ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ভগনান নৃসিংহ দেবের মহা আবির্ভাব তিথী উদযাপিত।

প্রকাশিত: ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ, মে ৫, ২০২৩

 

দিলীপ কুমার দাস: নিজস্ব প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বৃহস্পতিবার ( ৪ মে )
সন্ধায় ঘোষপাড়াস্থ শ্রীশ্রী নৃসিংহ দেবের মন্দিরে ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে জলভরন ও গঙ্গা আহবান করা হয়। পরে ভাগবত পাঠ , কীর্তন ও ভগবান শ্রীশ্রী নৃসিংহ দেবের মহা অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। এতে,ভাগবত পাঠ করেন মুরারী দাস
মিন্টু, পূজা অর্চনাদি পরিচালনা করেন মানিক
চক্রবর্তী, কীর্তনে ছিলেন সত্যেন্দ্র চন্দ্র নাগ ও সহযোগী কীর্তনীয়াবৃন্দ। সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিযুষ রায় গনেশ, সাধারণ সম্পাদক স্বপন ঘোষ এবং উপদেষ্টা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক কমল সরকার, প্রেমনাথ সাহা ও অসংখ্য পুজারী ও ভক্তবৃন্দ।
শাস্ত্র মতে,  হিরণ্যকশিপুর কাহিনি প্রকাশ করে যে, অন্যের উপর অত্যাচারকারী ও অহংকারী বিনষ্ট হয় এবং ঈশ্বরে পূর্ণ আত্মসমর্পণকারী ভক্তকে (এখানে: প্রহ্লাদকে ) ঈশ্বর সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা করেন।

পৌরাণিক বর্ণনা অনুযায়ী, হিরণ্যকশিপু, দেবতা ব্রহ্মা হতে বর  লাভ করে। ফলতঃ সে অংশত অমরত্ব লাভ করে। হিরণ্যকশিপু কাহিনির তিনটি পর্ব। প্রথম পর্বে, বৈকুণ্ঠের দ্বারপাল জয় এবং বিজয় বৈকুণ্ঠে চার কুমারকে প্রবেশ করতে না দিলে তারা অভিশাপ দেয় যে, জয়-বিজয়, পৃথিবীতে হিরণ্যকশিপু ও হিরণ্যাক্ষ নামক দৈত্য  হয়ে জন্ম নিবে। দ্বিতীয় পর্বে, হিরণ্যকশিপু অমরত্ব লাভের জন্য তপস্যা করে ভগবান ব্রহ্মাকে সন্তুষ্ট করে এবং বর লাভ করে। শেষ পর্বে, শত চেষ্টা করেও সে তার পুত্র প্রহ্লাদকে (ভগবান বিষ্ণুর এক ভক্ত) মারতে পারে নি এবং পরে নৃসিংহাবতার হিরণ্যকশিপুকে বধ করে