ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে পর্দা কেলেঙ্কারি: ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

প্রকাশিত: ৯:৩৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহুল আলোচিত পর্দা কেলেঙ্কারির ঘটনায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে চার্জশিটটি ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দাখিল করা হয়েছে।                       চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে পাঁচজনই চিকিৎসক। ৯ জুলাই দুদক কমিশনার জহুরুল হকের (তদন্ত) স্বাক্ষর করা চিঠিতে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে পর্দা ও সরঞ্জামাদি কেনাকাটায় ১০ কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনায় মামলা করে দুদক।                                      সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আবদুল্লাহ আল মামুন, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সি ফররুখ আহমেদ, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক (শিশু বিভাগ) ডা. বরুণ কান্তি বিশ্বাস, সাবেক সিনিয়র কনসালট্যান্ট (চক্ষু বিভাগ) ডা. এনামুল হক, সাবেক অধ্যাপক (মেডিসিন) ডা. শেখ আবদুল ফাত্তাহ, সাবেক সহযোগী অধ্যাপক (সার্জারি) ডা. মো. মিজানুর রহমান, সাবেক আরএমও ডা. মো. শফিক উল্লাহ, একই হাসপাতালের সমাজসেবা কর্মকর্তা ওমর ফারুক, স্টোরকিপার আবদুর রাজ্জাক, ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের সাবেক সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আলমগীর ফকির, ফরিদপুর গণপূর্ত উপবিভাগের সাবেক উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) আবদুস সাত্তার, রাজধানীর মহাখালীর নিমিউ অ্যান্ড টিসির সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) মিয়া মোর্তজা হোসাইন এবং মেসার্স আলী ট্রেডার্সের মালিক আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ।

এ ছাড়া সহযোগী অধ্যাপক (দন্ত বিভাগ) ডা. গণপতি বিশ্বাস শুভ, সাবেক জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি) ডা. মীনাক্ষী চাকমা ও হাসপাতালের সাবেক প্যাথলজিস্ট ডা. এ এইচ এম নুরুল ইসলামকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

ফরিদপুর দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম জানান, দুদকের প্রধান কার্যালয়ের আদেশ পাওয়ার পরেই ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য রয়েছে।