সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে স্মার্ট প্রতারণার ফাঁদ পেতে কোটি টাকার মালিক বনে গেছে আশিকুর রহমান বিপুল Abu Kowsar Abu Kowsar Mithu প্রকাশিত: ৮:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিনিধিঃ লাসাম পৌরসভার, কুমিল্লা এলাকার ছেলে নাম আশিকুর রহমান বিপুল, পিতাঃসাইফুল ইসলাম, মাতাঃহাসিনা আক্তার। লাকসাম এলাকায় ঘুরে বিভিন্ন সুএে যানা যায়, আশিকুর রহমান বিপুল এর বাবা সাইফুল ইসলাম, বি এন পি ও জামাতের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ২০০১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বি এন পির প্রতিটি কর্মকাণ্ডে সরাসরি নেতৃত্ব দিতেন, এমনকি দলীয় সকল নাশকতায় সে লিডার হিসেবে দলবদ্ধ ভাবে এলাকায় বেশ প্রভাব বিস্তার করে। লাকসাম থানায় থানায় তার নামে নাশকতা ও গাড়ি ভাঙচুর সহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তার বাবার পরিচিতিতে এই বিপুল রাজনৈতিক অঙ্গনে জড়িয়ে পড়েন, সে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করতেন, শিক্ষার্থী অবস্থায় রাজনৈতিক অংগনে সখ্যতা গড়ে ওঠে। তার সুবাদে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে সরকার দলীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে ছেরে ভাইরাল হয়। সাধারণ ও ধর্নাঢ্য ব্যক্তিবর্গের সাথে তার নানা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ছবি দেখিয়ে বিশ্বাস অর্জন করেন। তারপর থেকে তার আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি, সে নানা প্রকার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ পেতে আসছে,সরকারি চাকুরী, পুলিশের চাকুরী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ট্রান্সফার করিয়ে দেওয়া সহ জমি দখল,টেন্ডার বাণিজ্য, পন্য খালাস করিয়ে দেওয়ার বাণিজ্য শুরু করে। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা যায় গত ৩ বছরে এই ছবি বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান এই বিপুল। জানা যায় আলিশান গাড়ি ও ফ্লাট রয়েছে তার।ঢাকার দক্ষিনখান এলাকায় একটি জমি দখল করে প্রায় তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেন এই ফেসবুক প্রতারক। এমনকি প্রশাসনের উচ্চপদস্থ লোকের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে তাদের সাথে ছবি তুলে আত্মীয়-স্বজন পরিচয় দিয়ে না না মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিপুল সম্বন্ধে আমাদের বলেন, সে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যখন পড়াশোনা করতেন সে ঠিকমত খাওয়া ও ম্যাচ ভাড়া দিতে পারত না, পরবর্তীতে সে তার এক আত্মীয়ের বাসায় ঠাঁই নেয়, সেখান থেকেই সে শুরু করে নানা প্রতারণার ফাঁদ।অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ভাটারা থানার এক ব্যক্তিকে পুলিশে চাকুরী দিবে বলে ২০২০ সালে ৩ লক্ষটাকা হাতিয়ে নেয় এই বিপুল। পরবর্তীতে যখন জানতে পারে যে উক্ত বিবাদী আরো অনেক লোকের নিকট এই একই কথা বলে টাকা নিয়েছে উক্ত বিষয় জানার পর বিবাদী নিকট টাকা চাইতে গেলে বাদীকে নানান ধরনের ভয় ভীতি ও হুমকি প্রদান করে,পরে লোকটি ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করতে বাধ্য হন। এই প্রতারকের হাত থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে অভিযোগের ভিত্তিতে নিউজটি করা হলো। SHARES অপরাধ/দূর্নীতি বিষয়: