নারায়ণগঞ্জে গ্যাসের চুলার রান্না নিয়ে দ্বন্দে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা, ২ জন আটক

প্রকাশিত: ৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২, ২০২৪

 

এইচ,এম,রহমাতুল্লাহ (বিশেষ প্রতিনিধি):-

গ্যাসের চুলায় রান্না নিয়ে দ্বন্দের জেরে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যার নেপথ্যে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে লেজার্স এলাকায়
কাউসারের বাড়ীতে ভাড়া থাকেন এই হিন্দু দম্পতি।

কাউসারের বাড়ীর গ্যাসের চুলার রান্না নিয়ে দ্বন্দ, প্রাণ গেল স্বামী শ্যামাচন্দ্র দাস(৫০), স্ত্রী দীপালি রানী(৪২)।
বাড়ীর কেয়ারটেকার ফরিদা, পুত্র সিয়ামকে আটক করেছে বন্দর থানা পুলিশ।

এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্বামী ও স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা এই খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।

ঘটনাস্থলে দিপালী রানী (৪২) মৃত দেখতে পায় ও হাসপাতালে তার স্বামী শ্যামা চন্দ্র দাস (৫০) মারা গেছেন। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করছে পুলিশ।

শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের লেজার্স এলাকার একটি বাড়ি থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ এবং গুরুত্বর আহত স্বামীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পর হাসপাতালে মারা যায়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নিহতের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, তিন দিন ধরে দিপালী রানীর সঙ্গে পাশের বাসার ফরিদার ঝগড়া চলছিল। গতকাল রাতে দিপালী রানী তার স্বামীকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। আজ শুক্রবার (১ মার্চ) দরজা খোলা দেখতে পেয়ে এবং আহত শ্যামাচন্দ্রের কান্নার শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ঘরে প্রবেশ করেন।

এ ঘটনায় বাড়ির ভাড়াটিয়া ও ম্যানেজার ফরিদা বেগম ও ছেলে সিয়ামকে আটক করা হয়েছে। তবে ফরিদার স্বামী পলাতক আছে।

নিহতের মেয়ে মলি জানান, আমরা চার বোন। দুই বোন বিয়ের পর জামাইয়ের বাড়িতে থাকে। পাশের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান থাকায় উচ্চ শব্দ ছিল। সেখানে আমি ও আমার বোন যাই। পরে সেখান থেকে এসে দরজা খোলা পেয়ে ভেতরে প্রবেশ করে শুয়ে পড়ি। সকালে মাকে গার্মেন্টসে যাবার জন্য ডাকতে গেলে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় আমার মায়ের লাশ পড়ে আছে। তখন দেখি বাবা বেঁচে আছেন। বাবাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই।

তিনি আমাদেরকে হত্যাকারীদের বিবরণ দিয়ে গেছেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে।

মেয়ে মলি জানান, ফরিদার সাথে গ্যাসের চুলার রান্না নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল তাদের। সেই দ্বন্দ্ব থেকেই তার মাকে ও বাবাকে হত্যা করে।

বন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুরুত্বর আহত স্বামীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিহতের মেয়ের অভিযোগে ইতোমধ্যে ফরিদা ও তার ছেলেকে আটক করা হয়েছে। ফরিদার পলাতক স্বামী ফরিদকে আটক করতে পুলিশ কাজ করছে। তদন্তের পর ঘটনার বিস্তারিত জানানো যাবে।