সড়কে মটরসাইকেল আতঙ্ক বাড়ছে দূর্ঘটনা।

প্রকাশিত: ১০:২৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩

সড়কে মটরসাইকেল আতঙ্ক
বাড়ছে দূর্ঘটনা
****************************************
শিবব্রত(বিশেষ প্রতিনিধি)
******************************************

রাস্তাঘাটে মোটরসাইকেল উৎপাত বেড়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে কি শহরে আর কি গ্রাম সবখানেই তরুণরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নানা রংয়ের বাহারী হোন্ডা নিয়ে। আমাদের প্রচলিত ভাষায় যাকে বলে মোটরসাইকেল আধুনিক ভাষায় বলে মোটরবাইক।শহরে যানজটের ভেতর ফাঁকফোকর গলিয়ে তারা বেরিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করলে তারা মুখিয়ে উঠে।গ্রাম গঞ্জের হাল আরো খারাপ।হয়তো দেখা যায় গ্রামের উঠতি যুবক ধনাঢ্য কৃষকের আদুরে ছেলে কোন সরল সুন্দর তরুণীর উপর দিয়ে বা গা ঘেঁষে চালিয়ে দিচ্ছে।
এ বেপোরোয়া চালনার খেসারত ও দিতে হচ্ছে। হাসপাতাল গুলোতে যত দূর্ঘটনার রোগী ভর্তি হয় তার অধিকাংশই এখন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা কবলিত ।ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পরিসংখ্যান নিলে দেখা যাবে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।আজ (২৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় ফেনীর মিজান রোডে দেখা গেছে তিন তরুণ বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। হুড়োহুড়ি করে করে একটি প্রাইভেট কারকে পাশ কাটিয়ে দ্রুত যেতে গিয়ে ছিটকে পড়লো। লোকজন হা!হা!!করে ছুটে গেল। হোন্ডা আরোহী তিন তরুণের কারো মাথায়ই হেলমেট ছিলোনা।
এসব দেখে মনে হলো মোটরসাইকেল কোম্পানি গুলো শুধু কি মোটরসাইকেল বিক্রি করে সঙ্গে হেলমেট দেয়না?না চালকরা নেয় না?আর নেবেই কিভাবে?কোন সাইকেলে তিনজন, আবার কোথাও দেখা যায় পুরো পরিবার। ছুটির দিনে আজকাল এখনো চোখে পড়ে পেছনে স্ত্রী কন্যা নিজে এবং তেলের ট্যাঙ্কির উপর শিশু পুত্রটিকে নিয়ে বৈকালিক ভ্রমনে বেরিয়েছে।কারো মাথায় হেলমেট নেই। কারণ চারটি হেলমেট তো সম্ভব নয়।
পুলিশি আইনে অনেককেই ধরার মত নির্দেশনা আছে। কিন্তু না ধরলে তাদেরকে কে বলবে ধর! ধর!!যেমন ধূমপান বিরোধী আইন আছে, জরিমানা আছে। কেউ ধরে না। মোটরসাইকেল চালাতে চালাতে অহরহ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন, হেলমেট বিহীন মোটরসাইকেল চালিয়ে দূর্ঘটনায় কবলিত হচ্ছেন, জীবনের জন্য দুঃখে কাতর হচ্ছেন ,কিন্তু কেউ দেখছেন না। রাস্তায় আলো আঁধারিতে ট্রাফিক পুলিশ, মোটরসাইকেল আরোহী এবং সার্জেন্ট । শুধু টোকেন মানিতে পকেট ভরছেন। তাদের সময় কোথায় কোন ড্রাইভার সিট বেল্ট বাঁধলো কিনা, মটরসাইকেল আরোহী দূইবা ততোধিক কিনা,মাথায় হেলমেট আছে কিনা! সীমার বাইরে গতিবেগে গাড়ি চালালো কিনা! রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে গাড়ি লোড,আন-লোড করলো কিনা! এগুলো অপরাধ এই বাক্য বলার মত লোক নেই।
আগের মতো ঘটা করে ট্রাফিক সপ্তাহ, জনসচেতনতা বাড়াতে ট্রাফিক পুলিশদের দেখা যায় না। বিচিত্র বাহনে আমাদের দেশে চলছে এখন বাইক বিপ্লব। বিপ্লবের সুফল কুফলতো আছেই।তবে বাইক বিপ্লবের কুফল ই দেখা যাচ্ছে বেশি।বাইক বিপ্লব নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।বাইক বিপ্লবের নামে এখন দূর্ঘটনার আতঙ্ক চলছে সবত্র।
অনেকেই এখন ব্যস্ত রাজনৈতিক তোষামোদে ভালো জায়গায়,ভালো মোড়ে অবস্থান নিতে।কে প্রকাশ্য ধুমপান করতে করতে লক্করজক্কর মার্কা গাড়ি চালালো,কে হেলমেট বিহীন মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে ফুটপাত দিয়ে বাইক চালিয়ে দিল অথবা সিটবেল্ট ছাড়া গাড়ী বা কার চালিয়ে গেল তা কেউ দেখার নেই।