ব্রিটেনের বর্ষসেরা সিইও পুরস্কার পেলেন যে মুসলিম নারী ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৮:২৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিনিধি ব্রিটেনের মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা পুরস্কার ‘সিইও অব দি ইয়ার’ লাভ করেছেন ব্রিটিশ মুসলিম দাতব্য সংস্থা পেনি আপিলের প্রধান রিদওয়ানা ওয়ালেস-লাহের। গত ১ সেপ্টেম্বর বার্মিংহামের হলিডে ইন-এ ওশেনিক কনসাল্টিং আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার লাভ করেন তিনি। ব্রিটিশ সমাজে এশীয় পেশাজীবীদের উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়। রিদওয়ানা ওয়ালেস বলেন, ‘ব্রিটিশ এশিয়ান প্রফেশনাল অ্যাওয়ার্ড হিসেবে ২০২৩ সালের বর্ষসেরা সিইও পুরস্কার পেয়ে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। এই স্বীকৃতি কোনো ব্যক্তিগত অর্জন নয়; বরং তা আমার দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার উদযাপন। এর মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন ও বড় পার্থক্যের পথ পরিচালনার প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ। আমি এমন সম্প্রদায়ের অংশ হতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত যা বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তিকে গুরুত্বারোপ করে। সাফল্য ও ক্ষমতায়নের পথে আমাদের যাত্রা পরিচালনায় আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইয়াহু নিউজ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে রিদওয়ানা ওয়ালেস-লাহের একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দাতব্য সংস্থায় কাজ শুরু করেন। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে আন্তর্জাতিক মুসলিম মানবিক দাতব্য সংস্থার প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিযুক্ত হন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি ভারতে ঈদের সময় ৪০ লাখের বেশি মানুষের খাবার সরবরাহ করেন। লেবানন, তুরস্ক, সিরিয়া থেকে শুরু করে সর্বশেষ মরক্কোর ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়কালে দাতব্য সংস্থা পেনি আপিলের পক্ষ থেকে জরুরি সেবার নেতৃত্ব দেন তিনি। তা ছাড়া হতদরিদ্র ও দুর্বলদের পক্ষে তিনি আইনি সহায়তাসহ পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করেন।২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা পেনি আপিল প্রতিষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ উদ্যোক্তা ও সমাজসেবক আদিম ইউনুস ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। যুক্তরাজ্য ছাড়াও এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার একাধিক দেশে এর দাতব্য কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় এ সংস্থার মাধ্যমে দারিদ্র্য পীড়িত অঞ্চলে কূপ খনন, ঘর ও স্কুল ভবন নির্মাণ, জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ অভিবাসীদের সহায়তা দেওয়া হয়। ২০১২ সালে এক লাখ পাউন্ড সংগ্রহ করে সংস্থাটি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নেয়। এর মাধ্যমে ২০ মিলিয়নের বেশি লোক উপকৃত হয়। সংস্থাটি ৬০ মিলিয়নের বেশি পাউন্ড অর্থ সংগ্রহ করে। পেন আপিলকে গাম্বিয়ায় এতিমদের সহযোগী হিসেবে সর্ববৃহৎ সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সূত্র : ইয়াহু নিউজ SHARES ইসলাম বিষয়: ব্রিটেনরিদওয়ানা ওয়ালেস-লাহেরসিইও অব দি ইয়ার
ব্রিটেনের মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা পুরস্কার ‘সিইও অব দি ইয়ার’ লাভ করেছেন ব্রিটিশ মুসলিম দাতব্য সংস্থা পেনি আপিলের প্রধান রিদওয়ানা ওয়ালেস-লাহের। গত ১ সেপ্টেম্বর বার্মিংহামের হলিডে ইন-এ ওশেনিক কনসাল্টিং আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার লাভ করেন তিনি। ব্রিটিশ সমাজে এশীয় পেশাজীবীদের উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়। রিদওয়ানা ওয়ালেস বলেন, ‘ব্রিটিশ এশিয়ান প্রফেশনাল অ্যাওয়ার্ড হিসেবে ২০২৩ সালের বর্ষসেরা সিইও পুরস্কার পেয়ে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি।
এই স্বীকৃতি কোনো ব্যক্তিগত অর্জন নয়; বরং তা আমার দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার উদযাপন। এর মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন ও বড় পার্থক্যের পথ পরিচালনার প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ। আমি এমন সম্প্রদায়ের অংশ হতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত যা বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তিকে গুরুত্বারোপ করে। সাফল্য ও ক্ষমতায়নের পথে আমাদের যাত্রা পরিচালনায় আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইয়াহু নিউজ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে রিদওয়ানা ওয়ালেস-লাহের একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দাতব্য সংস্থায় কাজ শুরু করেন। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে আন্তর্জাতিক মুসলিম মানবিক দাতব্য সংস্থার প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিযুক্ত হন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি ভারতে ঈদের সময় ৪০ লাখের বেশি মানুষের খাবার সরবরাহ করেন। লেবানন, তুরস্ক, সিরিয়া থেকে শুরু করে সর্বশেষ মরক্কোর ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়কালে দাতব্য সংস্থা পেনি আপিলের পক্ষ থেকে জরুরি সেবার নেতৃত্ব দেন তিনি।
তা ছাড়া হতদরিদ্র ও দুর্বলদের পক্ষে তিনি আইনি সহায়তাসহ পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করেন।২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা পেনি আপিল প্রতিষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ উদ্যোক্তা ও সমাজসেবক আদিম ইউনুস ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। যুক্তরাজ্য ছাড়াও এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার একাধিক দেশে এর দাতব্য কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় এ সংস্থার মাধ্যমে দারিদ্র্য পীড়িত অঞ্চলে কূপ খনন, ঘর ও স্কুল ভবন নির্মাণ, জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ অভিবাসীদের সহায়তা দেওয়া হয়।
২০১২ সালে এক লাখ পাউন্ড সংগ্রহ করে সংস্থাটি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নেয়। এর মাধ্যমে ২০ মিলিয়নের বেশি লোক উপকৃত হয়। সংস্থাটি ৬০ মিলিয়নের বেশি পাউন্ড অর্থ সংগ্রহ করে। পেন আপিলকে গাম্বিয়ায় এতিমদের সহযোগী হিসেবে সর্ববৃহৎ সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।