কুমিল্লার বরুড়ায় স্বামী-শাশুড়ী মিলে গৃহবধুকে হত্যার চেষ্টা

প্রকাশিত: ৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০২৪

 

এটিএম মাজহারুল ইসলাম,
ক্রাইম রিপোর্টার, কুমিল্লা:

কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার ১৩নং আদ্রা ইউনিয়নের আদ্রা গ্রামের মোল্লা বাড়িতে জরিনা বেগম নামে এক গৃহবধুর শরীরে গরম পানি দিয়ে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে পাষন্ড স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি গত ৬ জুন ২০২৪ইং (শনিবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘটেছে।

এলাকাবাসী জানান, গৃহবধু জরিনা বেগমকে স্বামী ও শাশুড়ি মিলে অমানসিক নির্যাতন করতো। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ঐ গৃহবধুকে রান্নাঘর থেকে গরম পানি ভর্তি  পাতিল এনে তার শরীরে ঢেলে দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। এসময় ঐ গৃহবধুর আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে কচুয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

জানা গেছে, মোল্লা বাড়ির হাশেম মিয়ার পুত্র সাইফুল পারিবারিক ভাবে ১5 বছর পূর্বে চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের মাসনীগাছা গ্রামের মুকবুল হোসেনের কন্যা জরিনা বেগমকে বিয়ে করে। তাদের দাম্পত্য জীবনে ১টি পুত্র ও ২টি কন্যাসন্তান রয়েছে।

স্বামী সাইফুল মাদকাসক্ত। সাইফুল মাদক সেবনের টাকার জন্য প্রায়ই সে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ করতো। জরিনা বেগমকে সাইফুল প্রায়ই বলতো তোর বাপের বাড়ির সম্পদ বিক্রি করে আমায় টাকা এনে দে। স্বামী সাইফুল ও তাঁর শাশুড়ী দীর্ঘদিন যাবত মা-বাবা হারা অসহায় নারী জরিনা বেগমকে টাকার জন্য মারধর করে আসছে।

জরিনা বেগমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাইফুল ও তাঁর মা মিলে তাকে আবারো মারধর করে এবং তার শরীরে গরম পানি ঢেলে দেয়।জরিনা বেগমের আত্মচিৎকার শুনে গ্রামের আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন। তার চিকিৎসার জন্য প্রথমে কচুয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার জরিনা বেগমকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। তাৎক্ষণিকভাবে জরিনা বেগমকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে জরিনা বেগম কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চতুর্থ তলায় ইমারজেন্সিতে চিকিৎসারত অবস্থায় আছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি, মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।