দেশের জনপ্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানে ২৮ জন ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ দেওয়া হয়েছে।

প্রকাশিত: ৫:২৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের জনপ্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১২টি ক্যাটাগরিতে ২৮ জন ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ দেওয়া হয়েছে। ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উপলক্ষে সোমবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীতদের হাতে পদক তুলে দেন।

প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা, মননশীলতা ও উদ্ভাবনী প্রয়াসকে উৎসাহিত করতে ২০১৬ সাল থেকে জনপ্রশাসন পদক দেওয়া শুরু করে সরকার। গত বছর থেকে এই পদকের নাম বদলে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক করা হয়।  এবছর ১২টি ক্যাটাগরিতে ১২টি অবদানের জন্য মোট ২৮ জন ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে পদক দেওয়া হয়। এরমধ্যে পাঁচটি ব্যক্তিগত, পাঁচটি দলীয় এবং দুটি প্রতিষ্ঠানকে এই পদক দেওয়া হয়েছে।    ব্যক্তিগত অবদানের জন্য ২ লাখ টাকা, দলগত অবদানের জন্য ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। দলগত অবদানের ক্ষেত্রে দলের সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা পাঁচ জন। দলের প্রত্যেক সদস্যকে স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট ছাড়াও নগদ পুরস্কারের ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে; যা সদস্যদের মধ্যে সমান হারে বণ্টন হবে। আর প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে স্বর্ণপদক, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপদক দেওয়া হয়।

নীতিমালা অনুযায়ী, মনোনীতদের পুরস্কার হিসেবে একটি স্বর্ণপদক (২১ ক্যারেট মানের ১৫ গ্রাম ওজনের) এবং রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম সম্বলিত সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা দলের অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীরা এবং ইতোপূর্বে জাতীয় পর্যায়ে জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা দলের অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীরা নামের শেষে ‘বঙ্গবন্ধু পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রিশন অ্যাওয়ার্ড’ এর সংক্ষিপ্ত রূপ ‘বিপিএএ’ টাইটেল ব্যবহার করতে পারবেন। পদকপ্রাপ্তরা আনুষ্ঠানিক সরকারি কর্মসূচিতে পোশাকের সঙ্গে সরকার অনুমোদিত বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদকের মনোগ্রাম ব্যবহার করতে পারবেন।

এবার ‘নীতি ও প্রশাসনিক পদ্ধতির সংস্কার’ শ্রেণিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং ‘গবেষণা ও মানবকল্যাণে এর ব্যবহার’ শ্রেণিতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পদক পেয়েছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।

‘দুর্যোগ ও সংকট মোকাবেলা’ শ্রেণিতে ব্যক্তিগতভাবে পদক পেয়েছেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান। ‘সামাজিক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ শ্রেণিতে সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদি উর রহিম জাদিদকে এই পদক দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও ‘অপরাধ প্রতিরোধ’ শ্রেণিতে র‌্যাব-১১ এর জঙ্গি সেলের সাবেক ইন্টেলিজেন্স অফিসার ও কমান্ডার (বর্তমানে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার) মির্জা সালাহ উদ্দিন, ‘জনসেবায় উদ্ভাবন’ শ্রেণিতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার ইউএনও সোহাগ চন্দ্র সাহা এবং ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ শ্রেণিতে নওগাঁর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নাজমুল হক বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক দেওয়া হয়।

সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা’ শ্রেণিতে দলগতভাবে এই পদক পেয়েছেন লক্ষ্মীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব) মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন আহম্মদ কবীর, লক্ষ্মীপুরের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ও বর্তমানে বিসিএস প্রশাসন অ্যাকাডেমির উপপরিচালক নূর-এ-আলম, সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন (বর্তমানে বিএসটিআই’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) এবং রায়পুর উপজেলার ইউএনও অনজন দাশ।

খাগড়াছড়ি জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব) প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, খাগড়াছড়ির সাবেক এডিসি (বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব) কে এম ইয়াসির আরাফাত, খাগড়াছড়ি জেলার সাবেক সহকারী কমিশনার (বর্তমানে মাগুরার মহম্মদপুরের সহকারী কমিশনার-ভূমি) বাসুদেব কুমার মালো ও খাগড়াছড়ির সাবেক সহকারী কমিশনার (মাগুরা জেলার সহকারী কমিশনার) শেখ নওশাদ হাসান ‘উন্নয়ন প্রশাসন’ শ্রেণিতে এই পদক পেয়েছেন।

‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ শ্রেণিতে শরীয়তপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার) মো. পারভেজ হাসান, শরিয়তপুরের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সাবেক উপ-পরিচালক (বর্তমানে অধিদপ্তরের উপপরিচালক) মো. মতলুবর রহমান, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ইউএনও কামরুল হাসান সোহেল এবং জাজিরা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেনকে এই পদক দেওয়া হয়।