ফেনীতে সক্রিয় সিন্ডিকেট, চামড়া পাচারের আশঙ্কা,পাচার রোধে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা। ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৬:৩৫ অপরাহ্ণ, জুন ২৪, ২০২৩ শিবব্রত(বিশেষ প্রতিনিধি) ************************* ফেনী জেলায় চামড়া পাচারকারি সিন্ডিকেট চক্রের সঙ্গে পেরে উঠতে পারছেন না চামড়া ব্যবসায়ীরা। প্রতিবছরের মতো এবারো সক্রিয় হয়ে উঠছে ভারতে চামড়া পাচারকারি এ চক্রটি। জেলার ছয় উপজেলার মধ্যে তিন উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ভারতে চামড়া পাচারের জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে চোরাচালান সিন্ডিকেটের সদস্যরা। ফেনী জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা বিশেষ করে ছাগল নাইয়ার চম্পক নগর, বল্লভপুর, শুভপুর ফুলগাজীর জামমুড়া,দরবারপুর কমুয়া ও পরশুরামের বাউরপাথর,বাশপদুয়া,খিল পাড়া, কলাবাগান,রাজষপুর এবং সত্যনগসহ বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে চামড়া পাচারকারীরা সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাসদরের পাঁচগাছিযার চামড়া ব্যবসায়ীরা। চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদুল আজহার দিন থেকেই সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে কোরবানির চামড়া পাচার হয়ে থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চামড়া ব্যবসায়ী জানান,প্রতি বছর কোরবানির ঈদে চামড়া পাচারকারীরা মৌসুমী ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে চামড়া সংগ্রহ করার জন্য নিয়োগ দিয়ে থাকেন শত শত দালাল। তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় লাখ লাখ টাকা। এতে একদিকে প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনতে ব্যর্থ হন। চামড়ার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন সাধারণ মানুষ। ফেনীর ভ্রাম্যমান চামড়া ব্যবসায়ী জলিল ,ফুলগাজীর হুমায়ূন এবং পরশুরাম অনন্তপুরের ইসলাম ও কাদের মিয়া জানান, ঈদে চামড়া কেনাবেচায় বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। চামড়া কিনতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন তা যোগান দিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। তারা জানান, চামড়া পাচারকারী সিন্ডিকেটের কিছু সদস্য ঈদকে সামনে রেখে ঈদের চামড়াগুলো বেশি দামে কিনে ভারতে পাচার করছে। তারা আরও জানান, প্রতি বছর সীমান্তবর্তী জেলা ফেনী থেকে অন্তত ৯৫ হাজার থেকে ১ লাখ গরু, ছাগল ও মহিষের চামড়া সংগ্রহ করা হয়। প্রতি বছর মৌসুমী ব্যবসায়ীদের তৎপরতার কারণে প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়ার অধিকাংশই কিনতে পারেন না। ফলে বেশিরভাগ চামড়াই চলে যাচ্ছে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছে। এসব মৌসুমী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চামড়া পাচারকারী সিন্ডিকেটের সদস্যদের যোগাযোগ থাকায় খুব সহজেই ভারতে পাচার হয় বলে জানিয়েছেন তারা। এদিকে নাম প্রকাশ না করার বিশেষ শর্তে চামড়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের এক ব্যবসায়ী জানান, বর্তমানে আগের মত চামড়া ব্যবসায়ে মুনাফা হয়না। আগের তুলনায় অনেকেই গোপনে এই ব্যবসায় জড়িত থাকে বলে ব্যবসায়ীর সংখ্যা ও বেড়ে গেছে। ফলে মহাজনরা একজনের কাছে বেশি টাকা বিনিয়োগ করে না।তারা যাচাই বাছাই করে যেখানে কম টাকা সেখানেই বিনিয়োগ করে। তাছাড়া বর্তমানে প্রশাসনের বিশেষ নজরদারির কারনে সিন্ডিকেইট ব্যবসা অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। যতটুকু করা হয় তা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ বলে ও জানায় ওই ব্যবসায়ী। এ বিষয়ে বিলোনীয়া মজুমদার হাট- বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার ব্যাটলিয়ন সুত্র জানায়, চামড়া পাচার ঠেকাতে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিটি গাড়ি তল্লাশির পাশাপাশি দৃষ্টি রাখা হবে সীমান্ত পয়েন্টগুলোর দিকে। যাতে করে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার হতে না পারে। ফেনী জেলা পুলিশ সুপার অফিস সুত্র জানায়, চামড়া পাচার ঠেকাতে পুলিশের পক্ষ থেকেও কঠোর নিরাপত্তামূলক সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যেকোনো মূল্যে দেশের সম্পদ চামড়া পাচাররোধে পুলিশ কাজ করে যাবে। SHARES অপরাধ/দূর্নীতি বিষয়: