২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়াছে ল্যাবএইড লিমিটেড।

প্রকাশিত: ৮:৩৬ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২৪

 স্টাফ রিপোর্টার : ৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক ও স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান ল্যাবএইড লিমিটেড। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সেবা গ্রহণের বিপরীতে ওই ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের গোয়েন্দা অডিটে এসব তথ্য উঠে এসেছে।                                                                           

যদিও ভ্যাট ফাঁকির বিষয়টি মেনে নিয়ে কয়েকটি ধাপে ইতোমধ্যে প্রকৃত ভ্যাট ও সুদবাবদ ৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে ল্যাবএইড। কিন্তু এখনও ফাঁকিকৃত ভ্যাটের ৯৩ লাখ ১ হাজার ৮১ টাকা পরিশোধ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। যে কারণে ল্যাবএইড লিমিটেডে সম্প্রতি আবারও চিঠি দিয়েছে এনবিআরের ঢাকা (পশ্চিম) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট অফিস।

ল্যাবএইডকে দেওয়া চিঠি ও এনবিআর সূত্রে জানা যায়, ল্যাবএইড লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটি বেসরকারি পর্যায়ে ডায়াগনস্টিক ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে থাকে। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত নিরীক্ষা মেয়াদে প্রতিষ্ঠানটির উৎসে মূসক বা ভ্যাট পরিশোধ সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে এনবিআরের সিআইসি’র একটি বিশেষ টিম। ওই সময়ে উৎসে মূসক বা ভ্যাট ও বাড়ি ভাড়ার উপর প্রযোজ্য ভ্যাট বাবদ অপরিশোধিত রাজস্বের বিষয়টি নিশ্চিত হয় এনবিআরের টিম।

নথিপত্র পর্যালোচনায় টিম দেখতে পায়, প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬-১৭ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর মেয়াদে বিভিন্ন সেবা গ্রহণের বিপরীতে মোট ৬ কোটি ৮০ হাজার ৮০৩ টাকার উৎসে ভ্যাট প্রযোজ্য হলে মূসক বাবদ ১ কোটি ৯৩ লাখ ১ হাজার ৬৯৬ টাকা জমা দিয়েছে ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে নিরীক্ষা মেয়াদে অপরিশোধিত উৎসে মূসক বা ভ্যাটের পরিমাণ ৪ কোটি ৭ লাখ ৭৯ হাজার ১০৭ টাকা। এর মধ্যে ২০১৬-১৭ সময়কালে বিভিন্ন সেবা গ্রহণের বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে মূসকবাবদ ৭৭ লাখ ৫০ হাজার ২৪৯ টাকা, একইভাবে ২০১৭-১৮ সালে ৩ কোটি ৩০ লাখ ২৮ হাজার ৮৫৮ টাকার ভ্যাট রয়েছে। যা নথিপত্র যাচাই-বাছাই ও প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য অনুসারে কর ফাঁকির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।