যুক্তরাজ্যে ভিন্ন আবহে ইসলামভীতি সচেতনতা মাস উদযাপন ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১২:০২ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২৩ স্কটিশ পার্লামেন্টে ইসলামোফোবিয়া সচেতনতা মাস উদযাপনে অংশ নেন এমপিরা। ছবি : সংগৃহীত নিজস্ব প্রতিনিধি যুক্তরাজ্যে প্রতিবছরের মতো পালিত হচ্ছে ইসলামভীতি সচেতনতা মাস। ব্রিটিশ মুসলিমদের গল্প তুলে ধরে মুসলিম ও অমুসলিম সব সম্প্রদায়ের মধ্যে সংযোগ তৈরি করতে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে মুসলিমস স্টোরিজ (#MuslimStories)। তবে গাজা উপত্যকার সংঘাত ও ব্রিটিশ রাজনীতির প্রতিকূল পরিবেশ এবারের আয়োজনকে পুরোপুরি ব্যতিক্রম করে তুলেছে। মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেনের মুখপাত্র সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ব্রিটিশ মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনীতিবিদদের নেতিবাচক মন্তব্য এ পরিবেশ বৃদ্ধি করেছে। গাজায় যুদ্ধবিরতির সমর্থনে বিক্ষোভকারীদের তারা ‘ঘৃণাত্মক মিছিলে’ অংশগ্রহণকারী হিসেবে বর্ণনা করছেন। এমনকি ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়ানো বা স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলাকে ফৌজদারি অপরাধ হতে পারে বলে বিভিন্ন চিঠিতে বলা হচ্ছে।’ এমসিবির মহাসচিব জারা মুহাম্মদ বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা ইসলামফোবিক বক্তৃতা ও হামলার উদ্বেগজনক বৃদ্ধি লক্ষ করেছি। এমনকি অনলাইনে ইসলামফোবিক বর্ণনা ও ভুল তথ্যের প্রচার এই পরিস্থিতিকে আরো ভয়াবহ করে তুলেছে।’ ব্রিটেনের মুসলিম কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের মুসলিমরা সবচেয়ে বেশি ঘৃণামূলক আচরণের শিকার হচ্ছে। সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক অপরাধের প্রতি পাঁচটির মধ্যে দুটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে করা হয়। ধর্মীয়ভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিদ্বেষমূলক অপরাধের ৩৯ শতাংশ মুসলিমদের লক্ষ্যবস্তু করে করা হয়। এর আগেও ২০২১ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ধর্মীয় ঘৃণামূলক অপরাধের ৪৫ শতাংশের লক্ষ্যবস্তু ছিল মুসলিমরা। তা ছাড়া অক্সফোর্ডের একটি মসজিদে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা, কংক্রিট দিয়ে মুসলিম নারীর ওপর হামলার চেষ্টাসহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে বিদ্বেষমূলক অপরাধের ঘটনা দেখা গেছে। ইসলামোফোবিয়া অ্যাওয়ারনেস মান্থ উদযাপনে এর অফশিয়াল সমর্থক, মুসলিমদের গল্প তুলে ধরা, প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ ও ওয়ার্কশপের আয়োজনসহ নানাভাবে এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া যায়। তা ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ মুসলিমস স্টোরিজ লিখে এর প্রচার কার্যক্রমে অংশ নেওয়া যায়। ব্রিটিশ ক্রিকেটার মইন আলী এই উদযাপনে অংশ নিয়ে বলেন, ‘ইসলামোফোবিয়া সচেতনতা মাস ২০২৩-এর প্রতিনিধি হতে পেরে আমি সম্মানিত। আমি অন্তর্ভুক্তি, বোঝাপড়া এবং সমাজ থেকে ইসলামোফোবিয়া নির্মূলে খুবই আগ্রহী। আসুন, কথোপকথনে অংশ নিন এবং সমাধানের অংশ হোন।’ ২০১২ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে মুসলিম এনগেজমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এমইএনডি) উদ্যোগে ও বিভিন্ন ব্রিটিশ সংস্থার সহযোগিতায় প্রতিবছর ইসলামোফোবিয়া সচেতনতা মাস উদযাপিত হয়। ব্রিটিশ সমাজে মুসলিমদের ইতিবাচক অবদান তুলে ধরা এবং মানুষের ইসলামভীতিমূলক আরচণ সম্পর্কে সচেতন করাই মাসব্যাপী এই আয়োজনের প্রধান লক্ষ্য। সূত্র : এমসিবি ও আরব নিউজ SHARES ইসলাম বিষয়: #যুক্তরাজ্যইসলামভীতি
যুক্তরাজ্যে প্রতিবছরের মতো পালিত হচ্ছে ইসলামভীতি সচেতনতা মাস। ব্রিটিশ মুসলিমদের গল্প তুলে ধরে মুসলিম ও অমুসলিম সব সম্প্রদায়ের মধ্যে সংযোগ তৈরি করতে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে মুসলিমস স্টোরিজ (#MuslimStories)। তবে গাজা উপত্যকার সংঘাত ও ব্রিটিশ রাজনীতির প্রতিকূল পরিবেশ এবারের আয়োজনকে পুরোপুরি ব্যতিক্রম করে তুলেছে। মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেনের মুখপাত্র সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ব্রিটিশ মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজনীতিবিদদের নেতিবাচক মন্তব্য এ পরিবেশ বৃদ্ধি করেছে। গাজায় যুদ্ধবিরতির সমর্থনে বিক্ষোভকারীদের তারা ‘ঘৃণাত্মক মিছিলে’ অংশগ্রহণকারী হিসেবে বর্ণনা করছেন। এমনকি ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়ানো বা স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলাকে ফৌজদারি অপরাধ হতে পারে বলে বিভিন্ন চিঠিতে বলা হচ্ছে।’ এমসিবির মহাসচিব জারা মুহাম্মদ বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা ইসলামফোবিক বক্তৃতা ও হামলার উদ্বেগজনক বৃদ্ধি লক্ষ করেছি।
এমনকি অনলাইনে ইসলামফোবিক বর্ণনা ও ভুল তথ্যের প্রচার এই পরিস্থিতিকে আরো ভয়াবহ করে তুলেছে।’ ব্রিটেনের মুসলিম কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের মুসলিমরা সবচেয়ে বেশি ঘৃণামূলক আচরণের শিকার হচ্ছে। সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক অপরাধের প্রতি পাঁচটির মধ্যে দুটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে করা হয়। ধর্মীয়ভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিদ্বেষমূলক অপরাধের ৩৯ শতাংশ মুসলিমদের লক্ষ্যবস্তু করে করা হয়।
এর আগেও ২০২১ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ধর্মীয় ঘৃণামূলক অপরাধের ৪৫ শতাংশের লক্ষ্যবস্তু ছিল মুসলিমরা। তা ছাড়া অক্সফোর্ডের একটি মসজিদে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা, কংক্রিট দিয়ে মুসলিম নারীর ওপর হামলার চেষ্টাসহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে বিদ্বেষমূলক অপরাধের ঘটনা দেখা গেছে। ইসলামোফোবিয়া অ্যাওয়ারনেস মান্থ উদযাপনে এর অফশিয়াল সমর্থক, মুসলিমদের গল্প তুলে ধরা, প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ ও ওয়ার্কশপের আয়োজনসহ নানাভাবে এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া যায়। তা ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ মুসলিমস স্টোরিজ লিখে এর প্রচার কার্যক্রমে অংশ নেওয়া যায়। ব্রিটিশ ক্রিকেটার মইন আলী এই উদযাপনে অংশ নিয়ে বলেন, ‘ইসলামোফোবিয়া সচেতনতা মাস ২০২৩-এর প্রতিনিধি হতে পেরে আমি সম্মানিত।
আমি অন্তর্ভুক্তি, বোঝাপড়া এবং সমাজ থেকে ইসলামোফোবিয়া নির্মূলে খুবই আগ্রহী। আসুন, কথোপকথনে অংশ নিন এবং সমাধানের অংশ হোন।’ ২০১২ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে মুসলিম এনগেজমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এমইএনডি) উদ্যোগে ও বিভিন্ন ব্রিটিশ সংস্থার সহযোগিতায় প্রতিবছর ইসলামোফোবিয়া সচেতনতা মাস উদযাপিত হয়। ব্রিটিশ সমাজে মুসলিমদের ইতিবাচক অবদান তুলে ধরা এবং মানুষের ইসলামভীতিমূলক আরচণ সম্পর্কে সচেতন করাই মাসব্যাপী এই আয়োজনের প্রধান লক্ষ্য। সূত্র : এমসিবি ও আরব নিউজ