মাদ্রাসা শিক্ষকের কাণ্ড

প্রকাশিত: ৭:৫৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২৩

০৯ জানুয়ারি ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি

ভোলার মনপুরায় এক মাদ্রাসাশিক্ষক স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে রাতভর শারীরিক নির্যাতন চালায়। খবর পেয়ে ওই শিক্ষকের স্ত্রীর মা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে মেয়েকে উদ্ধারে পুলিশের সহযোগিতা চান।

পরে মনপুরা পুলিশের একটি টিম ওই শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর নির্যাতিত গৃহবধূকে উদ্ধার করে মনপুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তখন ওই শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

রোববার রাত ১টায় উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন ৮নং ওয়ার্ডে শামীম মাস্টারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

আটক শামীম মাস্টার উপজেলার হাজিরহাট ফকিরহাট দাখিল মাদ্রাসার শরীরচর্চা শিক্ষক।

এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, মাদ্রাসাশিক্ষক শামীম মাস্টার ভালোবেসে ১৬ বছর আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর বিভিন্ন কারণে স্ত্রীকে নির্যাতন করেন। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে অনেকবার সালিশ বৈঠক হয়। ওই শিক্ষক এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

এছাড়াও মনপুরার আলোচিত ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন হত্যা মামলায় জড়িত আছেন বলে অনেকেই অভিযোগ করেন।

নির্যাতিত গৃহবধূর মা জানান, সোমবার রাত ১টায় মেয়েকে হাত-পা বেঁধে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে জামাই শামীম। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করে মেয়ে। এমনকি সে বেহুঁশ হয়ে পড়ে থাকে। পরে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়। পরে রাত ২টায় মনপুরা পুলিশের একটি টিম মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে ও শামীমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন মনপুরা থানার ওসি সাইদ আহমেদ জানান, ৯৯৯ নাম্বার থেকে ফোন পেয়ে পুলিশের একটি টিম শামীম মাস্টারের বাড়িতে গিয়ে ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর নির্যাতিত গৃহবধূকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মনপুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত শামীম মাস্টারকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে।