ফাঁদ পেতে হাতেনাতে দুর্নীতিবাজ ধরার একটি পদ্ধতি প্রণয়ন করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

প্রকাশিত: ৩:৫৪ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি : ফাঁদ হচ্ছে হাতেনাতে দুর্নীতিবাজ ধরার একটি পদ্ধতি। দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) বিভিন্ন সময় ‘ফাঁদ’ পেতে থাকে। তবে ‘ফাঁদ’ পেতে দুর্নীতিবাজ ধরতে গিয়ে বিভিন্ন সময় নাজেহাল হতে হয়েছে দুদক সদস্যদের। দুদক এই কার্যক্রম শুরু করেছিল ২০০৭ সালে এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে। ‘ফাঁদ’ পদ্ধতিটি ওই বছরই দুদকের ১৬ নম্বর বিধিতে সংযুক্ত করা হয়েছিল। সময়ের পরিক্রমায় ফাঁদ কার্যক্রম চালাতে এবার কিছু নতুন গাইড লাইন তৈরি করেছে দুদক।  এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বা হয়রানির শিকার হওয়া ব্যক্তিকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে সম্মত থাকতে হবে। অবশ্যই তাকে নাম প্রকাশে ইচ্ছুক ব্যক্তি হতে হবে।

দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ‘ফাঁদ’ কার্যক্রম বা ট্র্যাপ পরিচালনাকারী কর্মকর্তাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের বিধিমালা ২০০৭-এর বিধি-১৬ ও বর্তমান গাইডলাইনে বর্ণিত নির্দেশনা আবশ্যিকভাবে পালন করতে হবে। নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী, তিনটি ধাপে ফাঁদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে— ‘ফাঁদ পূর্ব, ফাঁদ পরিচালনা ও ফাঁদ পরবর্তী, এই তিন ধাপে বিভাজন করে কাজ করতে হবে। প্রতিটি ধাপের করণীয় যথাযথভাবে পালন করতে হবে সংশ্লিষ্টদের।’

নতুন গাইডলাইনে আরও বলা হয়, ‘ফাঁদ পরিচালনাকারীদেরকে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে সম্পূর্ণ পেশাদারী আচরণ করতে বলা হয়েছে গাইড লাইনে। এ কাজে কমিশন বা প্রধান কার্যালয়ের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করতে হবে। এর আগে কমিশন থেকে অনুমোদন নিয়ে ফাঁদ পরিচালনাকারী দল ও তল্লাশি দল গঠন করতে হবে। ফাঁদ কার্যক্রম চালানোর সময় নিরপেক্ষ সাক্ষী আগেই ঠিক করে নিতে হবে। সাক্ষীর ক্ষেত্রে পাবলিক সার্ভেন্টকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। অভিযোগ গ্রহণ, জব্দ তালিকা তৈরি ও সেগুলো জিম্মায় দেওয়া এবং এজাহার দায়েরসহ সব আইনগত পদক্ষেপ যথাযথভাবে শেষ করতে হবে। এছাড়াও ফাঁদ কার্যক্রম সংক্রান্ত চেক লিস্ট প্রতিপালন ও আসামিকে দ্রুত আদালতে পাঠাতে হবে।’

কোনও সরকারি চাকরিজীবীকে (পাবলিক সার্ভেন্ট) ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ও সজ্ঞানে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফাঁদ কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করা যাবে না। যিনি মিথ্যা তথ্য দেবেন, তাকেসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে দুদক। কমিশনের অনুমোদনে প্রধান কার্যালয় বা বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত টিম দেশের যেকোনও স্থানে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ফাঁদ পরিচালনা করতে পারবে।