মুসলিম বিশ্ব

ইস্তাম্বুলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা শীর্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
সংগৃহীত ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ফ্রিডম ফর প্যালেস্টাইন শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৪-১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বিধ্বস্ত গাজায় যুদ্ধবিরতিসহ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়। আল-কুদস ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ সম্মেলনের সহযোগিতায় ছিল গ্লোবাল ফোরাম ফর মডারেশন, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্স, আরব ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যান্ড সলিডারিটি, কুয়ালালামপুর ফোরাম ফর থট অ্যান্ড সিভিলাইজেশন।

সম্মেলন শেষে ‘জায়োনিজম ইজ রেসিজম’ এবং ‘প্রতিরোধ একটি অধিকার ও কর্তব্য’ নামের দুটি উদ্যোগের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এতে অংশ নেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্সের সভাপতি ড. আলী কারাদাগি, ফিলিস্তিনি শিক্ষাবিদ আজাম আল-তামিমি, নেলসন ম্যান্ডেলার পৌত্র জুয়েলিফেল ম্যান্ডেলা, সেন্টার ফর পলিটিক্যাল ডেভেলপমেন্টের পরিচালক আহমেদ আল-আতাওয়ানেহ, অস্ট্রিয়ান সাংবাদিক উইলহেলম ল্যাংথ্যালার এবং আল-জায়তুনা সেন্টার ফর স্টাডিজ অ্যান্ড কনসালটেশনের পরিচালক মোহসেন সালেহ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে ২৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি হত্যার নিন্দা জানান এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। 

ফ্রিডম ফর প্যালেস্টাইন সম্মেলনের মিডিয়া কর্মকর্তা আলী ইবরাহিম বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের ভূমি পুনরুদ্ধার ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকার সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে জানাতে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এর প্রধান লক্ষ্য হলো বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সবাই যেন ‘জায়নবাদী ধারণার বর্ণবাদ’ এবং ‘প্রতিরোধ একটি অধিকার ও কর্তব্য’ চিন্তা ধারণ করে।

 

গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলের এক হাজার দু শ জন নিহত হয় এবং ২৩৯ জন বন্দি হয়। অপরদিকে ইসরায়েলের নির্মম হত্যাযজ্ঞে গত এক শ দিনে ২৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়; যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি শিশু ও নারী রয়েছে। কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ‍মুক্তি দেয় এবং হামাস ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দেয়। গত ২৯ ডিসেম্বর দ্য হেগ শহরে গাজায় গণহত্যার অপরাধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

অবশ্য শুনানিতে ইসরায়েল গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে। অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) এর সদস্য দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশ এ মামলায় সমর্থন দেয়। 

সূত্র : আলজাজিরা