ফেনী-বিলোনিয়া রুটে আট রেল স্টেশন বন্ধ চুরি হচ্ছে কোটি টাকার সরকারি সম্পদ।

প্রকাশিত: ৭:২৩ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২৩

শিব ব্রত (বিশেষ প্রতিনিধি)
***************************************
লোকবলের অভাব, লোকসান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দূর্নীতি ও উদাসীনতার কারণে ১৯৯৩ সালের ২৩শে জুন বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্ব জোনে অবস্হিত ফেনী জেলার ফেনী-বিলোনীয়া রুটে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আটটি রেল স্টেশন। সেবার মানব্যহত ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দূর্নীতি ও উদাসীনতার অভিযোগ রয়েছে যাত্রী সাধারণের। অপরদিকে সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বন্ধ স্টেশন গুলিতে চুরি হয়ে গেছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।রেল লাইনের বিশেষ করে চিথলিয়া থেকে আনন্দপুর পর্যন্ত প্রায় বিশ কিলোমিটার জায়গায় রেল লাইনের দুপাশের লোহারপাত সহ স্লিপার উঠিয়ে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোরেরা।
স্হানীয় সুত্রে জানাযায়,১৯২৬সালে তৎকালীন ব্রিটিশ আমলে ফেনী-বিলোনীয়ার মধ্যে শুরু হয়েছিল ট্রেন চলাচল। প্রথমে কয়লার ইঞ্জিন দিয়ে শুরু হলে ও পরবর্তীতে ডিজেল চালিত ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়। তারপর থেকেই এই অঞ্চলের মানুষ রেলপথে যাতায়াত করে আসছিলো। স্হানীয় বাসিন্দা ফজলুল করিম বলেন, ৮০এর দশকে তিনি ফেনী কলেজে পড়তেন । তখন বিলোনীয়ার ট্রেনে করে যাওয়া আসা করতেন। শুধু তিনি নন এই এলাকার ছাত্র, চাকুরীজীবি সহ ব্যবসায়ীদের যাতায়াতের মাধ্যম ছিল ফেনী-বিলোনীয়ার ট্রেন।
এদিকে বন্ধ হয়ে যাওয়া স্টেশন গুলিতে কোন কর্মকর্তা, কর্মচারীর বা পাহারাদার না থাকায় নষ্ট ও চুরি হয়ে গেছে স্টেশনের অভ্যন্তরে অনেক প্রয়োজনীয় দামী জিনিস পত্র। বিশেষ একটি মহলের দাপটে চলছে দখল ও লুটপাট। রেল ওয়ের জায়গায় গড়ে উঠেছে মার্কেট ও স্হাপনা।
এপ্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার বিশেষ শর্তে এক রেল কর্মকর্তা জানান, তৎকালীন সময়ে লোকবলের অভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল ফেনী-বিলোনীয়া রুট। আমাদের কাছে ওই রুটের রেলের সম্পদ চুরি হয়ে গেছে এই মর্মে অনেকে অভিযোগ করেছেন। কিছু দিনের মধ্যেই উদ্ধতন কতৃপক্ষের অনুমতি ক্রমে ওই এলাকা পরিদর্শন করে খবরাখবর নিয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা