিস ৪২২৮; মুজামে আওসাত, তাবারানি ৩/৫৫, হাদিস ২১০৫৪) SHARES ইসলাম বিষয়: জুমার দিন
জুমার দিন জান্নাতবাসীদের জন্য মহা আনন্দ ও বিশেষ প্রাপ্তির দিন। জান্নাতে প্রতি জুমার দিন বিপুল আনন্দ ও প্রাপ্তির সমাহার ঘটবে। আল্লাহ তাআলার বিশেষ ব্যবস্থাপনায় জান্নাতবাসীদের মিলন উৎসব হবে। ফেরেশতারা জুমার দিনকে স্মরণ করেন ‘ইয়াউমুল মাযীদ’ তথা অনন্য প্রাপ্তি দিবস নামে।
আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জিবরিল আলাইহিস সালাম আমার কাছে এসেছেন শুভ্র আয়নার মতো একটা জিনিস নিয়ে। আয়নাটিতে একটি কালো দাগ। আমি বললাম, এটা কী? জিবরিল আলাইহিস সালাম বলেছেন, এটি হলো জুমার দিন। এ দিনকে আল্লাহ তাআলা আপনার এবং আপনার উম্মতের জন্য ঈদের দিন বানিয়ে দিয়েছেন।
মহানবী (সা.) বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘ইয়াউমুল মাযীদ’ কী? জিবরিল (আ.) জবাব দিয়েছেন, জান্নাতে আল্লাহ তাআলা প্রশস্ত ও সুগন্ধময় একটি উপত্যকা বানিয়েছেন এবং এতে তিনি শুভ্র মিশকের একাধিক টিলা স্থাপন করেছেন। জুমার দিন এলে আল্লাহ তাআলা এই উপত্যকায় অবতরণ করবেন। তখন সেখানে নবীদের জন্য স্বর্ণের মিম্বার রাখা হবে, শহীদদের জন্য মুক্তার অনেক চেয়ার পাতা হবে এবং জান্নাতি হুরেরা নিজ নিজ কক্ষ থেকে অবতরণ করবে। এরপর সবাই মিলে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও মাহাত্ম্যের স্তুতি গাইতে থাকবে। জিবরিল (আ.) আরো বলেন, এরপর আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করবেন, (হে ফেরেশতারা!) আমার বান্দাদের (বিশেষ পোশাক) পরিধান করাও।
সে অনুযায়ী তাদের সজ্জিত করা হবে। তখন আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দেবেন, আমার বান্দাদের জন্য (বিশেষ) খাদ্য পরিবেশন করো। আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক তাদের জন্য বিশেষ ভোজনের ব্যবস্থা করা হবে। এরপর আল্লাহ তাআলা বলবেন, আমার বান্দাদের সামনে (বিশেষ) পানীয় উপস্থিত করো। সে হিসেবে তাদের সামনে পানীয় পরিবেশন করা হবে। এরপর আল্লাহ তাআলার আদেশ, আমার বান্দাদের সুগন্ধি লাগিয়ে দাও। তখন তাদের সুরভিত করা হবে। এবার আল্লাহ তাআলা জিজ্ঞেস করবেন, (হে আমার বান্দারা!) তোমরা আমার কাছে কী চাও? তারা বলবে, হে আমাদের রব! আমরা শুধু আপনার সন্তুষ্টি কামনা করি। আল্লাহ তাআলা জবাব দেবেন, আমি তোমাদের প্রতি রাজি হয়ে গেছি। তারপর সবাইকে নিজ নিজ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলা নির্দেশ করবেন। সবাই নিজ নিজ জান্নাতে চলে যাবে এবং হুরেরা ওই সব কক্ষে আরোহণ করবে, যার প্রতিটিই সবুজ (মূল্যবান রত্ন) পান্না বা লাল ইয়াকুতের তৈরি। (মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদিস ৪২২৮; মুজামে আওসাত, তাবারানি ৩/৫৫, হাদিস ২১০৫৪)