সুলায়মান (আ.) সম্পর্কে ইহুদিদের ধর্মীয় বিশ্বাস ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১১:৫৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২৩ পবিত্র আল-আকসা মসজিদ, জেরুজালেম, ফিলিস্তিন। ছবি : সংগৃহীত নিজস্ব প্রতিনিধি বর্তমানে ইহুদি জাতির আল-আকসার প্রতি কুদৃষ্টি দেওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো, তারা মূলত সুলায়মান (আ.)-এর আধ্যাত্মিক শক্তি ও গুপ্তধন লাভ করতে চায়। মহান আল্লাহ সুলায়মান (আ.)-কে বহু অলৌকিক শক্তি দান করেছিলেন। এবং তিনি এই ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সিংহাসন স্থাপনের মাধ্যমে গোটা পৃথিবী রাজত্ব করেছিলেন। তারা মনে করে আল-আকসা ভূখণ্ডের নিচে সুলায়মান (আ.)-এর রেখে যাওয়া বহু গুপ্তধন এবং ঐশ্বরিক ক্ষমতার উপাদান আছে, যেগুলো দিয়ে বিশ্বজয় করা যাবে। তারা নিজেদের দাউদ (আ.) ও সুলায়মান (আ.)-এর অনুসারী হিসেবে পেশ করে। তারা বলে, বায়তুল মুকাদ্দাসের মসজিদে আকসার নিচে ‘সুলেমানস্ টেম্পল’ বা ‘সুলেমান মন্দির’ আছে। তাই তারা তা উদ্ধার করতে চায়। তারা প্রচার করছে, তারা সুলায়মান (আ.)-এর খুব ভক্ত ও অনুসারী। অথচ এসব ইহুদির বেশির ভাগ হলো আশকেনাজিম ইহুদি, যারা মৌলিকভাবে ইহুদিই নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ইহুদি ধর্মের অনুসারী দাবি করে তারা মুসলিমদের দেশ দখল করতে এসেছে। এসব আশকেনাজিম ইহুদির সঙ্গে বংশীয়ভাবে প্রকৃত বনি ইসরাঈলের কোনো সম্পর্কই নেই। আর গুটিকয়েক যারা বনি ইসরাঈল বংশোদ্ভূত আছে, তারাও বর্তমানে নবী মুসা, দাউদ ও সুলায়মান (আ.)-এর শিক্ষা ও আদর্শের ধারেকাছেও নেই। বরং তারা প্রকৃতপক্ষে নবীদের হত্যাকারী ও নবীবিদ্বেষী জাতি। তারা যদি সত্যিকারভাবে মুসা, দাউদ ও সুলায়মান (আ.)-এর অনুসারী হতো, তাহলে তারা তাদের কিতাবে ভবিষ্যদ্বাণীকৃত নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি ঈমান এনে সততার পরিচয় দিত। যেভাবে সততার পরিচয় দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন মদিনার ইহুদি পণ্ডিত আলেম আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.)-সহ বহু সৎমানুষ। কেমন ছিলেন সুলায়মান (আ.) প্রসিদ্ধ নবী সুলায়মান (আ.) বনি ইসরাঈলের নবী দাউদ (আ.)-এর পুত্র। আল্লাহ তাআলা তাঁকে নবুয়ত, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দান করেছেন এবং তাঁর পিতার রাজত্বের স্থলাভিষিক্ত করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি দাউদের জন্য সুলায়মানকে দান করেছিলাম, সে কতই না উত্তম বান্দা এবং সে ছিল আমার প্রতি সদা প্রত্যাবর্তনশীল। ’ (সুরা : ছদ, আয়াত : ৩০) আল্লাহ তাআলা তাঁকে বাল্যকালেই গভীর প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টি দান করেছিলেন। বকরিপালের মালিক ও শস্যক্ষেতের মালিকের মধ্যে পিতা দাউদ (আ.) যেভাবে বিরোধ মীমাংসা করেছিলেন, বালক সুলায়মান তাঁর চেয়ে উত্তম ফায়সালা পেশ করেছিলেন। ফলে দাউদ (আ.) নিজের আগের রায় নাকচ করে পুত্রের দেওয়া প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং সে মোতাবেক রায় প্রদান করেন। (দেখুন সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৭৮-৭৯) কিন্তু ইহুদি জাতি সুলায়মান (আ.)-কে নবী স্বীকার করা দূরের কথা, তাঁকে সৎমানুষ বলেও বিশ্বাস করে না। বরং তাঁকে পাপিষ্ঠ ও মূর্তিপূজারি রাজা হিসেবে বিশ্বাস করে, নাউজুবিল্লাহ! আমাদের নবী (সা.) যখন সুলায়মান (আ.)-এর প্রশংসা করেন তখন মদিনার অনেক ইহুদি বলেছিল : ‘আশ্চর্যের বিষয়! মুহাম্মদ সুলায়মানকে নবীদের মধ্যে গণ্য করে, অথচ তিনি ছিলেন একজন জাদুকর মাত্র।’ (তাফসিরে তাবারি : ১/৩৬০) ইহুদিদের বিকৃত ধর্মগ্রন্থের বর্ণনায় সুলায়মান (আ.) ইহুদিদের হাতে বিকৃত হওয়া তাওরাত, যা বর্তমানে ‘বাইবেল ওল্ড-টেস্টামেন্ট’ নামে পরিচিত। সেই বাইবেলের বর্ণনামতে সুলায়মান (আ.) তাঁর সঙ্গীদের প্ররোচনায় পিতৃধর্ম ত্যাগ করে মূর্তিপূজায় জড়িয়ে পড়েন। (রাজাবলি, ১ নম্বর অধ্যায়, পৃষ্ঠা ১-২১) এমনকি নাউজুবিল্লাহ, তাঁকে একজন যৌনাচারে লিপ্ত নারীলোভী বাদশাহরূপে বাইবেলে দেখানো হয়েছে। বাইবেলের একটি বর্ণনা নিম্নরূপ : ‘রাজা সুলেমান নারীদের সান্নিধ্য পছন্দ করতেন। তিনি এমন অনেক নারীকে ভালোবেসেছিলেন যারা ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত নয়। মিসরের জনৈক ফেরাউনের কন্যাসহ অনেক বিজাতীয় রমণীকে ভালোবাসতেন। অথচ প্রভু ইসরায়েলিদের সতর্ক করেছিলেন যে তোমরা বিজাতীয় রমণীদের বিয়ে কোরো না। কারণ তারা তাদের মূর্তিকে পূজা করতে তোমাদের প্রভাবিত করবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সুলেমান বিজাতীয় রমণীদের প্রেমে পড়েন। সুলেমানের ৭০০ জন সঙ্গী ছিল। যারা সবাই অন্যান্য দেশের নেতাদের কন্যা। এ ছাড়া তাঁর ৩০০ জন ক্রীতদাসী উপপত্নী ছিল। সুলেমানের পত্নীরা তাঁকে ঈশ্বরবিমুখ করে তুলেছিল। সঙ্গীদের পাল্লায় পড়ে তিনি অন্যান্য মূর্তির পূজা করতে শুরু করেন। তাঁর পিতা রাজা দাউদের মতো সুলেমান একনিষ্ঠভাবে প্রভুকে অনুসরণ করেননি।…’ (রাজাবলি, ১ নম্বর অধ্যায়, পৃষ্ঠা ১১) বাইবেলের অন্য একটি উদ্ধৃতি : ‘আমি সুলেমান থেকে রাজত্ব কেড়ে নেব। কারণ সুলেমান আমার উপাসনা বন্ধ করে দিয়েছে। সুলেমান সীদোনীয়দের মূর্তির পূজা করছে, মোয়াবীয়দের মূর্তি কমোশ ও আম্মোনীয়দের মূর্তি ‘মিলকমে’র আরাধনা করছে। সুলেমান ভালো ও সঠিক কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। সে আর এখন আমার বিধি ও আদেশ মেনে চলে না। ওর পিতা দাউদ যেভাবে জীবন যাপন করেছিল, সুলেমান আর সেভাবে জীবন যাপন করে না। এ কারণেই আমি সুলেমানের হাত থেকে রাজ্য কেড়ে নেব।…’ (রাজাবলি, ১ নম্বর অধ্যায়, পৃষ্ঠা ২১; আরো দেখুন : সলোমনের পরমগীত অধ্যায় ৮ এর ১-৩, ১০; ৭ম অধ্যায়ের ৮, ৯, ১১-১৩; ৪র্থ অধ্যায়ের ৫, ৯, ১০, ১২; ১ম অধ্যায়ের ২-৪, ১৩, ১৬; দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৬ এবং ৫ম অধ্যায়ের ২-৪, ৮) নাউজুবিল্লাহ! একজন মর্যাদাবান নবীর ব্যাপারে এ কেমন ধৃষ্টতাপূর্ণ বিশ্বাস? আল-কোরআনে সুলায়মান (আ.) অথচ কোরআনে কারিমের বর্ণনায় তাঁকে একজন মর্যাদাবান নবী ও ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সুলায়মান (আ.)-এর ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সে কতই না উত্তম বান্দা এবং সে ছিল আমার প্রতি সদা প্রত্যাবর্তনশীল।’ (সুরা : ছদ, আয়াত : ৩০) অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর আমি এ বিষয়ের ফয়সালা সুলায়মানকে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম। আর আমি তাদের প্রত্যেককেই দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও জ্ঞান।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৭৯) ইহুদিদের ভ্রান্তবিশ্বাস খণ্ডন করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা ওই সবের অনুসরণ করে থাকে, যা সুলায়মানের রাজত্বকালে শয়তানরা আবৃত্তি করত। অথচ সুলায়মান কুফরি করেননি, বরং শয়তানরাই কুফরি করেছিল।’ (সুরা : বাকারা : আয়াত : ১০২) SHARES ইসলাম বিষয়: ইহুদিধর্মীয় বিশ্বাসসুলায়মান (আ.)
বর্তমানে ইহুদি জাতির আল-আকসার প্রতি কুদৃষ্টি দেওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো, তারা মূলত সুলায়মান (আ.)-এর আধ্যাত্মিক শক্তি ও গুপ্তধন লাভ করতে চায়। মহান আল্লাহ সুলায়মান (আ.)-কে বহু অলৌকিক শক্তি দান করেছিলেন। এবং তিনি এই ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সিংহাসন স্থাপনের মাধ্যমে গোটা পৃথিবী রাজত্ব করেছিলেন। তারা মনে করে আল-আকসা ভূখণ্ডের নিচে সুলায়মান (আ.)-এর রেখে যাওয়া বহু গুপ্তধন এবং ঐশ্বরিক ক্ষমতার উপাদান আছে, যেগুলো দিয়ে বিশ্বজয় করা যাবে।
তারা নিজেদের দাউদ (আ.) ও সুলায়মান (আ.)-এর অনুসারী হিসেবে পেশ করে। তারা বলে, বায়তুল মুকাদ্দাসের মসজিদে আকসার নিচে ‘সুলেমানস্ টেম্পল’ বা ‘সুলেমান মন্দির’ আছে। তাই তারা তা উদ্ধার করতে চায়। তারা প্রচার করছে, তারা সুলায়মান (আ.)-এর খুব ভক্ত ও অনুসারী।
অথচ এসব ইহুদির বেশির ভাগ হলো আশকেনাজিম ইহুদি, যারা মৌলিকভাবে ইহুদিই নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ইহুদি ধর্মের অনুসারী দাবি করে তারা মুসলিমদের দেশ দখল করতে এসেছে। এসব আশকেনাজিম ইহুদির সঙ্গে বংশীয়ভাবে প্রকৃত বনি ইসরাঈলের কোনো সম্পর্কই নেই। আর গুটিকয়েক যারা বনি ইসরাঈল বংশোদ্ভূত আছে, তারাও বর্তমানে নবী মুসা, দাউদ ও সুলায়মান (আ.)-এর শিক্ষা ও আদর্শের ধারেকাছেও নেই। বরং তারা প্রকৃতপক্ষে নবীদের হত্যাকারী ও নবীবিদ্বেষী জাতি।
তারা যদি সত্যিকারভাবে মুসা, দাউদ ও সুলায়মান (আ.)-এর অনুসারী হতো, তাহলে তারা তাদের কিতাবে ভবিষ্যদ্বাণীকৃত নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি ঈমান এনে সততার পরিচয় দিত। যেভাবে সততার পরিচয় দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন মদিনার ইহুদি পণ্ডিত আলেম আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.)-সহ বহু সৎমানুষ। কেমন ছিলেন সুলায়মান (আ.) প্রসিদ্ধ নবী সুলায়মান (আ.) বনি ইসরাঈলের নবী দাউদ (আ.)-এর পুত্র। আল্লাহ তাআলা তাঁকে নবুয়ত, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দান করেছেন এবং তাঁর পিতার রাজত্বের স্থলাভিষিক্ত করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি দাউদের জন্য সুলায়মানকে দান করেছিলাম, সে কতই না উত্তম বান্দা এবং সে ছিল আমার প্রতি সদা প্রত্যাবর্তনশীল।
’ (সুরা : ছদ, আয়াত : ৩০) আল্লাহ তাআলা তাঁকে বাল্যকালেই গভীর প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টি দান করেছিলেন। বকরিপালের মালিক ও শস্যক্ষেতের মালিকের মধ্যে পিতা দাউদ (আ.) যেভাবে বিরোধ মীমাংসা করেছিলেন, বালক সুলায়মান তাঁর চেয়ে উত্তম ফায়সালা পেশ করেছিলেন। ফলে দাউদ (আ.) নিজের আগের রায় নাকচ করে পুত্রের দেওয়া প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং সে মোতাবেক রায় প্রদান করেন। (দেখুন সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৭৮-৭৯) কিন্তু ইহুদি জাতি সুলায়মান (আ.)-কে নবী স্বীকার করা দূরের কথা, তাঁকে সৎমানুষ বলেও বিশ্বাস করে না। বরং তাঁকে পাপিষ্ঠ ও মূর্তিপূজারি রাজা হিসেবে বিশ্বাস করে, নাউজুবিল্লাহ! আমাদের নবী (সা.) যখন সুলায়মান (আ.)-এর প্রশংসা করেন তখন মদিনার অনেক ইহুদি বলেছিল : ‘আশ্চর্যের বিষয়! মুহাম্মদ সুলায়মানকে নবীদের মধ্যে গণ্য করে, অথচ তিনি ছিলেন একজন জাদুকর মাত্র।’ (তাফসিরে তাবারি : ১/৩৬০) ইহুদিদের বিকৃত ধর্মগ্রন্থের বর্ণনায় সুলায়মান (আ.) ইহুদিদের হাতে বিকৃত হওয়া তাওরাত, যা বর্তমানে ‘বাইবেল ওল্ড-টেস্টামেন্ট’ নামে পরিচিত। সেই বাইবেলের বর্ণনামতে সুলায়মান (আ.) তাঁর সঙ্গীদের প্ররোচনায় পিতৃধর্ম ত্যাগ করে মূর্তিপূজায় জড়িয়ে পড়েন। (রাজাবলি, ১ নম্বর অধ্যায়, পৃষ্ঠা ১-২১) এমনকি নাউজুবিল্লাহ, তাঁকে একজন যৌনাচারে লিপ্ত নারীলোভী বাদশাহরূপে বাইবেলে দেখানো হয়েছে। বাইবেলের একটি বর্ণনা নিম্নরূপ : ‘রাজা সুলেমান নারীদের সান্নিধ্য পছন্দ করতেন। তিনি এমন অনেক নারীকে ভালোবেসেছিলেন যারা ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত নয়। মিসরের জনৈক ফেরাউনের কন্যাসহ অনেক বিজাতীয় রমণীকে ভালোবাসতেন। অথচ প্রভু ইসরায়েলিদের সতর্ক করেছিলেন যে তোমরা বিজাতীয় রমণীদের বিয়ে কোরো না। কারণ তারা তাদের মূর্তিকে পূজা করতে তোমাদের প্রভাবিত করবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সুলেমান বিজাতীয় রমণীদের প্রেমে পড়েন। সুলেমানের ৭০০ জন সঙ্গী ছিল। যারা সবাই অন্যান্য দেশের নেতাদের কন্যা। এ ছাড়া তাঁর ৩০০ জন ক্রীতদাসী উপপত্নী ছিল। সুলেমানের পত্নীরা তাঁকে ঈশ্বরবিমুখ করে তুলেছিল। সঙ্গীদের পাল্লায় পড়ে তিনি অন্যান্য মূর্তির পূজা করতে শুরু করেন। তাঁর পিতা রাজা দাউদের মতো সুলেমান একনিষ্ঠভাবে প্রভুকে অনুসরণ করেননি।…’ (রাজাবলি, ১ নম্বর অধ্যায়, পৃষ্ঠা ১১) বাইবেলের অন্য একটি উদ্ধৃতি : ‘আমি সুলেমান থেকে রাজত্ব কেড়ে নেব। কারণ সুলেমান আমার উপাসনা বন্ধ করে দিয়েছে। সুলেমান সীদোনীয়দের মূর্তির পূজা করছে, মোয়াবীয়দের মূর্তি কমোশ ও আম্মোনীয়দের মূর্তি ‘মিলকমে’র আরাধনা করছে। সুলেমান ভালো ও সঠিক কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। সে আর এখন আমার বিধি ও আদেশ মেনে চলে না। ওর পিতা দাউদ যেভাবে জীবন যাপন করেছিল, সুলেমান আর সেভাবে জীবন যাপন করে না। এ কারণেই আমি সুলেমানের হাত থেকে রাজ্য কেড়ে নেব।…’ (রাজাবলি, ১ নম্বর অধ্যায়, পৃষ্ঠা ২১; আরো দেখুন : সলোমনের পরমগীত অধ্যায় ৮ এর ১-৩, ১০; ৭ম অধ্যায়ের ৮, ৯, ১১-১৩; ৪র্থ অধ্যায়ের ৫, ৯, ১০, ১২; ১ম অধ্যায়ের ২-৪, ১৩, ১৬; দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৬ এবং ৫ম অধ্যায়ের ২-৪, ৮) নাউজুবিল্লাহ! একজন মর্যাদাবান নবীর ব্যাপারে এ কেমন ধৃষ্টতাপূর্ণ বিশ্বাস? আল-কোরআনে সুলায়মান (আ.) অথচ কোরআনে কারিমের বর্ণনায় তাঁকে একজন মর্যাদাবান নবী ও ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সুলায়মান (আ.)-এর ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সে কতই না উত্তম বান্দা এবং সে ছিল আমার প্রতি সদা প্রত্যাবর্তনশীল।’ (সুরা : ছদ, আয়াত : ৩০) অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর আমি এ বিষয়ের ফয়সালা সুলায়মানকে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম। আর আমি তাদের প্রত্যেককেই দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও জ্ঞান।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৭৯) ইহুদিদের ভ্রান্তবিশ্বাস খণ্ডন করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা ওই সবের অনুসরণ করে থাকে, যা সুলায়মানের রাজত্বকালে শয়তানরা আবৃত্তি করত। অথচ সুলায়মান কুফরি করেননি, বরং শয়তানরাই কুফরি করেছিল।’ (সুরা : বাকারা : আয়াত : ১০২)