খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার,অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত সহ আরও ২ জনকে হিন্দু সমাজে অবাঞ্ছিত ঘোষণা।

প্রকাশিত: ১১:১৯ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার : বেদ, হিন্দু ধর্মশাস্ত্র, নারী ও সুস্থ পরিবার বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড করার অভিযোগ এনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সংসদ সদস্য এরোমা দত্ত ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্তকে হিন্দু সমাজে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট ও বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহিলা মহাজোট।

আজ শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহিলা মহাজোটের উদ্যোগে ‘হিন্দুধর্মীয় বিধিবিধান পরিবর্তন প্রচেষ্টার প্রতিবাদ’ শীর্ষক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হিন্দু মহিলা মহাজোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট লাকী বাছাড় বলেন, যারা হিন্দু আইনকে নষ্ট করতে চায়, হিন্দু সমাজ তাদের কোনো প্রকার ছাড় দেবে না। হিন্দু আইনে কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না মর্মে সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে স্পষ্ট ঘোষণা চাই। তা না হলে হিন্দু বিধিবিধান নষ্ট করার বিষয়ে একই সঙ্গে আইন ও সালিশ কেন্দ্র, নারীপক্ষ, মহিলা পরিষদ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনসহ যেসব এনজিও হিন্দু পরিবার, সমাজ ও ধর্মবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে হিন্দু সমাজ ও পরিবারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, তাদের নিবন্ধন বাতিল করে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, এরোমা দত্ত ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্তকে বেদ, হিন্দু ধর্মশাস্ত্র, নারী ও সুস্থ পরিবার বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড করার কারণে হিন্দু সমাজে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। তাদের কোনো মন্দির ও হিন্দুধর্মীয় কোনো শুভ কাজে নিমন্ত্রণ না করার জন্য দেশবাসীকে অনুরোধ করা হলো।

সংবাদ সম্মেলনে নারীর সম্পত্তি ও অধিকারের বিরুদ্ধে তাদের যে আন্দোলন তার সঙ্গে নারী নীতি নিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতের দাবিদাওয়ার মিল থাকায় তারা একসঙ্গে আন্দোলন করবেন কি না আজকের পত্রিকার এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট লাকী বাছাড় বলেন, না। তারা স্বতন্ত্রভাবেই তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। আর বাবার সম্পত্তিতে নারীর অধিকারের স্বীকৃতি চান না বলেও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহিলা মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক বহ্নি শিখা দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক সমাপিকা দাস, পার্বতী রানী দাস, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সহসভাপতি প্রদীপ কুমার পালসহ অন্যরা।