আত্মহত্যা করেছিলেন হিমুর কাছের বন্ধুও! ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১০:৫৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০২৩ হিমু ও তাঁর বন্ধু আদিত্য নিজস্ব প্রতিবেদক ছোট পর্দার অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় গত ২ নভেম্বর। তাঁর আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে বন্ধু মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রুফি ওরফে উরফি জিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আত্মহত্যার কারণও। তবে অনুসন্ধানে হিমু সম্পর্কে আরো কয়েকটি তথ্য পাওয়া যায়। হিমুর একসময়ের সবচেয়ে কাছের বন্ধুও আত্মহত্যা করেছিলেন। তাঁর সেই বন্ধুর নাম তৌফিক নেওয়াজ। যাঁকে সবাই চিনতেন আদিত্য নামে। রাজধানীর নিকেতন এলাকায় ছিল তাঁর বিচরণ। ছিলেন বিজ্ঞাপন নির্মাতাও। আদিত্যর বাবা একজন শিশুসাহিত্যিক ও কবি। তবে পরিবারের সঙ্গে খুব বেশি যোগাযোগ ছিল না আদিত্যর। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন অনেক দিন। হিমুর ঘনিষ্ঠদের সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ সালের দিকে আদিত্যর সঙ্গে পরিচয় হয় হিমুর। তার পর থেকে বাড়ে সখ্য। অনেকের ধারণা, সেটা প্রেম অবধি গড়ায়। নিকেতনে অফিস করেন এমন অনেকের সঙ্গে কথা বলে হিমু ও আদিত্যর প্রেমের কথা জানা যায়। পাশাপাশি তাঁরা বিয়েও করেছিলেন বলে শোনা যায়। যদিও বিয়ের সপক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। এদিকে আদিত্যর কাছের একজন পরিচালক জানান, আদিত্য ‘লাভ ললিপপ’ নামে একটি সিনেমা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেটার প্রথম প্রযোজক ছিলেন কানাডাপ্রবাসী একজন। কিন্তু তিনি সরে যাওয়ার পর সেটা প্রযোজনা করতে চেয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ। আর গান লেখার কথা ছিল কয়েক দিন আগে মৃত্যুবরণ করা আরেক গীতিকবি রাজিব আশরাফের। এই সিনেমার একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল হুমায়রা হিমুর। সিনেমার সূত্রেই দারুণ সম্পর্ক তৈরি হয় হিমু ও আদিত্যর। এমনকি হিমুর মায়ের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক হয়। তাঁদের বাসায়ও যাতায়াত ছিল। হিমুর মাকে মা ডাকতেন আদিত্য। কিন্তু এই সিনেমার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশির ভাগই আজ আর পৃথিবীতে নেই। মাঝপথে হিমুর সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আদিত্যর সম্পর্ক। ২০২০ সালের শেষ দিকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন আদিত্য। অনেকেই মনে করেন, হিমুর বিরহ সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেন আদিত্য। তবে আদিত্য তাঁর মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করে যাননি। ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশার কারণেও আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা অনেকের। এদিকে হুমায়রা হিমুর লাশ গতকাল তাঁর নিজের বাড়ি লক্ষ্মীপুরে দাফন করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে হিমুর প্রেমিক উরফিকে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে পর্দায় দর্শক হৃদয় জয় করেছেন হুমায়রা হিমু। তবে কয়েক বছর ধরে অভিনয়ে খুব একটা নিয়মিত ছিলেন না। এ নিয়ে অভিনেত্রীর মধ্যে একরকম অভিমানও কাজ করেছিল। SHARES বিনোদন বিষয়: আত্মহত্যাহুমায়রা হিমু
নিজস্ব প্রতিবেদক ছোট পর্দার অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় গত ২ নভেম্বর। তাঁর আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে বন্ধু মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রুফি ওরফে উরফি জিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আত্মহত্যার কারণও। তবে অনুসন্ধানে হিমু সম্পর্কে আরো কয়েকটি তথ্য পাওয়া যায়।
হিমুর একসময়ের সবচেয়ে কাছের বন্ধুও আত্মহত্যা করেছিলেন। তাঁর সেই বন্ধুর নাম তৌফিক নেওয়াজ। যাঁকে সবাই চিনতেন আদিত্য নামে। রাজধানীর নিকেতন এলাকায় ছিল তাঁর বিচরণ।
ছিলেন বিজ্ঞাপন নির্মাতাও। আদিত্যর বাবা একজন শিশুসাহিত্যিক ও কবি। তবে পরিবারের সঙ্গে খুব বেশি যোগাযোগ ছিল না আদিত্যর। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন অনেক দিন।
হিমুর ঘনিষ্ঠদের সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ সালের দিকে আদিত্যর সঙ্গে পরিচয় হয় হিমুর। তার পর থেকে বাড়ে সখ্য। অনেকের ধারণা, সেটা প্রেম অবধি গড়ায়। নিকেতনে অফিস করেন এমন অনেকের সঙ্গে কথা বলে হিমু ও আদিত্যর প্রেমের কথা জানা যায়। পাশাপাশি তাঁরা বিয়েও করেছিলেন বলে শোনা যায়।
যদিও বিয়ের সপক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। এদিকে আদিত্যর কাছের একজন পরিচালক জানান, আদিত্য ‘লাভ ললিপপ’ নামে একটি সিনেমা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেটার প্রথম প্রযোজক ছিলেন কানাডাপ্রবাসী একজন। কিন্তু তিনি সরে যাওয়ার পর সেটা প্রযোজনা করতে চেয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ। আর গান লেখার কথা ছিল কয়েক দিন আগে মৃত্যুবরণ করা আরেক গীতিকবি রাজিব আশরাফের। এই সিনেমার একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল হুমায়রা হিমুর। সিনেমার সূত্রেই দারুণ সম্পর্ক তৈরি হয় হিমু ও আদিত্যর। এমনকি হিমুর মায়ের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক হয়। তাঁদের বাসায়ও যাতায়াত ছিল। হিমুর মাকে মা ডাকতেন আদিত্য। কিন্তু এই সিনেমার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশির ভাগই আজ আর পৃথিবীতে নেই। মাঝপথে হিমুর সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আদিত্যর সম্পর্ক। ২০২০ সালের শেষ দিকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন আদিত্য। অনেকেই মনে করেন, হিমুর বিরহ সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেন আদিত্য। তবে আদিত্য তাঁর মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করে যাননি। ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশার কারণেও আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা অনেকের। এদিকে হুমায়রা হিমুর লাশ গতকাল তাঁর নিজের বাড়ি লক্ষ্মীপুরে দাফন করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে হিমুর প্রেমিক উরফিকে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে পর্দায় দর্শক হৃদয় জয় করেছেন হুমায়রা হিমু। তবে কয়েক বছর ধরে অভিনয়ে খুব একটা নিয়মিত ছিলেন না। এ নিয়ে অভিনেত্রীর মধ্যে একরকম অভিমানও কাজ করেছিল।