কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়কের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত গোমতী নদীর বেইলি ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা।

প্রকাশিত: ১:৫১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি : প্রায় ৬ বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা হয়েছে গোমতী নদীর বেইলি ব্রিজ, অথচ সেখানে নতুন সেতুর প্রকল্প যেন অধরাই। কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার চাঁনপুরে গোমতী নদীতে পুরনো বেইলি ব্রিজে বন্ধ আছে ভারী যান চলাচল। শুধু ছোট ছোট গাড়ি চলে সরু এই সেতু দিয়ে। কিন্তু ব্রিজটি এত সরু যে, পারাপারের সময় দুইপাড়ে তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট। তবে বরাবরের মতো সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, স্টিলের ব্রিজটি ভেঙে দ্রুতই নির্মাণ করা হবে নতুন সেতু ও জাতীয় হাইওয়ের মতো সড়ক।

গোমতী নদীতে আশির দশকে নির্মিত হয় এ বেইলি ব্রিজ। এখান দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবাসহ কুমিল্লার কয়েকটি উপজেলার মানুষ খুব সহজে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন করতে পারত জেলা সদরের সঙ্গে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সময়ের সঙ্গে মরিচা পড়ে ভেঙে যাচ্ছে সেতুর রেলিংসহ বিভিন্ন অংশ। ক্ষয়ে গেছে পাটাতনও। যে কারণে প্রায় ৬ বছর আগে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। চলাচল বন্ধ রয়েছে পণ্যবাহী ও ভারী যানবাহন। তবে প্রাইভেটকার, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ছোট ছোট গাড়ি পারাপার হয় সরু ও জরাজীর্ণ এই সেতু দিয়ে। ভয়ে ভয়ে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ ব্যবহার করেন এই সেতু ও সড়ক। আর ভারী যানবাহন আটকাতে সেতুরমুখে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড।

যাত্রী ও চালকরা বলছেন, সেতুটি এতই সরু যে, দুটি অটোরিকশা একসঙ্গে পারাপার হতে আটকে যাওয়ার উপক্রম হয়। এ কারণে দুইপাড়ে তীব্র যানজটে স্থায়ী ভোগান্তির রূপ নিয়েছে। চালক ও যাত্রীদের দাবি, অতিসত্বর নতুন সেতু করা না হলে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

বিবির বাজার স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়কের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে এই সড়ক। কুমিল্লা স্থলবন্দর দিয়ে বছরে লাখ লাখ টন পাথর রপ্তানি হয় ভারতে। যার সিংহভাগই আসে সিলেট থেকে। বন্দর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরত্বের এ সেতুটি দ্রুত নির্মাণ হলে দূরত্ব কমবে অনেকাংশ।

কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল বলেন, সড়ক উন্নয়নের সঙ্গে বড় মাপের একটি সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দীর্ঘদিনের। এলজিইডি থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগে কুমিল্লা থেকে কসবা সড়ক ও চাঁনপুর বেইলি ব্রিজের কাজ স্থানান্তর করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ব্রিজ নির্মাণে হাত দেবে সড়ক ও জনপথ এমনটাই প্রত্যাশা।

কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, কারিগরি সমীক্ষা চলছে, ডিজাইনের কাজ শেষ হলেই ওয়েস্টার্ন ব্রিজ ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্টে ব্রিজ নির্মাণে হাত দেবো। একইসঙ্গে কুমিল্লা-সালদা ২৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে জাতীয় মহাসড়কের আদলে। এজন্য ২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।