পরশুরামে কানুনগো ছাড়াই ১২ বছর ধরে চলছে ভূমি অফিস।

প্রকাশিত: ১০:৩৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩

শিবব্রত (বিশেষ প্রতিনিধি)
***************************************

পরশুরাম উপজেলা ভূমি অফিসে ১২ বছরের বেশি সময় ধরে শূন্য কানুনগো পদটি। ফলে স্তূপ হয়ে পড়ে আছে জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজপত্র। চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সেবাগ্রহীতারা অভিযোগ এলাকাবাসীর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ এ পদটি শূন্য থাকায় উপজেলার ৩ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ভূমি সংক্রান্ত সেবা কার্যক্রম অনেকটাই গতিহীন ভাবে চলছে। বিশেষ করে জমিজমা সংক্রান্ত মিসকেস, ভিপি, নামজারি ও জমাভাগসহ বিভিন্ন অভিযোগকারী লোকজনকে বেশি বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২০১১ সালে পরশুরাম ভুমি অফিসে কর্মরত কানুনগো অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যান।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অফিসে কর্মরত আফজাল হোসেন বলেন,অফিসটির গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ কানুনগো। কিন্তু পদটি শূন্য রয়েছে দীর্ঘ প্রায় ১২ বছরেরও অধিক সময়। সর্বশেষ কানুনগোর পদটিতে দায়িত্বে ছিলেন “ম্রাগ্য মারমা।” এরপর তিনি বদলি হওয়ায় পদটির শূন্য স্থান আর পূরণ হয়নি। এ পদে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সার্ভেয়ার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন।তিনি জানান, শুধু পরশুরাম উপজেলাতেই নয় , অনেক উপজেলাতেই বর্তমানে কানুনগো পদটি খালি আছে।
ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, জমি-জমার মূল অফিস হচ্ছে ভূমি অফিস। সেই অফিসেই যদি দীর্ঘদিন গুরুত্বপূর্ণ পদের লোকজন না থাকে তাহলে কাজ করে দেবেন কে? আমরা জমি-জমার কাজকর্ম নিয়ে বেশ ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। উপস্থিত কিছু সেবাগ্রহীতা জানান, ভুমি অফিসে বর্তমানে সেবার মান অনেকটাই বেড়েছে , অপরদিকে ভুমি অফিসে সেবা নিতে আসা অন্য কিছু সেবাগ্রহিতা বলেন, এই ভুমি অফিসে দীর্ঘদিন ধরে দালালের দৌরাত্ম্যে সাধারণ সেবাগ্রহিতারা অতিষ্ঠ ।তারা ক্ষোভের সাথে বলেন, “দিনের পর দিন, মাসের পর মাস কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছি না।” দ্রুত এ সমস্যা সমাধান জরুরি।

এ ব্যাপারে পরশুরাম উপজেলা ভুমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভুমি) মং চিংনু বলেন, মার্মা আমি এই মাসে এই ভুমি অফিসে যোগদান করেছি। খোঁজ খবর নিয়ে এই অফিস যাতে দালাল মুক্ত হয়, সেবার মান যাতে আরো বৃদ্ধি পায় এবং সেবাগ্রহীতারা যেন হয়রানি না হয় সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখবো।

কানুনগো পদ শুন্য থাকার বিষয়ে তিনি বলেন,সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি আমি বুঝি। পদ শূন্য থাকার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানেন। এরপরও আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চেষ্টা করবো শূন্য পদ দ্রুত পূরণ করতে। সে অনুযায়ী আমার পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পাশাপাশি চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।