ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধর : চাকরিচ্যুত হতে পারেন দোষী

প্রকাশিত: ৬:২৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে এডিসি হারুনের নেতৃত্বে মারধরের অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, কোনো ব্যক্তির দায় পুলিশ নেয় না। ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় ডিএমপি থেকে করা তদন্ত কমিটির দায়িত্বে আছেন তিনি।

তদন্ত সম্পর্কে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর কাকে কতটুকু দায়ী করবে তার ভিত্তিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ চাকরিচ্যুত হতে পারে, কেউ তিরস্কৃতও হতে পারে।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডিএমপি সদর দপ্তরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটিকে ডিএমপি কমিশনার স্যার বলেছেন একেবারেই নিরপেক্ষ এবং কারো প্রতি পক্ষপাতিত্ব না করে পেশাদারত্বের সঙ্গে তদন্ত সম্পন্ন করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য।’

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করে ছাত্রলীগ।

এ প্রসঙ্গে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, তাদের সঙ্গে সরাসরি একজন ভুক্তভোগীও এসেছিলেন। তারা তাদের মনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তাদের বেশ কিছু দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেছেন।বৈঠক শেষে বের হয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত, দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমাদের দাবিগুলো সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছি এবং ডিএমপি কমিশনার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন বিভাগীয় তদন্ত প্রক্রিয়াধীন। দ্রুত তদন্তের আলোকে সর্বোচ্চ আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। আমরা ডিএমপির তদন্ত কমিটির ওপর আস্থা রাখছি।’শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাবির ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে শাহবাগ থানায় নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে। নারীঘটিত একটি ঘটনার জেরে এ ঘটনা ঘটে।

শাহবাগ থানায় নিয়ে তাদের নির্যাতনের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার জেরে রাতেই শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে ঘটনা মীমাংসা করেন।

এ ঘটনায় রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ডিএমপির পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়।

ছাত্রলীগের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এডিসি হারুন শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এক নারীর সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সে সময় ওই নারীর স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান এবং তাদের দুজনকে একসঙ্গে পান। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে পুলিশ ফোর্স নিয়ে এসে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে গিয়ে বেদম মারধর করা হয়।