ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর হামলা, এডিসি হারুনের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি

প্রকাশিত: ৫:৪৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞান সম্পাদক শরিফ আহমেদ মুনিমের ওপর পাশবিক নির্যাতনকারী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা জোনের এডিসি হারুনের স্থায়ী বহিষ্কার ও গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা।

আজ সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘গাজীপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি’ ও ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহান খান, কামাল খান, নজরুল ইসলাম, সৈয়দ আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, মোবারক হোসেন, তানজীল ভূইয়া তানভীর, মুজাহিদুল ইসলাম সোহাগ, নাজমুল সিদ্দিকী নাজ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মাহমুদুল হাসান, আরিফুজ্জামান আল ইমরান, ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল আহমেদ তানভীর ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়েজ উদ্দীন মানিক, মাহফুজ, হাসিব মীর, সোহেল রানা প্রমুখ নেতা। তারা এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন।

সাবেক সহসভাপতি সোহান খান বলেন, বাংলাদেশের সব আন্দোলনের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানকার শিক্ষার্থীদের নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে। এর আগেও এডিসি হারুন অনেকগুলো অপরাধে জড়িত ছিল। এমনকি সে তার নিজের সহকর্মীকেও থাপ্পড় মেরেছিল।

এ রকম একজন ব্যক্তির দায় প্রশাসন এড়াতে পারে না।ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি কামাল খান বলেন, পুলিশের পদ ব্যবহার করে সে ছাত্রলীগের ওপর হামলা করে। সে তার ব্যক্তিগত অপকর্ম ঢাকতে পুলিশের পদকে ব্যবহার করেছে। সে যে ধরনের কাজ করেছে তা ফৌজদারি অপরাধের শামিল। তাকে বহিষ্কার করা উচিত।

 

ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, এডিসি হারুন তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে। যে পশু তাকে জঙ্গলেই মানায়। যদি তার বিচার না হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কোনো কর্মী কিন্তু বসে থাকবে না। এই সংগঠনই স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছে।

আমরা আশা করব, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার বিচার হবে। 

উল্লেখ্য, গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাইমকে নির্যাতন করেন ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ। এ ঘটনার জেরে রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) এডিসি হারুনকে এপিবিএনে বদলি করা হয়েছে। অন্যদিকে ঘটনা তদন্তে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ডিএমপি।