গত মহাজোট সরকারের দশ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি আন্ডারপাস প্রকল্প

প্রকাশিত: ৬:০৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪

 

বিশেষ প্রতিনিধি

যানজট নিরসনে গত মহাজোট সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের ৬ বছরের মাথায় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে গাড়ি পারাপারের আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়। কিন্তু গত ১০ বছরেও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তৎকালীন সরকারের মনিটরিং এর অভাবে একের পর এক প্রকল্প গ্রহণের পরেও বাস্তবায়ন হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর যানজট নিরসনে এ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। যদিও যানজট নিরশনে আরো একাধিক প্রকল্প নেয়া হয়েছে কয়েকটি বাস্তবায়ন হলেও এ প্রকল্পটি এখনো আলোর মুখ দেখেনি। মূলত যানজট দূর করতে ২০১৪ সালে নগরীর দশটি পয়েন্টে গাড়ি পারাপারের জন্য মাটির নিচ দিয়ে আন্ডারপাস নির্মাণের উদ্যোগ নেয় তৎকালীন সরকার। কিন্তু গত ১০ বছরেও এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, অর্থ সংকটসহ নানা জটিলতায় এ কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানীতে যানবাহন সড়কের এক পাশ দিয়ে আরেক পাশ যাওয়ার সময় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে এর সমস্যা নিরসনে ২০১৪ সালে গাড়ি পারাপারের জন্য আন্ডারপাস নির্মাণে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় এর সংকট নিরসন হচ্ছে না। জানা যায় প্রকল্পের আওতায় এ দশটির বাইরেও পরাজয়ক্রমে আরও একাধিক পয়েন্টে এ আন্ডার পাস স্থাপন করার কথা ছিল। এ আন্ডারপাস থেকেও ছোট আকৃতির একটি ফ্লাইওভারের উপকারিতা পাওয়ার কথা রয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে যানজট অনেকটাই কমবে বলে মনে করেছে সিটি কর্পোরেশন। যানজট প্রবন রাস্তার সংযোগস্থলে স্বল্প দূরত্বের চ্যানেল সাদৃশ্য আন্ডার পাস তৈরীর পরিকল্পনা ছিল গত সরকারের। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ট্রাফিক সিগন্যালের কিছুটা দূর দিয়ে গাড়িগুলো টানেলের মধ্যে ঢুকে মাটির নিচ দিয়ে সিগনাল পয়েন্ট অতিক্রম করতে পারবে। দুই সিটির ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট স্বল্প ব্যায়ী এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা ছিল। এক একটি আন্ডার পাস তৈরিতে ব্যয় হওয়ার কথা ছিল প্রায় ৬৫ কোটি টাকা। দশটি আন্ডার পাস তৈরিতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬৪০ কোটি টাকা। আপাতত ১০ টি পয়েন্টে এ আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য বাছাই করা হয়েছে। এর মধ্যে রাসেল স্কয়ার, সাইন্স ল্যাবরেটরি,ধানমন্ডি ২৭ নাম্বার, ৭ নাম্বার, ২ নাম্বার, ফকিরাপুল, ও রাজারবাগ- শাহজাহানপুরের ইন্টারসেকশনে গাড়ি পারাপারের আন্ডার ৫ নির্মাণ করার কথা ছিল। এছাড়া মিরপুর রোডের টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ও ২৭ নাম্বারের মানিক মিয়া এভিনিউস একশনে ইউ টার্ন ভেহিকুলার আন্ডারপাস নির্মাণের কথা রয়েছে।এ দুটির মাধ্যমে গাড়িগুলো মাটির নিচ দিয়ে ইউ টার্ন নিতে পারবে। বাছাই করা দশটি পয়েন্টের যে মুখে যানবাহনের চাপ বেশি থাকে সেই দিক বরাবর আন্ডারপাস নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয় । ওইসব পয়েন্টে পৌছার কিছু আগেই গাড়িগুলো মাটির নিচে তৈরি আন্ডার পাশে ঢুকতে পারবে। সংযোগস্থল অতিক্রম করে আবার মূল রাস্তায় ওঠা যাবে।এ জন্য নতুন জমি অভিগ্রহনের প্রয়োজন হবে না। বিদ্যমান রাস্তার জায়গাতেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যাবে। দক্ষিণ সিটির সংক্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে আন্ডারপার যানজট নিরসনে ব্যাপক কাজে লাগবে। ভারতের নয়া দিল্লি তে এ পদ্ধতি গ্রহণ করে ভালো ফল পাওয়া গেছে। এ লক্ষ্য নিয়েই এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কি কারণে এ প্রকল্পের কাজ এখনো শুরু করা যায়নি সেটা সাবেক মেয়ররাই ভালো বলতে পারবেন।