আজ বিশ্ব স্ট্রোক দিবস স্ট্রোক কিন্তু হার্টের অসুখ নয় ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০২৩ প্রতীকী ছবি নিজস্ব প্রতিবেদন স্ট্রোক একটি ঘাতক ব্যাধি। প্রতিবছর প্রায় দেড় কোটি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে মারা যায় অর্ধকোটি মানুষ, আর অর্ধকোটি পঙ্গুত্ব বরণ করে। বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ এটি। মারা যাওয়াদের দুই-তৃতীয়াংশ আমাদের মতো দেশে ঘটে। দিন দিন স্ট্রোক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে এ হার প্রায় ৮০ গুণ বেড়ে যাবে। বাংলাদেশেও এ হার কিন্তু কম নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে প্রতি এক হাজারে প্রায় ১২ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। ঘাতক এ ব্যাধি থেকে বেঁচে থাকতে সচেতনতার বিকল্প নেই। কেউ স্ট্রোক করেছে শুনলেই আমরা মরি কি পড়ি করে ছুটি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে বা হার্টের চিকিৎসা হয় এমন হাসপাতালে। জ্যামের এ শহরে হাসপাতালে নিতেই তিন-চার ঘণ্টা কেটে যায়। কিন্তু স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা পেতে হলে এ রোগের চিকিৎসা হয় এমন হাসপাতালে যেতে হবে আক্রান্ত হওয়ার সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে। হার্ট অ্যাটাক মনে করে হৃদরোগ হাসপাতালে নিয়ে গেলে স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। দুটি রোগের উপসর্গেও কিন্তু আছে বিস্তর পার্থক্য। হার্ট বুকের মধ্যে থাকে তাই হার্ট অ্যাটাক হলে বুকে তীব্র ব্যথা করে, মনে হয় বুকে পাথর চেপে বসে আছে। এ ব্যথা হাতে বা গলায় যেতে পারে। ব্যথার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, বমি বমি লাগা বা বমি হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। স্ট্রোকের উপসর্গ হলো শরীরের কোনো এক পাশ অবশ হয়ে যাওয়া বা ঝিমঝিম করা, মুখ বেঁকে যাওয়া, কথা জড়িয়ে যাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা বা একটি জিনিস দুটি দেখা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা অস্বাভাবিক আচরণ করা, ভারসাম্যহীনতা। স্ট্রোকেও ব্যথা হতে পারে। হার্ট বুকে থাকে বলে বুকে ব্যথা হয়, তেমনি স্ট্রোকে তীব্র মাথা ব্যথা হতে পারে। এ দুটি রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেমন ভিন্ন, তেমনি চিকিৎসাও ভিন্ন। হার্ট অ্যাটাকে ইসিজি ও রক্তে ট্রোপোনিন-আই পরীক্ষা করতে হয় আর স্ট্রোকে শুরুতেই সিটিস্ক্যান। স্ট্রোকে আরো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে। স্ট্রোকের চিকিৎসায় সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে এলে আইভি থ্রোম্বলাইসিস করে রোগীকে সুস্থ করা যায়। এ সময় পার হলে ওষুধ ও রিহ্যাবিলিটেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। কাজেই হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক একই রোগ নয়। মস্তিষ্কের রক্তনালির রোগ স্ট্রোক। স্ট্রোক হলে নিউরোলজিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে। পরামর্শ দিয়েছেন ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু সহকারী অধ্যাপক ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি বিভাগ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিনস), ঢাকা SHARES লাইফস্টাইল বিষয়: স্ট্রোক
স্ট্রোক একটি ঘাতক ব্যাধি। প্রতিবছর প্রায় দেড় কোটি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে মারা যায় অর্ধকোটি মানুষ, আর অর্ধকোটি পঙ্গুত্ব বরণ করে। বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ এটি।
মারা যাওয়াদের দুই-তৃতীয়াংশ আমাদের মতো দেশে ঘটে। দিন দিন স্ট্রোক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে এ হার প্রায় ৮০ গুণ বেড়ে যাবে। বাংলাদেশেও এ হার কিন্তু কম নয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে প্রতি এক হাজারে প্রায় ১২ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। ঘাতক এ ব্যাধি থেকে বেঁচে থাকতে সচেতনতার বিকল্প নেই। কেউ স্ট্রোক করেছে শুনলেই আমরা মরি কি পড়ি করে ছুটি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে বা হার্টের চিকিৎসা হয় এমন হাসপাতালে। জ্যামের এ শহরে হাসপাতালে নিতেই তিন-চার ঘণ্টা কেটে যায়।
কিন্তু স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা পেতে হলে এ রোগের চিকিৎসা হয় এমন হাসপাতালে যেতে হবে আক্রান্ত হওয়ার সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে। হার্ট অ্যাটাক মনে করে হৃদরোগ হাসপাতালে নিয়ে গেলে স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। দুটি রোগের উপসর্গেও কিন্তু আছে বিস্তর পার্থক্য। হার্ট বুকের মধ্যে থাকে তাই হার্ট অ্যাটাক হলে বুকে তীব্র ব্যথা করে, মনে হয় বুকে পাথর চেপে বসে আছে। এ ব্যথা হাতে বা গলায় যেতে পারে।
ব্যথার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, বমি বমি লাগা বা বমি হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। স্ট্রোকের উপসর্গ হলো শরীরের কোনো এক পাশ অবশ হয়ে যাওয়া বা ঝিমঝিম করা, মুখ বেঁকে যাওয়া, কথা জড়িয়ে যাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা বা একটি জিনিস দুটি দেখা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা অস্বাভাবিক আচরণ করা, ভারসাম্যহীনতা। স্ট্রোকেও ব্যথা হতে পারে। হার্ট বুকে থাকে বলে বুকে ব্যথা হয়, তেমনি স্ট্রোকে তীব্র মাথা ব্যথা হতে পারে। এ দুটি রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেমন ভিন্ন, তেমনি চিকিৎসাও ভিন্ন। হার্ট অ্যাটাকে ইসিজি ও রক্তে ট্রোপোনিন-আই পরীক্ষা করতে হয় আর স্ট্রোকে শুরুতেই সিটিস্ক্যান। স্ট্রোকে আরো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে। স্ট্রোকের চিকিৎসায় সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে এলে আইভি থ্রোম্বলাইসিস করে রোগীকে সুস্থ করা যায়। এ সময় পার হলে ওষুধ ও রিহ্যাবিলিটেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। কাজেই হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক একই রোগ নয়। মস্তিষ্কের রক্তনালির রোগ স্ট্রোক। স্ট্রোক হলে নিউরোলজিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে। পরামর্শ দিয়েছেন ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু সহকারী অধ্যাপক ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি বিভাগ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিনস), ঢাকা