২১ শে ফ্রেব্রুয়ারি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জাতীয় পতাকা যথাযথ ভাবে অর্ধনমিত রাখুনঃ মোহাম্মদ শামীম আলম জেলাপ্রশাসক কুমিল্লা।

প্রকাশিত: ৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩

কুমিল্লা প্রতিনিধি : বীর শহিদ ও ভাষা সৈনিক প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ২১ শে ফ্রেব্রুয়ারি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জাতীয় পতাকা যথাযথ ভাবে অর্ধনমিত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম। ২১শে ফ্রেব্রুয়ারি দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় তিনি এই আহ্বান রেখে বক্তব্য রাখেন।
জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, শহিদ দিবসসহ বিভিন্ন দিবসে সাধারণ মানুষ বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখেন। কিন্তু তা অনেক সময়ই নিয়ম মেনে পালন করা হয় না। জাতীয় পতাকা যথাযোগ্য মর্যাদায় উত্তোলন করে তার প্রস্থের পরিমাপে দণ্ড থেকে নিচে নামিয়ে বাঁধতে হবে। বীর শহিদদের মহান আত্মত্যাগের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা এই পতাকা পেয়েছি, সুতরাং পতাকাকে যথাযোগ্য সম্মান দেখাতে হবে।
জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে সভায় শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতিনিধি এবং সুশীল সামাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আলোচকরা বলেন, সকল স্কুল কলেজ এবং মাদ্রাসায় যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে হবে। বিশেষ করে মাদ্রাসাগুলোর দিকে সচেতন দৃষ্টি দিতে হবে যেন প্রতিটি মাদ্রাসায় দিবসটি পালন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে মসজিদ মন্দির গীর্জা ও প্যাগোডায় যথাযথ ভাবে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে চিত্রাংকণ, রচনা লিখনসহ বিভিন্ন সৃজনশীল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। এছাড়া শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিবছরের ন্যায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে কেন্দ্রিয় শহিদ মিনারে যথাযোগ্য মর্যাদায় শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
সভায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, দিবসটি পালনে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশ যথাযথ দায়িত্ব পালন করবেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ কামরান বলেন, দিবসটি কোথাও যেন কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য পুলিশ সতর্ক থাকবে। কেউ যেন শহিদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে হুড়োহুড়ি বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে এ ব্যাপারে সবাইেিক সচেষ্ট থাকতে হবে।