“পরিবেশ পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন এবং ঝুঁকি প্রশমনে” ইইউ ও অন্যান্য ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ একত্রে কাজ করতে আগ্রহী ঃ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

প্রকাশিত: ১:৫২ অপরাহ্ণ, মে ১৬, ২০২৩
স্টাফ রিপোর্টার : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে উদ্ভাবনী সবুজ প্রযুক্তি ও নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্রের ক্ষতি, সামুদ্রিক দূষণসহ পরিবেশগত নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাজ করে যাবে বাংলাদেশ।”

স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ মে) বিকালে সুইডেনের স্টকহোমে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টেরিয়াল ফোরামে অনুষ্ঠিত ‘গ্রিন অপরচুনিটিস এন্ড গ্লোবাল চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। এস্তোনিয়া, মালদ্বীপ, ডেনমার্ক, ইউরোপিয়ান কমিশনসহ ই্ইউ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কয়েকটি দেশ এই গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেয়।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, বন্যা ও খরা, তীব্র গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, মহাসাগরের অম্লায়নসহ বিভিন্ন বিষয়, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশগুলোর কোটি কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।”

ড. হাছান বলেন, “বাংলাদেশের কার্বন নিঃসরণ বৈশ্বিক অনুপাতে শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশের কম। তারপরও আমরা পরিবেশ পরিবর্তনের অসহায় শিকার। বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের উপকূলীয় একটি দেশ হিসেবে, জলবায়ু ও দুর্যোগজনিত সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছি আমরা।”

তিনি বলেন, “২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ নিজস্ব জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ৪৮ কোটি ডলার অর্থায়নে ৮০০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সরকার ২০২২-২০৪১ সালব্যাপী মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য শক্তির সর্বাধিক ব্যবহারে কাজ করছে।”

বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কপ ২৬-এ আমাদের শক্তির ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে অর্জনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। আমরা ৬০ লাখর বেশি সোলার-হোম সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে ২ কোটি মানুষকে সৌরবিদ্যুতের আওতায় এনেছি, যা বিশ্বে এ ধরণের কাজের বৃহত্তম নজির।”

নবায়নযোগ্য জ্বালানি উদ্ভাবন ও স্থাপনায় বিশ্বব্যাপী অগ্রগামী ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সবুজ অংশীদারিত্বে যোগদানের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ অনুকূল সাড়া দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বাংলাদেশসহ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো উন্নত দেশগুলোর কারিগরি, আর্থিক সহায়তা ও বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে”

ড. হাছান বলেন, “পরিবেশ পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন এবং ঝুঁকি প্রশমনের মধ্যে ভারসাম্য ও লাভ-ক্ষতি তহবিলের প্রাথমিক কার্যক্রম চালু করার জন্য উন্নত দেশগুলো প্রতিশ্রুত ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড় করার ক্ষেত্রে ইইউ ও অন্যান্য ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ একত্রে কাজ করতে আগ্রহী।”